Better Life With Steem | The Diary game 25, December , 2024 |
Edited by Canva |
---|
আজকে এমন একটা বাজে সময় ঘুম ভেঙেছে যে তখন না যায় উঠা না যাই শুয়ে থাকা। শীতের সময় না হলে উঠেই যেতাম কিন্তু জানি উঠলেই শীত লাগবে । তাই শুয়েই রইলাম আর ভাবলাম যে কিছুতেই ঘুমাবো না। কিন্তু কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি সেটা জানি না। উঠেছি একেবারে ৯টার দিকে। উঠেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অস্থির লাগলো যে কখন কি করবো। এরপর হাজবেন্ডকে জাগানোর চেষ্টা করলাম এটা বলে যে ,'তাড়াতাড়ি উঠো '। ব্যাংকে কখন যাবে ?
আমি অবাক হয়ে দেখলাম সে আমার এত্ত জরুরি একটা কোথায় বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে উল্টো হয়ে পাশ ফিরে শুয়ে বললো আজকে যাবো না। তার এই কথা শোনার পরে মাথায় আসলো যে ,আজকে তো ক্রিসমাস ,সবকিছু বন্ধ। এটা মনে পরে মনে হলো যে মাথা থেকে আধমনি বোঝা নেমে গেলো।
এরপর খানিকটা সময়ে শুয়ে থেকে আমি উঠে পড়লাম।একটু পরে দেখি হাবিও উঠে পরেছে । তার কিছুটা তারা আছে কারণ সে আজকে গ্রামের বাড়িতে যাবে। আজকে তার এক দূর সম্পর্কের কাজিনের ছেলের বিয়ের বরযাত্রা। প্রতি বছরই এই সময়টাতে বিয়ের ধুম লাগে। আমরাদের অবশ্য যেতে বলে নাই।
আসলে আমার শশুর বাড়িতে এত্তো মানুষ যে বিয়ের সময় বিশেষ করে বরযাত্রী নির্বাচনের সময় ঝামেলায় পড়তে হয় যে কাকে রেখে কাকে নিবে বা কাকে বাদ দিবে। এই জিনিসটা আমরা খুব ভালো করেই জানি তাই কেউ বাদ পড়লেও তেমন কিছু মনে করে না। আর বললেও যেতে পারতাম না কারণ রাতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান আছে একটা।
এরপর হাজবেন্ডকে বললাম বাজারে যেতে কারণ আমার মাছের বাজারে যেতে ভালো লাগে না। সে দেখি আসার সোময় সবার জন্য নাস্তা নিয়ে এসেছ। নাস্তা খেয়ে সে বেরিয়ে গেলো। রান্না ঘরে ঢুকে দেখলাম প্রতিদিনের মতোই গ্যাস নেই।। ঝামেলা না করে খিচুড়ি আর ডিম্ ভাজি করলাম।
এরপর ছেলেকে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় গেলাম। কারণ ও যাওয়ার আগে ডিউটি ধরিয়ে গেছে।ওর বাসার গাছগুলিতে পানি দিতে হবে দিন দুই /তিনদিন পর পর। সেখান থেকে ফিরে এসে আস্তে আস্তে রেডি হওয়া শুরু করলাম হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য।
বড় ভাইয়ের গাড়ি দুইদিন আগেই এক্সিডেন্ট করেছে। তাই খোঁজ নিলাম কিভাবে যাবে। কারণ আমাদের গাড়িতেও সবার জায়গা হবে না। পরে ভাবি জানালো যে ,ওরা উবার ভাড়া করবে। যাওয়ার সময় অবশ্য আমাদের সাথে আমার এক কাজিনের ছেলেদেরকে নিয়ে গেলাম। 'হলুদের অনুষ্ঠান হবে পূর্বাচল ক্লাবে।
একটু আগেই বের হলাম কারণ জ্যাম থাকলে লেট্ হয়ে যাবে অনেক। আমার দুই ছেলে ,ভাইয়ের ছেলে সবাই নাচবে ওই অনুষ্ঠানে তাই লেট করা যাবে না।
সেখানে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু শেষের দিকে শোনলাম একটা বাচ্চাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে বাচ্চাদের প্রতি এরকম সময় খুব একটা খেয়াল রাখা হয় না আর তখনই এই সমস্যা হয়।
বছরদুয়েক আগে আমার কাজিনের বিয়ের সময় আমরা আগে বের হয়ে গিয়েছিলাম। নিচে নেমে দেখি কার সাথে যেন আমার ভাইয়ের মেয়ে লিফটে করে নিচে নেমে গেছে। যাদের সাথে নেমেছে তারাও হয়তো ভেবেছে সাথে লোক আছে। পরে আমি যেয়ে ওকে ধরে ভাইকে কল দিয়ে জানিয়েছিলাম যে ও নিচে নেমে এসেছে সবার অজান্তে।
কিন্তু গতকালের ঘটনাটা ছিল আরো ভয়ঙ্কর। শোনলাম যে এক মহিলা বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা ক্রস করে ফেলেছিলো। যাইহোক সব ভালো তার যার শেষ ভালো। বাচ্চাটাকে পাওয়া গিয়েছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।
আমরা হলুদের অনুষ্ঠান থেকে ফিরতে ফিরতে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। এভাবেই ক্রিসমাসের দিনটা কাটিয়েছি।
হোয়াটস্যাপ থেকে পাওয়া কয়েকটা ছবি থাকতে পারে। |
---|
প্রথমে জানাই আপনাকে ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, আপনার এক আত্মীয় বিয়ে এর জন্য আপনারা সবাই মিলে পূর্বাচল ক্লাবে গেয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো, কারণ এই সব অনুষ্ঠানে আত্মীয় স্বজন সবাই একসাথে দেখা হয় অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, একটা বাচ্চা হারিয়ে গেছে, এই কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো, এই বাচ্চার জন্য দোয়া করি, ওর মা বাবা যেন বাচ্চাটা কে ফিরত পায়। আমাদের সবার উচিত বাচ্চা দের প্রতি নজর রাখা,ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
বিয়ে মানে আনন্দ উৎসব নাচ গান খাওয়া-দাওয়া এবং মাস্তি করা। বর বউকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছে তাদের এই সুখি দাম্পত্যের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।। সারাটা জীবন যেন এভাবেই হাসি খুশি ভাবে চলতে পারে।
সে সাথে আপনার ছেলেরা মিলে বেশ আনন্দ করেছে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।।