Better Life With Steem | The Diary game 22, November |
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকাল ছয়টার দিকে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো। আমি উঠার ঘন্টাখানেক পরে আমার হাবিও উঠে পরলো। সে ফ্রেশ হয়ে ছোট ছেলেকে ঘুম থেকে টেনে উঠালো। কদিন আগে ছেলেকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলাম। তখন ওকে সেখানকার ডক্টর কয়েকটা টেস্ট দিয়েছিলেন। সেই টেস্ট করার জন্যই ওকে ডেকে তোলা । সাথে ওর বাবাও কয়েকটা টেস্ট করবে। ওর বাবার ডাকাডাকিতে বড়ো ছেলেও উঠে পরলো। ওরা দুইজনে স্কুটি নিয়ে বের হয়ে গেলো।
যাওয়ার সামান্য পরেই আমার ফোন একটা কল আসলো। আমি ব্যাস্ত থাকায় বড়ো ছেলেকে ফোন রিসিভ করতে বললাম। কিন্তু মনের মাঝে কেন জানি একটা বাজে সংকেত দিলো। কারণ বছরদেড়েক আগে
ব্লাড দেয়ার পর পরই ওর ব্লাড প্রেশার ফল করে আর ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এটা নিয়ে ওই সময় সবাই হাসাহাসিও করেছে যে ও ভয় পেয়েছে যার কারণে এটা হয়েছে। এই জিনিসটা আমাকেও সামান্য অবাক করেছিল কারণ এর কিছুদিন আগেও ও ব্লাড টেস্ট করেছে। আর এটা যে শুধু একবার এমন না এর আগে অনেকবারই করেছে।
আজকেও আমার ওই ঘটনা সাথে সাথে মনে পরে যায় এই কাজ ফেলে দ্রুত ফোনের দিকে এগিয়ে যাই। যা ভেবেছিলাম তাই-ই হয়েছে। আজকেও ছোট ছেলের ব্লাড নেয়া শেষ হওয়ার পরে যখন ওর বাবার ব্লাড নিতেছিল তখন আমার ছোটছেলে ওর বাবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল আর তখনি ও জ্ঞান হারিয়ে পরে যায়। ওরা ইবনে সিনার ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে দিয়েছিলো।
পরে সেখান থেকে ওকে তাদের হসপিটালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যেতে বলে। আরএজন্যই কল দিয়েছে আমার হাসবেন্ড। কারণ স্কুটিতে ওকে নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছিলো না। তাই বড়োছেলেকে গাড়ি নিয়ে যেতে বলে। এই ঘটনা আমার ভাই শোনে সেও সাথে যায়। আমিও যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে ওরা যেতে নিষেধ করে ।
একটু পরে কল দিয়ে জানতে পারি যে ,সেখানকার ডক্টর বলেছেন যে ,অনেক সময় এমন হয়। ব্লাড দেয়ার পরে আমাদের ঘরের কাছের ধমনীর নার্ভাসনের কারণে ব্রেইনকে খবর পৌঁছে দেয় যে ,ব্লাড প্রেশার কমে গেছে। এর পরে পেসেন্ট অজ্ঞান হয়ে যায় । পরে গিয়ে আমার ছেলের চোখের কোনা সহ শরীরের কয়েক জায়গা কেটে গেছে । । কি একটা সিনড্রোম এর নাম বলেছিলো আমাকে ক্কিন্তু সেই নামটা আমার এই মুহূর্তে মনে নেই । এটা যেকোনো সময় যে কারও হতে পারে।
এজন্য ডাক্তাররা ব্লাড দেয়ার সাথে সাথে দাঁড়াতে নিষেধ করেন। আমি অবশ্য এই জিনিসটা পরে জানতে পেরেছি। এই নার্ভাসনেস আমাদের সাবকনশাস মাইন্ডে জন্ম নেয়। আমাদের মন জিনিসটা খুবই সেনসেটিভ।
কিছুক্ষন পরেই ওরা বাসায় আসে। আসার পরে আমার ছেলে বলতেছে যে ,বাবাও একসিডেন্ট করেছে। পরে জানতে পারলাম যে ,টেশনের কারণেই হয়তো স্কুটি নিয়ে সেও পরে গেছে। এজন্যই আমি এসব স্কুটি কিংবা বাইক কেনার পক্ষপাতী ছিলাম না। দেখলাম তার পা কেটে গেছে। আমার বড়ো ছেলে বলতেছিলো যে ,আজকের দিনটাই খারাপ। আমি অবশ্য এসব কুসংস্কারে খুব একটা বিশ্বাস করি না।
এতো সব ঝামেলাতে সকালে আর নাস্তা বানানোর কথা মনে ছিল না। যার কারণে ছেলে নাস্তা কিনে নিয়ে আসে।
Edited by Canva |
---|
একটু পরে দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেলি। দুপুরে সবাই একসাথেই খাই।সন্ধ্যার পর পর আমার বড়োভাই আসে তার ভাগ্নেকে দেখার জন্য। আমার বড়ো ছেলে ওকে জানিয়েছে। আসার সময় পিঠে ,মোগলাই পরোটা আর পুরি নিয়ে আসে। কিন্তু সেগুলোর ছবি তুলতে মনে নেই। সেগুলোই সবাই খায়। যার কারণে রাতে আর কেউ অন্য কিছু খায় নাই। তাই সব কিছু গুছিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখি। এভাবেই বাজে একটা দিন কাটালাম।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |
আপু প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবেই উপস্থাপনা করার জন্য। শরীর অসুস্থ হলে ডাক্তারের পরামর্শ জন্য আমরা সবাই চেয়ে থাকি আর ডাক্তার আমাদের ভালোর জন্যই অনেকগুলো করে টেস্ট দিয়ে থাকে এটা খুবই ভালো তবে একটা খারাপ লাগার বিষয় হল যদি আমি ডাক্তার পরিবর্তন করি তাহলে যে টেস্টগুলো আমি এর আগে করছি সেগুলো আর কাজে লাগে না নতুন করে আবার করতে হয়।
শরীর থেকে রক্ত নেওয়ার সময় আমারও অনেক ভয় লাগে প্রত্যেক বছর মেডিকেল করার সময় আমাকেও রক্ত দিতে হয় কিছু পরিমাণ।