Better Life With Steem | The Diary game 16, December ,2024 |
Edited by Canva |
---|
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় বিকট শব্দে। ঘুম ভেঙে শুরুতে কি হচ্ছে কিছু বুঝতে না না পারলেও পরমুহূর্তেই মনে হলো যে ,আজকেতো ১৬ ডিসেম্বর মানে আমাদের বিজয় দিবস।প্রতি বছরই বিজয় দিবসে সূর্যোদয় হওয়ার সাথে সাথে তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমান বন্দরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীরদের প্রতি গান স্যালুট প্রদর্শন করে।
এই শব্দ শুনলে একধরণের ভালোলাগায় মন ভরে উঠে। প্রত্যেকবারই আমার হাবি পাশে শুয়ে শুয়ে গুনতে থাকে কতবার তোপধ্বনি হলো। তোপধ্বনি শেষ হওয়ার পরে সে আমাকে বলে যে ,তার বন্ধু গাজীপুরের কাপাসিয়াতে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়েছে। আমি একথা শুনে আবারো ঘুমিয়ে পরি। দ্বিতীয়বার ঘুম থেকে উঠার পরে ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করি ওরা যাবে কিনা। ছোট ছেলে জানিয়ে দেয় যে সে যাচ্ছে না আর বড় ছেলে রাজি হয়।
কিন্তু পর মুহূর্তেই বলে যে আজকে তো জেমসদের ওপেন কনসার্ট হওয়ার কথা। এটা হলে প্রচন্ড রকমের জ্যাম হবে। এমনিতেই বিজয় দিবস হবার কারণে অনেক রাস্তাই বন্ধ থাকবে আজকে । আর এই কনসার্ট হবে আমার বাড়ির খুব কাছেই যার কারণে এদিকটা দুপুরের পর থেকেই মানুষ দিয়ে ভরে যাবে। কাপাসিয়া খুব সহজে যাওয়া গেলেও সেখান থেকে বাসায় ফিরতে হলে উড়ে আসতে হবে কিংবা কনসার্ট শেষ হওয়ার পরে মানুষ কমে গেলে বাসায় ফিরতে হবে। তাই কাপাসিয়াতে বেড়াতে যাওয়ার চিন্তা বাতিল করে দেই।
আগের দিনের ভাত রয়ে গিয়েছিলো অনেকগুলি। আমার বাসায় কেউ সকালে ভাত খেতে পছন্দ করে না।এছাড়া ভাতগুলি রান্নার সময়ই কিছুটা নরম হয়ে গিয়েছিলো। বুয়া আসলেও দিয়ে দেয়া যেত কিন্তু সে তিনদিনের ছুটি নিয়েছে। তাই এই ভাত দিয়ে কি করা যাই ভেবে ফাঁকিবাজি চিন্তা করে এই ভাত দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে দেই নাস্তা হিসেবে ,সাথে ডিমভাজা আর আচার।
আমাকে আমার ছেলে এরই মাঝে জানায় যে ,আজকে আর কিছু রান্না করো না ,বাবা বলেছে যে আজকে সুলতান দিনের কাচ্চি খাওয়াবে। এটা শুনে আমিও বেঁচে যাই। আমি ছেলেকে বলি যে চল কাছাকাছি কোথাও থেকে ঘুরে আসি। ও আমার কোথায় রাজি হয়ে যায়। আসলে আমার পরিকল্পনা ছিল নার্সারিতে যাওয়া।
কয়েকদিন আগে এক নার্সারিতে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে কোনো সারকুলেন্ট পাই নাই ,তাই আজকে বের হওয়া। অনলাইনে পাওয়া যায় কিন্তু অনেক দাম চায় । আমি অবশ্য ওদের কাউকে আমার পরিকল্পনার কথা জানাই নাই। আমার বড়ছেলে বলে যে , চলো ৩০০ফিট থেকে ঘুরে আসি।
আমরা সংসদভবন এর ঐদিকে নামার প্ল্যান করলেও আর নামা হয় নাই। আমরা চলে যাই ৩০০ ফিটের দিকে।
বনানী ব্রিজের ঐদিকে নার্সারিতে একটা নার্সারিতে যাই কিন্তু সেখানেও সারকুলেন্ট দেখতে পেলাম না । তার পরেও ৫টা গাছ কেনা হয়ে যায়। ওই দিকেও খুব একটা লেট করি নাই। আমাদের বাসায় ফেরার একটা তাগাদা ছিল। কারণ কনসার্টের কারণে বাড়িতে যাওয়া কঠিন হয়ে যাবে লেট হলে । আমরা যখন মানিকমিয়া এভিনিউতে পৌঁছাই তখন মাত্র শুরু হয়েছে আর স্রোতের মতো মানুষ ঢুকতেছে।
কিন্তু আমাদের আর সুলতান ডাইনের কাচ্চি খাওয়া হয় নাই। বাসায় ঢুকার আগে তেহারি ঘর থেকে তেহারি নিয়ে বাসায় আসি।
সন্ধ্যায় আমার ভাই আসে ছেলেমেয়েকে নিয়ে। ১০টার দিকে আমার ছেলেরা কনসার্টে যাবে বলে জানায়। তখন আমাকেও যেতে বলে। আমি ধানমন্ডি ২৭ নাম্বার এর দিকে যাওয়ার পরে ফেরত আসি বাসায়। কিছুক্ষন পরে সবাই বাসায় চলে আসে। আর এভাবেই বিজয় দিবসের দিনটা কেটে যায়।
Camera | iPhone 14 |
---|---|
Photographer | @sayeedasultana |
Location | Dhaka,Bangladesh |