প্রতিদিনের সূর্যাস্ত জীবন থেকে একটি দিনের অবসানের সাথে নতুন করে বাঁচার বার্তা বয়ে আনে।
প্রিয় বন্ধুরা,
আজ আমার শারিরীক পরিস্থিতি বিশেষ একটা অনুকূলে নেই, জানিনা লেখা শুরু করেও শেষ করতে পারবো কিনা!
কাজের চাপ সাথে বেশ কিছু ব্যাক্তিগত মানসিক অবসাদ যেগুলো না চাইলেও সময় সময় মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
সবটা সবসময় বলা সম্ভব হয় না, কারণ স্থান, কাল নির্বাচন করে কথা বলাটা সমীচীন।
এমনটা নয় জগতের সমস্ত অবসাদ কেবল আমার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, তবে প্রতিটি মানুষের জীবনে কিছু না কিছু লড়াই থাকেই।
এটাই জীবন যেখানে টিকে থাকার লড়াইটা আমাদের আর সকলের থেকে ভিন্ন করে।
আজকাল আমার উদিত সূর্যের সাথে বিশেষ দেখা হয় না, সূর্যাস্ত আর তমসা এখন আমার রোজকার সঙ্গী।
অস্তমিত সূর্য আমাকে বুঝিয়ে দেয়, জীবন থেকে একটা দিন কমে গেলো, তেমনি এটাও শিক্ষা দিয়ে যায় আজকের ভুলগুলো কাল বেঁচে থাকলে শুধরে নিতে।
আজকাল প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি, আমার মা, বাবার না দেখে যাওয়া ইচ্ছেগুলো পূরণ করতে, হয়তো ইহজগতে বাইরে থেকে তাঁরা দেখবেন আমি একজন যোগ্য সন্তান হতে পেরেছি।
আমার মায়ের বড়ো ইচ্ছে ছিলো আমাদের দুই বোনের একজন ডাক্তার আর একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে, যেহেতু আমার বাবা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
সেই স্বপ্ন পরিস্থিতির কারণে পূর্ণ করতে না পারলেও, চেষ্টা করে চলেছি প্রতিনিয়ত একজন ভালো মানুষ হবার।
অন্ততপক্ষে তারা যেনো সল্প সময়ের জন্য যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন সেটা নিয়ে গর্বিত বোধ করতে পারেন।
আমরা কেউ জানিনা আমাদের হাতে কতখানি সময় অবশিষ্ট আছে, তবে সেটা যতটুকুই হোক না কেনো নিজেকে বাস্তব শিক্ষায় সুশিক্ষিত করতে পারাটাও জীবনের সফলতা।
অনেক ইচ্ছেই এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, যৌথ লড়াইটা সহজ হলেও একাকীত্বের লড়াইটা কিন্তু বেশ কঠিন।
যেখানে প্রত্যাশা করবার মানুষ থাকে না, থাকে না সঙ্গ দেওয়ার মানুষ। প্রত্যেকেই নিজ নিজ সম্পর্ক, কাজ এবং আত্মস্বার্থ চরিতার্থ ব্যস্ত।
প্রতিবাদ করলে চোখের বালি হতে হয়, মুখবুজে সব মেনে নিলে আপনার মত ভালো মানুষ আর দ্বিতীয়টি নেই।
এই দ্বিচারিতা সদা সর্বদা চোখে পড়ে, তবুও জীবন, সময় থেমে থাকে না কারোর জন্য বা কোনো পরিস্থিতিতেই।
একদিন এমন ছিল মাকে ছাড়া বাঁচার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না, এছাড়াও অনেক আত্মিক সম্পর্ক অসময় হারিয়ে গেছে, তবুও বেঁচে আছি, হয়তো এই বাঁচাটা শারিরীক, মানসিক বাঁচা নয়।
তবে, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি শেষটা দেখার আশায়, কারণ অসময় ইচ্ছা মৃত্যু শুনেছি ভীরুতার নিদর্শন তাই সেই পথ না বেছে, প্রতিদিনের সংঘর্ষ কেই পাথেয় করে এগিয়ে চলেছি।
হারার আগে হেরে যেতে নেই এটা যেমন সত্যি, তেমনি কিছু কিছু সময় একটি বোঝার মানুষের বোধহয় সকলেরই প্রয়োজন আছে।
পাশে থাকা, অসুস্থ হলে একটু সাহায্যের হাত বাড়িতে দেওয়া, এগুলো কিন্তু ভালোবাসার অনুভূতি থেকে আসে।
আজকাল ফোনের মাধ্যমে সকলে খবর নিয়েই নিজের দায় সেরে ফেলে, কিন্তু সেটাই কি যথেষ্ট একটা সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে?
আমার ছেলেবেলায় আমার মাকে দেখেছি, যখন আমার এক মেসোমশাই হসপিটালে ভর্তি ছিলেন কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার মাসির সমস্ত পরিবারকে আমাদের বাড়িতে রেখে তাদের যথাসাধ্য সেবা করে, যেহেতু হসপিটাল আমাদের বাড়ীর কাছে ছিল।
সেই সময় বাড়িতে গ্যাস ছিল না, কয়লার উনোন জ্বালিয়ে এতগুলো মানুষের রান্না হাসিমুখে সমাধা করেছিলেন।
এখন সম্পর্কের পরিভাষা বদলে গেছে, সাথে বদলেছে আন্তরিকতার পরিভাষা। তবে আজও আমি চেষ্টা করছি তাদের সেই শিক্ষাকে বয়ে নিয়ে যেতে।
আমার মাসতুতো দাদা যখন জীবনের সবচাইতে কঠিন সময় দিয়ে যাচ্ছিল, পাশে থেকেছি, এখনও আছি।
হয়তো ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারিনি তবে ভালো মানুষ হবার লড়াইটা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি, সাথে সূর্যাস্তের সাথে নিজেকে সেই দিনের সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে অন্যের জন্য কিছু করবার প্রচেষ্টা আজও অব্যাহত রাখার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি।
আবেগ আমাদের একটি সহজাত অনুভূতি, তাই আজকে সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবার চেষ্টা করেছি, জানিনা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারলাম কিনা, সব কাজ সবসময় সঠিক ভাবে পারিনা বলেই তো আমরা মানুষ দেবতা নই।
ভালো থাকুন সবাই আর প্রতিটা দিন সৃজনশীল কাজে অতিবাহিত করুন নিজেকে উন্নত করবার জন্য।
আসলেই দিদি আপনি যে কথাগুলো আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করলেন সেই কথাগুলো প্রত্যেকটি কথা হৃদয়ে লাগে একটি সূর্য অস্ত যাচ্ছে মানে আমাদের জীবন থেকে একটি দিন চলে যাচ্ছে আসলে এটা ঠিক কার মৃত্যু কখন হবে কে কতদিন এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে কেউ বলতে পারে না।
আর অবশ্যই এই কথাটা ঠিক একটু সূর্য অস্ত্র যাওয়ার সাথে সাথে আমরা বুঝতে পারি আমাদের আজকের দিনে আমরা কতগুলো ভুল করলাম এবং সেই ভুলগুলো আমরা কিভাবে শোধরাতে পারবো সেগুলোর জন্য আমরা সামনে হয়তো আরো কিছুদিন সময় পেয়েছি।
আর অবশ্যই আপনার মা-বাবা যে ইচ্ছে ছিল সেই উদ্দেশ্যে আপনারা অগ্রসর হচ্ছেন হয়তো যে ইচ্ছেটা ছিল সেই ইচ্ছাটা পূরণ হয়নি কিন্তু চেষ্টা করছেন ভালো কিছু করার এটা আসলে সবার দ্বারা সম্ভব হয় না অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্ট পড়ে আর সাথে সাথে এটা বলতে হয় আপনার ছবিগুলো কিন্তু দারুণ ছিল
We support quality posts and comments anywhere and with any tags.
Curated by : @sduttaskitchen
আমার ছেলেবেলায় আমার মাকে দেখেছি, যখন আমার এক মেসোমশাই হসপিটালে ভর্তি ছিলেন কি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার মাসির সমস্ত পরিবারকে আমাদের বাড়িতে রেখে তাদের যথাসাধ্য সেবা করে, যেহেতু হসপিটাল আমাদের বাড়ীর কাছে ছিল।
আপনি আপনার বাবা মাকে অনেক ভালবাসেন এবং তাদের স্মরণ করে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এগুলো দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। দোয়া করি আপনার বাবা-মা পরকালে জান্নাত বাসী হোক। আপনার পোস্টগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
অপূর্ব সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন দিদি আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
এখনকার সম্পর্কগুলো হয়ে গেছে কিছুটা দায় সারার মত। ফোন দিয়ে কথা বলেই যেন দায়মুক্ত হয়ে যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে হৃদয় নাড়া দিয়ে উঠলো। আমাদের কাছ থেকে এক একটি করে দিন চলে যাচ্ছে।
আমরা যে কাজই করি না কেন আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ভালো মানুষ হওয়া। আমরা সবাই যদি ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারি তাহলে আমাদের পৃথিবীটা যেন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
আপনাকে ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আর সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে সব সময় সুস্থ রাখে এই কামনাই করি।
不错不错
আসলে দিদি আপনার পোস্ট পড়ে আমি ঠিক কি বলবো বুঝতে পারছি না। আপনি যেমন একা একা লড়াই করে যাচ্ছেন, দিনের পর দিন নতুন কিছু করার জন্য আরেকটা দিনের অপেক্ষা করছেন, ঠিক তেমনি আমিও।
দিনের পর দিন অপেক্ষা করে যাচ্ছি, জানিনা সফলতা কবে আসবে, তবে ইনশাল্লাহ চেষ্টা করছি, সৃষ্টিকর্তা একদিন আমাকে সফল করবে, এই আশায় নিজের কাজ কখনো বন্ধ করি না।
আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা কথা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এত আবেগময়ী একটা লেখা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা,ভালো থাকবেন সব সময় সর্বদা।
অনেক ভালো লিখেছেন দিদি। এথেকে আমাদেরও শিক্ষা নেওয়ার আছে অনেক কিছুই।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন দিদি । আমরা আসলে কেউ-ই জানিনা যে আমাদের হাতে কত সময় আছে এই দুনিয়াতে বসবাস করবার। কিন্তু সেটার উপর ভর করে কি বসে থাকলে চলবে? নাহ৷ আমাদের সামনে অগ্রসর হতেই হবে। যতদিন এই দুনিয়াতে বসবাস করছি। সংগ্রাম চালিয়েই জীবন অতিবাহিত করতে হবে। ভালো থাকবেন।