Better Life With Steem | The Diary game 28, November |
Edited by Canva |
---|
আগে যেমন রাত দেড়টা / দুইটার আগে ঘুমানোর কথা ভাবতেই পারতাম না।কিন্তু ইদানিং চেষ্টা করতেছি রাতেরবেলা যতটা সম্ভব আগে ঘুমানোর। কিন্তু বদঅভ্ভাস হয়ে গেছে। যার কারণে ঘুম আসতে চায় না।। তারপর শুয়ে থাকি চোখ বন্ধ করে। যার কারণে ঘুম যদিও আসে তাহলে আবার মাঝরাতে উঠে বসে থাকি। তারপরও এটাকেই অভ্যাসে পরিণত করতে চাচ্ছি।
কারণ প্রতিটি মানুষেরই শরীরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি থাকে প্রতিটি কাজ করার জন্য। আমরা প্রকৃতির সেই নিয়মকে ভেঙে নিজেদের মতো করে চলি। আর যার ফলাফল পরে আমাদের শরীরে। এই প্রাকৃতিক ঘড়ির সব নিয়মতো আর মানা সম্ভব না তারপর যেটুকু পারা যায় সেটুকু মানার চেষ্টা করা উচিত আমাদের সবারই।
আর সেই চেষ্টা থেকেই আগে শুয়ে পরি যতটা সম্ভব। এর ফলে একটা জিনিস অবশ্য খুব ভালো হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট হচ্ছে না। আর সকালে ঘুম থেকে উঠার সবচেয়ে বড়ো সুফল হলো দিন বড়ো হয়ে যায়। এতে করে নিজের জন্য সময় বের করা যায়। যে কাজটা আমরা গৃহবধূ আছি তারা করি না বললেই চলে। আমাদের দিন কেটে যায় অন্যের জন্য। যদিও সেটার জন্য কোনোদিন ধন্যবাদ পাওয়া যায় না। এমনকি কেউ স্বীকারও করতে চায় না খুব একটা।
এই আগেভাগে শোয়ার কারণে আজকেও যথারীতি ভোরবেলাতেই ঘুম ভেঙেছে। সময় পেলেই আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখি। প্রতিমুহুহতে রং পাল্টানো এই আকাশ দেখতে আমি ভালোবাসি। আর ভোরবেলা ও গোধূলীবেলার আকাশের কোনো তুলোনাই হয় না কোনোকিছুর সাথে । আজকেও সকাল বেলা খানিকটা সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
এরপর নিজের কিছু কাজ শেষ করে রান্নাঘরে ঢুকে পড়ি নাস্তা বানানোর জন্য। অবশ্য নাস্তার ঝামেলাও খুব একটা ছিল না। কারণ বড়ো ছেলে সকাল সাতটার আগেই বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। কারণ আজকে ওর ক্লাস আছে। আর যেদিন সকালে ক্লাস থাকে সেদিন ও কিছুই খায় না।তাই ধীরেসুস্থেই রান্নাঘরে গিয়েছিলাম ,আর রুটিও বানানো ছিল ফ্রিজে ,সেটাই শুধু সেকে দিবো হাবিকে । সাথে ডিমভাজা ,সালাদ ও চা এটাই ছিল প্ল্যান। কিন্তু আমরা মানুষরা যতই পরিকল্পনা করি না কেন ঈশ্বরের পরিকল্পনা অন্যরকম হয়।
Edited by Canva |
---|
যার কারণে রান্না ঘরে ঢুকেই ধাক্কা খাই একরকম। গ্যাস একদমই নেই বলা যায়। এমন কখনো হয় না সকালবেলা। দুপুরবেলা গ্যাস থাকে না এটা প্রতিদিনের ঘটনা কিন্তু সকালবেলা অনেক গ্যাস থাকে। যার কারণে রুটি ভাজতে গিয়েই আমার অবস্থা খারাপ। আর ঢুকেছিলামও খানিকটা লেট করেই।
আমার এই অবস্থা দেখে হাবি বললো বেশি কিছু করতে হবে না। সম্ভব হলে শুধু চা আর রুটি দিলেই হবে আর না দিলেও অসুবিধা নেই ,বাইরে থেকে খেয়ে নিবে কিছু একটা। কোনোমতে তাকে রুটি আর চা দেই।
সে বের হয়ে যাওয়ার পর পরই দুপুরের রান্না ঘরে ঢুকি। একবার ভেবেছিলাম যে ,দুপুরে কিছু রান্না করবো না। ছেলেকে বাইরে থেকে কিছু কিনে দিবো। পরে পরিকল্পনা পাল্টে ফেলি। অনেক সময় নিয়ে ভাত ,ডিম ভুনা আর লাউ চিংড়ি রান্না করি। ঐদিকে এসময় বুয়াও এসে তার প্রতিদিনের কাজ করে যায়।
দুপুরের পরে অনেকগুলি কাপড় পরে ছিল কদিনের সেগুলিকে ভাঁজ করে জায়গামতো রাখি। সাথে আরো কিছু টুকটাক কাজ করি।
সন্ধ্যার আগ দিয়ে বড়ো ছেলে বাসায় আসে। আসার সময় ভেজিটেবল রোল ,পেঁয়াজু ,বেগুনি নিয়ে আসে। এরপর আমি আজকের ডায়েরিগেম লিখতে শুরু করি। আর এভাবেই আজকের দিনটা কেটে গেছে আমার।