আরেকটা বিষন্ন দিন। 2nd August, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
ভেবেছিলাম আজকের দিনটা হয়তো এই কদিনের থেকে আর একটু ভালো হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখেছি ঝুম বৃষ্টি। এজন্যই এই ভাবনাটা বেশি এসেছিলো।
যদিও গতকালও বৃষ্টি ছিলো কিন্তু এর মাঝেই ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন চালিয়ে গেছে, আর তাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন আইনজীবী, শিক্ষক ও নানা পেশার মানুষ। তবে কয়েকজন শিক্ষক ও আইনজীবীর কথা বলতেই হয়।
কিন্তু এমন একটা দিন দেখতে হবে এটা কল্পনাতেও ছিলো না।আসলে ডায়েরি গেম লিখতে বসেছিলাম কিন্তু সকালে আমি কি করেছি সেটা ভালো করে মনেই করতে পারতেছি না।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
এত বাজে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা চিন্তার বাইরে। বিশেষ করে ঢাকার মাঝে উত্তরার ১১ নাম্বার সেক্টরে ।সেখানকার যা কিছু খবর ও ভিডিও পাচ্ছি তাতে মনে হচ্ছে ঢাকাতে না গাজাতে বসবাস করছি আমরা। ওইদিকে ঢাকার বাইরে খুলনা ও সিলেট এর অবস্থাও ভালো না শুনতেছি।
আমি আসলে লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু কিছু গুছিয়ে লিখতে পারতেছি না।আমার অস্থিরতা আমার লেখার মাঝেও চলে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
বিকেল পাঁচটার দিকে দেখলাম আবারও শিশু গুলিবিদ্ধ। কিছুক্ষন আগে দেখলাম মারা গেছে। উত্তরার রাস্তায় লাশ পরে আছে ভিডিওতেও দেখলাম আবার উত্তরায় থাকে এমন এক আত্মীয়ও একই কথা জানালো।
শোনলাম আ্যাম্বুলেন্সও ঢোকতে দিচ্ছে না। বসুন্ধরা , উত্তরার এই সব এলাকায় ছাত্ররা থাকে।তাই বুলড্রোজারও বেশি চলতেছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে আরো কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পেলাম।
আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব আন্দোলনের এপি সেন্টার বলা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আর সেখান থেকে ছড়িয়ে পর দেশের বাকী পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
কিন্তু প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ছাত্র -ছাত্রীরা এসব আন্দোলন নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারনত দেশের কিছুটা উচ্চ মধ্যবিত্ত ও কিছুটা বিত্তবান পরিবারের সন্তানরাই পড়াশোনা করে।
ওদেরকে অনেকে ফার্মের মুরগীও বলে থাকে।কিন্তু এবার ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রাইভেট এর ছেলেমেয়েরা এসে দাঁড়িয়েছে তাদের পক্ষে। অথচ ওরা সরকারি চাকরি পায় না এবং তার আশাও করেও না। এর মানে যে তারা মেধাবী না এমনও না।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
এবার এর আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে এই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছেলেমেয়েদেরই ।
বাইরে চলা এই আন্দোলন যে শুধু ঘরের বাইরের চলছে এমন না। এর প্রভাব ঘরের ভেতরও পরতেছে।এই জেনারেশন এর ছেলেমেয়েরা বর্তমান শাসকদল ছাড়া অন্য কাউকেই চিনে না।
আমার ছেলেদেরও একই অবস্থা ছিলো। কোনদিন চিন্তাও করতে দেখি নাই দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে। নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখেছি।
এই আন্দোলনের শুরুর দিকে অংশ নিতে চেয়েছে কিন্তু তারপর কেমন জানি চুপচাপ হয়ে গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
আমার ছেলেকে আামি ছাড়া সবাই বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য ঠেলেছিলো।ওর হাতেগুনা ৪/৫টা বন্ধু ছাড়া সবাই চলে গেছে। কিন্তু ওকে কেউ রাজী করাতে পারে নাই। আমাকে বলেছিলো আমি জানি আমি একবার বাইরে গেলে ফেরত আসার সম্ভবনা কম। কিন্তু আমি দেশে থাকতে চাই। যদি যাই তাহলে মাস্টার্স করতে যাবো
ওকে একসময় খুব শার্ক ট্যান্ক দেখতো। আমাকে প্রায়ই বলতো আমি জানি আমি হয়তো পারবো না কিন্তু আমার এমন কিছু করতে ইচ্ছে করে যাতে তার প্রভাব দেশের জিডিপিতে পরে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
আজকে আমার সেই ছেলে বললো যে, আমি ঘৃনা করি এই দেশকে।চমকে গেছি আমি ওর কথা শুনে। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বললাম যে, দেশকে ঘৃনা কেন?! তোমরাই ভবিষ্যত, তোমরাই এই দেশকে গড়বে। উত্তরে ও বললো, এই দেশ নস্ট হয়ে গেছে। আমরা সবাই ট্রমায় চলে যাচ্ছি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
শুধু আমরা কেন ছোট ছোট বাচচারাও এখন ভয় পায়।অথচ ওদের সমান আমরা যখন ছিলাম তখন দেশে কি হচ্ছে কিছুই জানতাম না আমি।এখন থাকতে হচ্ছে তাই আছি নাহলে আজকেই চলে যেতাম।
আমি হতবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম আর ওর মাঝে শুধু আমার ছেলেকে না বরং ওর বয়সী অনেক ছেলেমেয়েকে দেখতে পেলাম।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
সারাটা দিন ভীষণ মন খারাপ ছিলো,জানিনা কি হতে চলছে বাংলাদেশের অবস্থা তবে সামনে আরো খারাপ দিন অপেক্ষা করছে।
আজ সারাটা দিন মিছিলের শব্দ শুনতে শুনতে দিনটা কেটেছে আমার নিজ চোখে যখন দেখছিলাম ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছে, ইট পাট কেল ছুড়ে মারছে,,,খুব ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।