RE: লেখায় সঠিক শব্দ চয়নের প্রয়োজনীয়তা।(The significance of appropriate word selection in writing.)
কথা বা লেখা দুটোর ক্ষেত্রেই সঠিক শব্দ চয়ন একটা অতিঅবশ্য বিষয়। একটা বাক্যের অর্থ পাল্টে দেয়ার জন্য একটা শব্দই যথেষ্ট।
শুধুমাএ কঠিন শব্দাবলীই যে ব্যবহার করতে হবে এমনও না। সূর্যকে সূর্য লেখলেই চলবে বিভাবসু বা মার্তণ্ড না লিখে,বড়োজোড় রবি লেখা চলে সহজের মাঝে তবে কেউ যদি কঠিন কিছু লিখতে চায়,সে লিখতেই পারে।কিন্তু সূর্যকে যদি কেউ ছুূর্য লেখে তাহলে দুঃখজনক।
আমার মতে এতদিন শব্দ চয়ন ভালো ভাবে শেখার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো অন্যের লেখা পড়া।কিন্তু স্টিমিট প্ল্যাটফরমে যোগ দেয়ার পরে ক্রমশ এই ধারণা পাল্টে যাচ্ছে বাংলা ভাষার দূর্দশা দেখে। অনেকের লেখাই পড়া শুরু করি আগ্রহ নিয়ে কিন্তু কয়েকলাইন পড়ার পরে সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।কোন জায়গায় য় আর কোথায় ই এর ব্যাবহার হবে এটাও যখন নিয়মিত ভুল হতে দেখি তখন দুঃখ লাগে এটা ভেবে যে, এদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষাব্যবস্থা।
এমন না যে আমি নিজে বিশাল ভাষাবিদ। আমার নিজেরও ভুল হয় নিয়মিত। এর পেছনে অবশ্য একটা বড়ো কারন অলসতা, দ্বিতীয়বার না পড়া। কিন্তু এতটা ভুল হয়তোবা হয় না।
কথ্য ভাষায় আমি বলতেই পারি যে, সকালবেলা ঘুম ভেঙে আমি টিউবওয়েলের ওপর যাই অথবা ছেলাই করা কিংবা করছি। কিন্তু লেখার সময় আমাকে সচেতন হতে হবে যে এই শব্দগুলো আমি লিখবো না বা কোথায় লিখতেছি।গ্রাম্য ভাষা নিয়ে কোন কিছু লিখলে আমি ছেলাই লিখতেই পারি,সেখানে একদম ঠিক আছে ।আমাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, যায় আর যাই এর অর্থ এক না।অথচ এই রকম ভুল প্রতিনিয়ত হতে দেখতেছি।
সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন দেখি বিশেষ করে কমেন্টগুলোতে।মাঝে মাঝে একেকজনকে দেখি, কি যে লিখছে সেটার অর্থ যদি আমি তাকেও জিজ্ঞেস করি তাহলে সে নিজেও বলতে পারবে না।কমেন্টে আমি নিজেও ফাঁকিবাজী করি।বিশেষ করে ডায়েরি গেমে। কিন্তু বাক্যের অর্থ ঠিক রাখার চেষ্টা করি ।
শব্দ চয়নের এত ভুল আমার কাছে মনে হয়েছে পড়ার অভ্যাস এর অভাবের কারনে।শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশ বাইরে যতদিন কেউ না পড়বে, ততক্ষণ এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠাটা কঠিন বলেই মনে হয় আমার কাছে ।
আসলে এত কিছু লিখলাম সেটা অনেক দিনের জমানো ক্ষোভ কিংবা দুঃখবোধ যেটাই বলি না কেন সেটা থেকেই।
মাঝে মাঝে কিছু কিছু লেখা পড়ে মনে হয়, বাংলার এমন দূর্দশা হবে জানলে ভাষা শহীদরা জীবনবাজী রেখে ভাষার জন্য লড়াই করতেন না।