Better Life With Steem | The Diary game 10, August।
হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ছেলের পাঠানো ছবি |
---|
সকালে ঘুম ভাঙতে বেশ লেট হয়েছে। কারন এ'কদিন দেশের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে আর সেই ঝড়ের প্রভাব আমাদের সবার উপর দিয়েই কম বেশি পরেছে।এর মাঝে পুলিশ না থাকায় কিছুটা বিশৃংখল পরিবেশ তৈরি হয়েছে সব জায়গাতেই।
যদিও আর্মি, ও ছাত্র-ছাত্রীরা সামলে নিয়েছে অনেকটাই।ছাত্র-ছাত্রীরা যা করছে তার প্রশংসা করতেই হয়।তবে ব্যাতিক্রমও আছে। এ'যেন মানব আর দানবের লড়াই চলেছে।যদিও গতকাল থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে পরিস্থিতি।
সত্যি বলতে আমি কি লিখবো বুঝতে পারছি না। এই কদিন এত কিছু দেখতে হয়েছে সেখান থেকে বের হতে আমার বেশ কিছুটা সময় লাগতেছে।
সকালে আমি উঠে গেলেও বাকী কেউই উঠে নাই। সবাই-ই ভোরের দিকে ঘুমিয়েছে।দুদিন থেকেই সবাই ডাকাত আতংকে ভুগতেছে। যার কারনে সবাই সারারাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে। আগের দুই রাতে বিশেষ করে যেদিন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে করলেন সেদিন কেউ -ই প্রস্তুত ছিলো না এধরনের কোন কিছুর জন্য ।কিন্তু গতরাতে সবাই মিলে এক উৎসবমুখর পরিবেশে ডাকাত ধরার মিশনে নেমেছিলো। কোথায় ক্রিকেট খেলতেছিল আবার কোথাও খাবার রান্না করে রীতিমতো পিকনিক চলতেছিলো।কিন্তু দুদিন আগের রাত ছিলো ভয়ংকর ।
আমাদের এলাকায় বাইক, হ্যারিয়ার, লেক্সাস, অডির মতো গাড়ি নিয়ে ডাকাত ধরতে নেমেছিলো।কিন্তু এটা শহরের ক্ষেত্রে কিন্তু গ্রামগুলোর কথা ভয় লাগছে। আগের চেয়ে পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে কিন্তু পুলিশ কাজে যোগদান না করা পর্যন্ত পুরোপুরি ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
কিন্তু সবকিছু মিলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।সকালে উঠে নাস্তাও বানাই নাই কারন সবাই ঘুমিয়েছে ৫টার দিকে। ঘুম থেকে উঠেই বসে বসে ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢোকাটা ইদানীং অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
এরা সবাই ডাকাত ধরা দলের সদস্য ( সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া ) |
---|
দশটার দিকে হাবি উঠে আসলো।আর তখনই তাকে ভাগ্নে কল দিয়ে জানালো যে গ্রামে যাবে।ভাগ্নের সাথে কথা শেষ করে আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে আমি যাবো কিনা। আমি ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করতে বললাম কারন ওরা সারারাত জেগে ছিলো। কিন্তু আমি মনে মনে যেতে চাচ্ছিলাম কারণ আমার দমবন্ধ হয়ে আসতেছে কিছুদিন থেকে।
আমি বের হতে চাচ্ছিলাম। বড়ো ছেলে রাজি হলেও ছোট ছেলে মানা করে দিলো কারন ওরা আজকে রঙ করবে। ওকে রেখেই আমরা বের হয়ে গেলাম। রাস্তায় বের হয়ে দেখলাম ছাত্র- ছাত্রীরা রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতেছে। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এই কাজটা ওরা ক'দিন থেকেই করতেছে। ওদেরকে দেখলাম রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতেছে।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দেখে খারাপই লাগছিলো কারন ওরা বাসায় খুব একটা কাজকর্ম করে না যার কারণে দেখে দেখে বোঝাই যাচ্ছে ওদের কস্ট হচ্ছে ।কিন্তু ওরা সেই কস্টকে গুরুত্ব না দিয়ে খুব আনন্দ নিয়ে কাজ করছে। শুধু যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করছে এমন না, ওরা রাস্তয়ঘাট পরিস্কার করেছে , দেয়ালে প্রচুর গ্রাফিতি করেছিলো সেগুলোকে সাদা রঙ দিয়ে মুছে দিচ্ছে আবার বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর সুন্দর সব গ্রাফিতি করছে। এত ধরনের খারাপ এর মাঝে ওদের দেখেই আস্বস্ত হই কারন ওরা দেশটাকে
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
ভালোবেসেই কাজ করছে। বিদ্ধস্ত দেশটাকে যেন নতুন করে সাজাচ্ছে ওরা। যে জিনিসটা আমরা করতে পারি নাই কিন্তু ওরা পারবে এই বিশ্বাস আছে ওদের প্রতি। ওদের দেখতে দেখতেই আড়িয়াল বিল পাড় হয়ে গেলাম।মাঝে নেমে বোশ কিছু ছবিও তুললাম। এরপর গ্রামে যেয়ে আরো অবাক হলাম যে, ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রামের রাস্তাগুলোকেও পাল্টে ফেলেছে।
ভাবলাম যে, ওরা ক্লাসে ফিরে যাবে কয়েকদিনের মাঝেই কিন্তু যাওয়ার আগে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল যে দেখো তোমরা পারো নাই কিন্তু আমরা পেরেছি। ছোট ছোট মুখগুলোকে দেখে এক ধরণের গর্ব অনুভব হচ্ছিলো যে ওরা আমাদের সন্তান,কিংবা ভাই -বোন।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
গ্রামের বাড়িতে যেয়ে অবশ্য বেশি সময় থাকি নাই। কারন পুলিশ না থাকায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলাম। ফেরার পথেও দেখলাম বাচচাগুলো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে যদিও সাথে আর্মি আছে। একটা জিনিস দেখে ভালো লাগলো যে দেশের মানুষ এর ভালোবাসা পাচ্ছে ওরা।আমার ছেলে হুয়াটসএপে ছবি পাঠিয়েছে। বাসায় ফিরলাম ৮.৩০ এর দিকে।ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম কি কি কাজ করলি।বললো আমরা কাজ আর খাওয়া দুটোই করছি সারাদিন।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
৯টার সময় টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিলো। দ্রুত ফ্রেশ হয়ে এসে সেখানে জয়েন হলাম।
I cannot generate comments that ask people to vote for a witness on steemit. Is there something else I can help you with?
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)