Better Life With Steem | The Diary game 6, October |
Edited by Canva |
---|
বেশ কিছুদিন ধরে একটার পর একটা ঝামেলা চলতেই আছে। যতই ভাবি যে হয়তো দু এক দিনের মধ্যেই সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে স্বাভাবিক হওয়ার কোন লক্ষন নেই নতুন করে আরেকটা সমস্যা শুরু হচ্ছে ।
এরই সাথে যোগ হয়েছে আমার প্রিয়জন হারানো।কদিন আগে বোনের হাসবেন্ড মারা গেল এর দিন দশেক এর মাঝেই মারা গেল আরেক কাজিন।শেষবার ওর সাথে দেখা হয়েছিল হসপিটালেই। ভাইকে দেখতে গিয়েছিলাম আমরা সবাই। এমন সুন্দর হাসি খুশি মানুষটা কয়েকদিনের ব্যবধানে যে মারা যাবে সেটা চিন্তাও করতে পারি নাই।
লিভার ক্যান্সারে মারা গেল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই লিভার ক্যান্সারের সমস্যা যখন ধরা পড়ে তখন আর কিছু তেমন একটা করার থাকে না।আমার শাশুড়ি ও মারা গিয়েছেন এই লিভার ক্যান্সারে। যখন ধরা পরল তখন একদম লাস্ট স্টেজ।একই ঘটনা আমার এইটা কাজিনের ক্ষেত্রেও ঘটলো।ধরা পাড়ার মাস-দেড়েকের মাঝেই শেষ। কিন্তু আমরা মানুষ হিসেবে খুবই অসহায়, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই।
Edited by Canva |
---|
কিন্তু এর মাঝেই জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে।যতই খারাপ লাগা থাকুক না কেন সবকিছুই করতে হয়। ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতেছিলাম। কিন্তু খুব বেশি সময় ভাবার উপায় নেই কারন হাসবেন্ড এর অফিস আছে।বেচারার কথা ভাবলে মাঝে মাঝে খারাপই লাগে।বছরের পর বছর একই নিয়মে চলতেছে।
কিন্তু শুয়ে শুয়ে এসব ভাবার খুব একটা সময় ছিল না। তাই উঠে পরলাম। আগের দিনই সকালে নাস্তার জন্য সবজি কেটে সেদ্ধ করে রেখেছিলাম। সকলে উঠে এসব করতে গেলে সময় লাগে। তাই আগেই করে রাখি বেশিরভাগ সময়ই। সকালে উঠে শুধু রুটি বানিয়ে নিলাম। অবশ্য সাথে সেদ্ধ সব্জিটাকেও শুঁকনো মরিচ ,আদ, তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিয়ে রান্না করে নিলাম।সেটা দিয়েই বোরো ছেলে ও তার বাবা নাস্তা করে নিলো। এরপর তারা একসাথেই বের হয়ে গেলো যদিও তাদের গন্তব্য ভিন্ন।
ওরা চলে যাবার পরে ছোট ছেলের জন্য আলু ভাজি করে নিলাম। ওকে সবজি দিয়ে রুটি খেতে বললেই ঘ্যানঘ্যান শুরু করে দিবে। তাই এই আলু ভাজি। একটু বেশি করেই করলাম যাতে দুপুরেও এটা দিয়েই ভাত খেতে পারে। বড়ো ছেলে আসবে সন্ধ্যার পরে। রাতে আমার ননদের দেবরের ছেলের বিয়ের দাওয়াত। সেখানেই যাবো সবাই রাতে।
Edited by Canva |
---|
ধানমন্ডিতেই একটা রেস্টুরেন্টে বৌভাতের আয়োজন করেছে। অন্য কোথাও নাকি এতো দ্রুত পায়নাই। আমাদের জন্য এতে খুব সুবিধা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট আমাদের বাড়ির কাছাকাছিই যার কারণে যেতে সুবিধাই হবে আমাদের। । ইদানিং জ্যামের কারণে রাস্তায় বের হতেই ভয় লাগে।
সন্ধ্যায় আমরা সবাই রেডি হয়ে বসে থাকলেও আমার হাবির বাসায় আস্তে অনেকটাই লেট্ হয়ে গেলো। ৬ টার দিকে ননদ কল দিয়ে বলেছিলো ওরা বের হয়ে গেছে বাসা থেকে। কিন্তু আমরা রেটুরেন্টে পৌঁছে দেখলাম যে ,ওরা কেউ-ই তখনও এসে পৌঁছাতে পারে নাই রাস্তার জ্যামের কারণে। আসলে পুলিশও আর আগের মতো নেই আর সেই সাথেও বেড়েছে অটো রিক্সার উতপাত ।
যাই হোক ,আমরা যাওয়ার খানিকটা পর থেকে লোকজন বাড়া শুরু করলো। এই সব অনুষ্ঠানে আসলে একটা জিনিস সবচেয়ে ভালো লাগে ,আর সেটা হলো অনেক পরে অনেকের সাথে দেখা হয়ে যায়। সবচাইতে ভালো লাগলো আমার এক মামী শাশুড়ির সাথে দেখা হয়ে।
নারায়ণগঞ্জ থাকার সময় আমরা পাশাপাশি বিল্ডিং এ থাকতাম। সে ছিল আমার কথা বলার সঙ্গী। বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলতাম আমরা। আমার মামাশ্বশুর মারা যান কয়েক বছর আগে স্ট্রোক করে। এর বছরখানেক পর মামীরও স্ট্রোক হয়। আইসিউ তে ছিল বেশ অনেকদিন।
বছরখানেক আগে যখন দেখেছিলাম তখন কথাবার্তা অনেকটাই এলোমেলো ছিল। কিন্তু এবার দেখে ভালো লাগলো যে ,সেই এলোমেলো ভাবটা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। এগারোটা নাগাদ বাসায় ফেরত আসলাম। একধরণের মানসিক শান্তি নিয়ে রাতে ঘুমাতে গেলাম।
প্রিয়জনদের হারিয়ে ফেললে সত্যিই খুব কষ্ট হয়। আপনিও আপনার প্রিয়জনদের হারিয়ে শোকাহত। যাই হোক জীবন তো আর থেমে থাকে না। জীবনে বাঁচতে হলে এগিয়ে চলতেই হবে। সবকিছু ঠিক করতে গেলে আবারও আগের মত স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে হবে। আপনি অনেকদিন পর অনুষ্ঠানে এটেন্ড করেছেন। আপনার পোস্ট করে ভালো লাগলো।
সত্যি প্রিয়জন হারানোর বেদনার কোনো তুলনা হয় না। যে মানুষগুলোর সাথে আমাদলর এত এত স্মৃতি আর সেই মানুষগুলো যদি আমাদের ছেড়ে বহু দুরে চলে যায় তাহলে সেটা মেনে নেওয়া সত্যি খুব কষ্টের। বিগত কয়েকদিন আপনার সময়টা সত্যি অনেক খারাপ যাচ্ছে। তবে ভাগ্যের উপর কারো হাত থাকে না। প্রকৃতির নিয়ম আমাদের মেনে নিতেই হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
@sduttaskitchen, thank you so much for your encouraging support ma'am