Better Life With Steem | The Diary game 13 , October | দূর্গা পুজোর ছুটিতে কুমিল্লার পথে যাত্রা।
ক'দিন থেকেই মনটা কিছুটা খারাপ ছিলো এটা ভেবে যে, দূর্গা পূজোর ৪ দিন ছুটি পেলাম কিন্তু ছুটির দিনগুলো ঢাকার ভেতরেই কাটাতে হলো।কোথাও যাওয়া হলো না।যদিও মুখে কিছুই বলি নাই কিন্তু আমার মনের অবস্থা আমার ছেলে ও তাদের বাবা খুব ভালো করেই জানে।তাই রাতের বেলা আমার ছেলে এসে জানালো যে, আগামীকাল আমার দুই জায়গাতে দাওয়াত আছে। তুমি যদি কোথাও যাও তাহলে আমি ওদের মানা করে দিবো।
একটু পরে ওর বাবা এসেও বললো যে, সকালবেলা তার ভাগ্নে আসতে চাচ্ছে।আমি কোথাও গেলে ওকে মানা করে দিবো। আমি দুজনের কথা শুনে খানিকটা বিরক্ত হয়েই মানা করে দিলাম এটা বলে যে কোথাও যাব না। খানিকটা মন খারাপ নিয়েই ঘুমিয়ে পরেছিলাম। সকাল বেলা আমার হাবি আমাকে ঘুম থেকে তুলে বললো যে, আমি যেন আমার ভাই কিংবা ভাবিকেও বলি বেড়াতে যাওয়ার কথা।
ভাবিকে কল দেয়ার পর সে রিসিভ না করায় আর চেষ্টা করি নাই। আমার কেন জানি মনে হচ্ছিলো যে, এই অল্প সময়ের মাঝে ওরা বের হতে পারবে না।আমার হাসবেন্ড পদ্মা ব্রিজ পার হয়ে কোথাও যাওয়ার প্ল্যান করতেছিলো।
আমরা প্রায় রেডি হয়ে যাওয়ায় পরে আমার ছেলে তার মামাকে কল দিয়ে রেডি হতে বলে। আমার ভাই এর খুব একটা যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও শুরুতে রাজী হয়ে যায়।আসলে ভাইয়ের কাজ ছিলো আমাদের গ্রামের বাড়িতে।
কিন্তু ঝামেলা করে দুই ভাগ্নে।ওদের কাজ ছিলো কিছু তাই আমার ভাই চলে যায়। কিন্তু ভাবি আমাদেরকে বলে যে, আমি তোমাদের সাথে যাবো। আমাদের রাজী না হওয়ার কোন কারন ছিলো না।
কিন্তু এসব প্ল্যান করতে করতে অনেক লেট হয়ে যায়।তাই আমরা পদ্মানদী পার হওয়ার প্ল্যান বাতিল করে কুমিল্লার দিকে এগিয়ে যাই।
শ্রীমঙ্গলের পরে এটাই আমাদের ঢাকার কাছাকাছি ঘোরার সবচাইতে প্রিয় জায়গা বিশেষ করে আমার ছেলেদের কাছে।খুব আগ্রহ নিয়ে যেয়ে মিয়ামিতে খিচুড়ি খায়, এরপর ওদের আগ্রহ শেষ হয়ে যায়।ঢাকায় আসার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পরে।
এজন্য আজকে বের হওয়ার আগেই শর্ত দিয়ে রেখেছি যে ,আজকে খেয়েই ঢাকার দিকে আসা যাবে না।কারণ কুমিল্লাতে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। বিশেষ করে বৌদ্ধবিহার পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু। এখনো অনেক জায়গাতেই খনন কাজ চলতেছে।
যদিও খুব ভালো করেই জানি যে ,আজকে প্রচুর মানুষ ছুটি কাটিয়ে ঢাকাতে ঢুকবে। যার কারণে রাস্তায় ভালোই জ্যাম হবে। একারনে ওদেরকে বলেছি যে ,আমরা ৪টার মাঝে কুমিল্লা ছাড়বো। ওরা আমার এই শর্ত মেনে নেয়।
আমাদের বাসা থেকে বের হতে হতে প্রায় ৯টা বেজে যায়। ভাবীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাই কুমিল্লার পথে।