Better Life With Steem | The Diary game 25, October |
Edited by Canva |
---|
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই এক রোদ্র ঝলমলে সকালের মুখোমুখি হলাম। কদিন থেকেই কেমন জানি এক ঘোলাটে দিন কাটাতে হচ্ছিলো। দেখে অনেকটা কুয়াশার মতো মনে হলেও এটা আসলে ধুয়াশা ছিল।
কয়েকবছর ধরেই শীত আসার আগে দিয়ে এমন ঘোলাটে সময় কাটাতে হচ্ছে। এই সময়টাতে বাতাসের গতিবেগ অনেক কম থাকে যার কারণে শহরের বাতাসে থাকা দূষিত পদার্থগুলি খুব একটা বের হয় না শহর থেকে। বাতাসে থাকা জলীয়বাষ্প ,ধূলিকণা আর এর সাথে জমে থাকা বিভিন্ন ধরণের উপাদান মিলে এরকম ধুয়াশার সৃষ্টি হয়।
কিন্তু আজকে সেই ধুয়াশার কিছুই নেই বরং চমৎকার উজ্জ্বল একটা দিনের দেখা পেলাম। আমার হাসবেন্ড উঠে পড়েছে এরই মাঝে। আমাদের সাভারের জায়গাতে মাটি ভরাটের কাজ চলতেছে। সে সেখানে যাবে ,এর জন্যই এতো দ্রুত উঠা তার। নাস্তার কথা বলে সে জানালো পেঁপে কেটে দিতে। তাই পেঁপে কেটে দিলাম। পেঁপে খেয়ে সে চলে গেলো।
এর কিছুক্ষন পর দুই ছেলেই উঠে পরলো। বড়ো ছেলের আজকে উইন্সকোর্টে ডিউটি আছে। ইদানিং সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই ক্লাস থাকার কারণে খুব একটা কাজ কোর্টে পারে না। তাই চেষ্টা করে শুক্র -শনিবার কাজ করার। ছেলেও বেরিয়ে গেলো উইন্সকোর্টের উদ্দেশ্যে। ছোট ছেলেকে নাস্তা করতে বললাম কিন্তু সে জানালো খাবে না।
Edited by Canva |
---|
এরপর আমি রান্নাঘরে ঢুকে পরলাম রান্না করার জন্য। ফ্রিজে প্রচুর সবজি জমে গেছে। তাই দুপুরের রান্নার সাথে সাথে কিছু সবজি কেটে সেদ্ধ করে বক্সে ঢুকিয়ে রাখার চিন্তা করে কাটাকাটি শুরু করলাম। কেঁটে সেদ্ধ করে রাখলে পরবর্তীতে রান্না করতে গেলে সময় বাঁচে আর সেই সাথে ফ্রিজেও জায়গা কম লাগে। আমি প্রায় সময়ই এটা করে থাকি নিজের সুবিধার জন্য।
অন্যদিন রান্না করার মাঝামাঝি সময়েই বুয়া চলে আসে কিন্তু আজকে তার দেখা নেই। তাই তাকে কল দিলাম। কল দেয়ার সময় ধরেই নিয়েছিলাম যে সে ফোন রিসিভ করবে না। কিন্তু আজকে কেন জানি দোয়া করে কল রিসিভ করলো আর সুখবর দিলো যে সে আজকে আসে নাই ,তার শরীর খারাপ।
এর মাঝে হাবি কল দিয়ে বললো যে সাভার থেকে কিছু আনতে হবে কিনা। তাকে শুধু বেগুন আর কাঁচামরিচ আনতে বলে দিলাম। কিছুক্ষন পর সে এসে হাজির হলো। তাকে দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ হবার উপক্রম। তিনটা লাউ সহ একগাদা সবজি নিয়ে এসেছে। দেখে আমার প্রথমেই মাথায় আসলো এগুলো আমি ফ্রিজের কোথায় জায়গা দিবো?কারণ আমার ফ্রিজে এমনিতেই অনেক সবজি জমে আছে। আমার বিরক্তি দেখে আস্তে করে বললো অনেক কম দাম সাভারে সবকিছুর।
আমার হাবি বাসায় ঢোকার সামান্য পরেই আমাকে এসে বলতেছে যে ,তার এক বন্ধু একটু আগেই কল দিয়ে দাওয়াত দিয়েছে। গাজীপুরের এক রিসোর্টে দুটো রুম নিয়েছে। বিকেলবেলাটা ওই রিসোর্টেই কাটাবে সবাই। আমাদের সাথে আরো কয়েকজন ক্লোজ ফ্রেন্ডকে বলেছে।আমাকে বললো ৪টার আগেই বাসা থেকে বের হতে।
Edited by Canva |
---|
আমার এতো সবজি দেখে এমনিতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে ,আর তার সাথে এতো দ্রুত বাসা থেকে বের হবার কথা শুনে আরও মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে জানালাম যে এতো দ্রুত হয়তো পারবো না।
এর মাঝে আমার বড়ো ছেলে বাসায় এসে খেয়ে আবার চলে গেলো। ওর আজকে সাড়ে ৮টা পযন্ত ডিউটি তাই আমাদের সাথে যেতে পারবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পূর্বাচল দিয়ে গাজীপুরের দিকে রওনা দিলাম। পুরো রাস্তা ভালোই ছিল কিন্তু মাঝে কিছুটা রাস্তা মারাত্মক খারাপ। ঐখানে কাজ চলতেছিল তাই এইরকম খারাপ। কিন্তু এরপরে আবার চমৎকার রাস্তা ,এদিকটাতে আমি আগে কখনো আসি নাই।
আমাদের রিসোর্টে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। এই রিসোর্টের দুইটা অংশ। এখনো পুরোপুরি কাজ শেষ হয় নাই। সন্ধ্যাটা আমরা সুইমিংপুলের পাশেই কাটালাম। ভাই আর ভাবি বার বার রুমে যেতে বলতেছিলেন। কিন্তু বাইরেই বেশি ভালো লাগতেছিলো।
সাড়ে ৮টার দিকে আমরা রুমে গেলাম। এরপর কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে আমরা ডিনার করার জন্য নিচে গেলাম। খাবার শেষ করে আমরা ঢাকার দিকে রওনা দিলাম। ঢাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ১১টা বেজে গেলো। বড়ো ছেলে ওর মামার বাড়িতে ছিল। ওকে তুলে নিয়ে বাসায় ঢুকলাম।