Better Life With Steem | The Diary game 6, December |গাছ কিনতে পূর্বাচলে যাওয়া ।-1
Edited by Canva |
---|
প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের জন্য ঘন্টা খানেক সময় রাখার চেষ্টা করি আমি। যদিও ঘুম থেকে উঠতে যেদিন লেট হয়ে যাই সেদিন আর নিজের কাজ করতে পারি না। আমাদের হাউজওয়াইফদের এই এক সমস্যা অন্যের কাজকেই বেশি গুরুত্ব দেই কোনো কিছুর বিনিময় প্রত্যাশা না করেই।
অবশ্য নিজের কাজের পাশাপাশি আরো একটা কাজ প্রতিদিনই করতে হয়। আমার কিছু গাছ আছে তাদের রোদ খাওয়াই আমি প্রতিদিনই। এক/দেড় ঘন্টা রোদে রেখে দেই। যদিও প্রতিদিন না রাখলেও চলে তারপরও প্রতিদিনই রাখি আমি। আজকেও গাছগুলিকে রোদে দিতে গিয়ে লেকের দিকে চোখ পড়লো।
প্রতিদিনই দেখি কিন্তু আজকে একদমই ঘোলা হয়ে আছে। প্রথমে কুয়াশা বলে মনে করলেও ভালো করে খেয়াল করার পরে মনে হলো যে ,এগুলি আসলে শুধু কুয়াশা না বরং ধুয়াশা। শীতের সময় বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কম থাকে যার কারণে ধুয়াশায় ঢেকে আছে চারিদিক। আর এই ধুয়াশার জন্য আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার লাহোর ,দিল্লি , ঢাকা আর চীন তো অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত। বাতাসে জমে থাকা জলীয়বাষ্প ,ধূলিকণা ,সীসা প্রভৃতি টক্সিক পদার্থ মিশে এই ধুয়াশার সৃষ্টি হয় ,যা কিনা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এই ধুয়াশার সাথে সাথে আরো একটা জিনিস নজর কেড়ে নিলো আর সেটা হলো লেকের উপরে ও পাশে অসংখ্য পাখির উড়াউড়ি। সত্যি বলতে আমার এই দৃশ্য দেখে একধরণের ভয় লাগলো। হয়তো অহেতুকই কিন্তু এতো পাখি উড়তে দেখলে ভয় লাগে আমার সবসময়ই। মনে হয় বড়ো ধরণের ভূমিকম্প হবে।
আমি সবসময়ই ভূমিকম্প ফোবিয়ায় ভুগি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খবর ও সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছি যে বড়ো ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে পশু-পাখির আচরণ পাল্টে যায়। এই আচরণ পাল্টে যাওয়ার মাঝে পাখির এলোমেলো উড়ার ভিডিও চোখে পড়েছে। একটু ধাতস্থ হয়ে এই পাখিগুলোর ছবি তোলার চেষ্টা করলাম কিন্তু আমার ফোনের ক্যামেরাতে জুম কেউ তুলতে পারলাম না। পাখিগুলিকে দেখা যাচ্ছিলো না ধুয়াশার কারণে।
আজকে আর সকালের নাস্তা বানাতে রান্না ঘরে ঢুকি নাই। আসলে ছুটির দিনে নাস্তা বাসায় কমই বানাই আমি। বাইরে থেকেই বেশি কিনে খাওয়া হয়। আজকেও তাই বাইরে থেকেই নাস্তা কিনে এনেছিল।
তবে নাস্তা বানানোর হাত থেকে রেহাই পেলেও দুপরের রান্নার হাত থেকে রেহাই পাই নাই। দুপুরের রান্না ঠিকই করতে হয়েছে। দুপুরে সবাই একসাথেই খেয়েছি। আজকে আমার বড়ো ছেলের উইন্সকোর্টে ইনভিজিলেশন ছিল তাই ও খাওয়া শেষ করে খুব একটা লেট্ করে নাই। দ্রুতই বের হয়ে গেছে বাসা থেকে।
অনেকদিন থেকেই গাছ কেনার জন্য নার্সারিতে যাব যাবো করতেছিলাম। আসলে আমার বাড়ির কাছাকাছিই কয়েকটা ছোট ছোট নার্সারি রয়েছি। ওইখান দিয়েই আসা- যাওয়াও করি কিন্তু কেনা হয় না সময়ের অভাবে। আজকে তাই প্ল্যান করেছি যে আজকে গাছ কেনার জন্যই যাবো। পৌনে চারটার দিকে হঠাৎ করেই আমার ছোট ছেলে এসে বললো যে যাবে নাকি ,গেলে তাড়াতাড়ি বের হও । ওর সামনে দুপুরে বলেছিলাম যে যাবো। পরে চারটার দিকে আমি,আমার হাবি ও ছেলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
এ পূর্বাচলে রাস্তার পাশের যেসব নার্সারি গুলো আছে গাছগুলির অনেক দাম বলে আপু আমি এখান থেকে কিনি না আমি আমার বাড়ির পাশের বনরুপার মাঠ থেকে কিনে। যাই হোক টাকা বেশি নিলেও এখানে অনেক প্রকারের গাছ পাওয়া যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
পূর্বাচলের তুলনায় আমার বাসার কাছের নার্সারিগুলোতে অনেক বেশি দাম প্রতিটা গাছের। আসলে যেকোনো জিনিস ঢাকাতে বিশেষ করে ধানমন্ডিতে ঢুকলেই তার দাম বেড়ে যায়। ভালো কথা এই বনরূপা মাঠ জায়গাটা কোথায় একটু জানাবেন প্লিজ। কখনো যদি যাওয়া পরে তাহলে গাছ কিনে আনবো।
এটা আপু খিলক্ষেত বনোরূপা মাঠ।