Better Life With Steem | The Diary game 13, December ,2024 |
Edited by Canva |
---|
আজকে ঘুম ভাঙছে প্রতিদিনের মতোই ভোর বেলা কিন্তু শীতের কারণে উঠতে ইচ্ছে করছিলো না। যার কারণে উঠি উঠি করে আবারো ঘুমিয়ে পরেছি। একটা জিনিস আমি খেয়াল করেছি যে ,ছুটির দিনে কেন জানি অতিরিক্ত আলসেমি লাগে। আরো একবার ঘুম ভেঙেছে ছেলের ডাকে। ঘুম ঘুম চোখে শোনলাম ,ও আমাকে বললো যে আমি বাইরে থেকে ঘুরে আসি একটু আর আসার সময় নাস্তা কিনে আনবো আমি। উত্তরে আচ্ছা বলে বলে আবারো ঘুমিয়ে পরেছি আমি।
এরপরে উঠেছি প্রায় সাড়ে নয়টার দিকে। আজকেও বুয়া আসবে না আগেই জানিয়ে রেখেছিলো তাই ঘরের টুকিটাকি কাজ করতে শুরু করলাম। এমন সময় আমার হাবি এসে জানালো যে সে গ্রামের বাড়িতে যাবে। তাই ছেলেকে কল দিলাম কোথায় আছে জানার জন্য। নাস্তা নিয়ে যেন দ্রুত বাসায় আসে। একটু পরেই ও বাসায় চলে আসলো। দেখি তন্দুর আর সবজি ও হালুয়া নিয়ে এসেছে।
এরপর সবাই একসাথেই নাস্তা করে নিলাম। প্রতিদিনই চেষ্টা করি দুপুরের রান্নাটা দ্রুত শেষ করতে। কারণ একটু লেট্ হলে গ্যাসের প্রেশার কমে যায়। এই জিনিসটা গরমের দিনের তুলনায় শীতের সময় আরো বেশি হয়। আজকে ঘুম থেকে উঠেছি অনেকটাই দেরি করে যার কারণে দুপুরের রান্না করতে গিয়েছি লেট্ করে। যেয়ে দেখি গ্যাসের প্রেশার একদমই কম। তাই কি রান্না করবো সেটা নিয়ে কিছুটা টেনশনে পরলাম।
একবার ভাবলাম যে ইলিশ পোলাউ রান্না করি।কিন্তু বড়ো ছেলে বললো ফ্রাইড রাইস রান্না করো। সাথে সবজি আর চিলি চিকেন। কিন্তু আমার চিকেনই নাই বাসায়। ও আমাকে বললো যে আমি নিয়ে আসতেছি। কিন্তু ওর মাঝে যাওয়ার কোনো লক্ষনই দেখলাম না। তাই পোলাউ রান্নার প্ল্যান বাদ দিয়ে ভাত মাছ রান্নার কথাই ভাবলাম। সাথে ভাজি আর আলু ভর্তা ও ডাল ।
একটু পরে কলিং বেলের শব্দ শুনে খুলে দেখি ছেলে ওর মামাতো ভাই-বোনকে বাসায় নিয়ে এসেছে। ফ্রিজে গতকালের বানানো পুডিং ছিল সেটাই বের করে দিলাম। দুপুরে ভাত খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ওরা দেরি না খুব একটা। ওরা চলে গেলো। ছেলেকে বললাম ওদেরকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসতে।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে বারান্দায় গিয়ে দেখি আমার বেশ কয়েকটা ছোট ছোট গাছ পট সহ উল্টো হয়ে পরে আছে। বুঝতে পারলাম পাখির কাজ হবে এগুলো।আসলে পানির বোতল কেটে গাছগুলি লাগিয়েছিলাম আমি। খুব হালকা হওয়ার কারণে খুব সহজেই উল্টে দিতে পেরেছে। আমি বুঝিনা আমার ছোটো ছোট গাছের সাথে পাখির কি শত্রুতা ! সেগুলোকে তুলে সোজা করে রেখে আসলাম।
সন্ধ্যার আগে দিয়ে আরো একবার বারান্দায় গিয়ে দেখি একটা উল্টো হয়ে পরে আছে আর দুইটা গাছকেই তুলে ফেলেছে। পরে নুতুন করে আবারো লাগিয়ে ভেতরে নিয়ে আসলাম। পাতাবাহার হবার কারণে গাছ দুটো মারা যাবে না কিন্তু অন্য গাছ হলে বাঁচানো যেত না। সন্ধ্যার কিছুক্ষন পরে ভাগ্নে এসেছিলো।
ও চলে যাওয়ার পরে আজকের ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম। আর এভাবেই দিন শেষ করলাম।
এই যা বলেছেন ছুটির দিন তো শীতের সময় মানে ভীষণ আনন্দের একটা দিন। বিশেষ করে শীতের সকালটায় বেশ মজা করে ঘুমানো যায়। তবে এটার থেকে আরো মজার হয় যদি খেজুর রস খাওয়ার সুযোগ থাকে। সূর্য মামা জাগার আগেই খেজুরের রস খেতে হবে তবেই মজা। সূর্য উঠে গেলে যেন খেজুরের রস ঘোলাটে হতে শুরু করে যেটা আমি অনেক বারই লক্ষ্য করেছি।
গ্যাসের প্রেসার কম বা বেশি যেটা আমাদের গ্রামের মানুষের ক্ষেত্রে একদমই ম্যাটার করে না। গ্রামের সকল নারীরা এই রান্নার ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে শহরের মানুষের তুলনায় অনেকটা স্বাধীন। প্রথমত যখন খুশি তখন তারা রান্না করতে পারে এবং মাটির চুলায় কাঠের রান্না অনেক সুস্বাদু হয়।
ওহ, গাছের পট সম্ভব হালকা থাকার কারণেই পাখিরা সহজে উল্টাতে সক্ষম হয়েছিল। যাক, শহরে থেকে ও পাখিদের অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য এবং নিষ্ঠুর দেখুন আমরা গ্রামের মানুষ, প্রতিবছর শীতের সময় অতিথি পাখি নিধন করছি। যে কারণে এই বছর অতিথি পাখি দেখাই যাচ্ছে না। এমনকি প্রজাপতি ও চড়ুই সহ অনেক পাখি এখন আর দেখাই যায় না।
আহ!এই সকাল বেলাতেই আপনি খেজুরের রসের কথা মনে করিয়ে দিলেন।এখন কই পাবো ওই ব্যাটাকে?
খেজুরের রস মনে হয় বছর দশেক পরে গতবছর খেয়েছিলাম একবার সেটাও খুব ভোরে মানিকগঞ্জের দিকের এক গ্রামে যাওয়ার পথে। রাস্তার ওপর কয়েকটি কলস দেখে আমরা সেখানে থেমে রস খেয়েছিলাম। এখন আর আমাদের দিকে কোথাও পাওয়াই যায় না রস।
এটা একদমই ঠিক বলেছেন যে, মাটির চুলার রান্নার কোন তুলনাই হয়না। আর সেটা যদি মাটির পাত্রে হয় তাহলেতো আরো সোনায় সোহাগা।
ঢাকাতে পাখি বলতে মূলত কাক।সাথে কয়েকটা চড়ুই, দুই-একটা শালিক আর কবুতর দেখি।তবুওতো আমাদের বাড়ির কাছাকাছি লেক থাকার কারনে কিছু পাখি ওইদিকের গাছগুলোতে বাস করে। সেটাও কতদিন থাকে কে জানে। ইদানীংতো শুনতেছি ৪জি, ৫জি ইন্টারনেটের কারনে পাখরা মারা যাচ্ছে সাথে গাছও নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হছে।