আমার হাতের তৈরি"হাঁসের ডিম কষা"
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো থাকুন।লেখার প্রথমেই জানিয়ে রাখি সবাইকে
বৃহস্পতিবার টা যেন সবার ভালো কাটুক এই শুভেচ্ছাই জানিয়ে রাখি।
আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম যে আমি ডিম খেতে খুব ভালোবাসি।ডিম হলে আমার আর কিছু লাগেনা।
আজ আমার স্বামী বাজার থেকে হাঁসের ডিম আনলো।আমার শাশুড়ি আবার হাঁসের ডিম খায় না।
তাই মামণির জন্য মুরগির ডিম রান্না হবে।আর আমাদের চার জনের জন্য হাঁসের ডিম রান্না হবে।
আজ আমি কীভাবে হাঁসের ডিম কষা রান্না করলাম তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
হাঁসের ডিম রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:-
১)হাঁসের ডিম-৬ টা।
২)পিঁয়াজ বাটা-৩ চা চামচ।
৩)আদা বাটা-১ চা চামচ।
৪)রসুন বাটা-১ চা চামচ।
৫)টমেটো বাটা-২ চা চামচ।
৬)কাঁচা লঙ্কা বাটা-১ চা চামচ।
৭)জিরের গুঁড়ো-১ চা চামচ।
৮)ধনের গুঁড়ো-১ চা চামচ।
৯)লঙ্কার গুঁড়ো-১ চা চামচ।
১০)গরম মশলার গুঁড়ো-সামান্য পরিমাণ।
১১)হলুদ-পরিমাণ মতো।
১২)নুন-স্বাদ মতো।
১৩)সরষের তেল-২ চামচ।
হাঁসের ডিম রান্না করার পদ্ধতি:-
১)গ্যাস জ্বালিয়ে একটি পাএের মধ্যে জল দিয়ে তার মধ্যে ডিম গুলো দিয়ে সামান্য পরিমাণ নুন দিয়ে সেদ্ধ করতে বসালাম।
২)কিছুক্ষণ বাদে গ্যাস নিভিয়ে ডিম গুলো নামিয়ে নিলাম।
৩)তারপরে একটু ঠান্ডা হলে ডিম গুলোর খোসা ছাড়িয়ে একটা পাএে রাখলাম।
৪)ডিম গুলোর মধ্যে নুন,হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
৫)আবার গ্যাস জ্বালিয়ে একটা কড়াই গরম করতে বসালাম।
৬)কড়াই গরম হলে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম।
৭)তেল গরম হলে তেলের মধ্যে নুন,হলুদ মাখানো ডিম গুলো দিয়ে দিলাম।
৮)ডিম গুলো হালকা ভাবে ভেজে একটা পাএে তুলে নিলাম।
৯)তারপরে কড়াইতে অবশিষ্ট তেলের মধ্যে এক চামচ তেল দিলাম।
১০)তেল গরম হলে তেলের মধ্যে পিঁয়াজ বাটা,আদা বাটা,রসুন বাটা,কাঁচা লঙ্কা বাটা,টমেটো বাটা দিয়ে দিলাম।
১১)কিছুক্ষণ বাদে মশলাটার মধ্যে জিরের গুঁড়ো, ধনের গুঁড়ো,লঙ্কার গুঁড়ো, নুন,হলুদ,চিনি দিয়ে ভালো করে মিশ্রিয়ে নিলাম।
১২)তারপরে মশলাটা ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
১৩)কিছুক্ষণ বাদে মশলাটার মধ্যে এক কাপ জল দিয়ে দিলাম।
১৪)তারপরে ডিম গুলো দিয়ে দিলাম।
১৫)তারপরে একটা ঢাকণা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
১৬)তারপরে ভালো করে ঝোলটা ফুটে শুকিয়ে গেলে নামিয়ে নিলাম।
গরম গরম ভাত,রুটি দিয়ে ডিম কষা খেতে দারুন লাগে।শীতকালে গরম গরম খেতে দারুন লাগে।আজকে আমার রান্নাটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।আজ এখানেই শেষ করলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
শুভ রাত্রি।
কালকেই বাজারে হাঁসের ডিমের দাম করছিলাম ১১ টাকা পিস্, আর দেশী মুরগির ডিম ১২ টাকা পিস্, আসলে পোলট্রি মুরগির ডিমের থেকে আমার হাঁস আর দেশী মুরগির ডিম বেশি ভালো লাগে, তবে শীতকাল ছাড়া খাওয়া সম্ভব নয়। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে রান্নাটি।
আচ্ছা দিদি এই শীতের মধ্যেই আপনাকে একদিন আমি রান্না করে খাওয়াবো।
আমার হাসের ডিমের কুসুম খেতে ভালো লাগে, কারণ সাদা অংশটি বেশ শক্ত এবং রাবার মনে হয় আমার, তার থেকে পোলট্রি মুরগির ডিমের সাদা অংশ আমার প্রিয়।
হ্যাঁ স্যার অনেকেই এই কারণের জন্য হাসের ডিম খায় না।
@sanchita96আগেও বলেছি আমাদের ডিম খুব প্রিয়। তাই ডিম দেখলে লোভ আরও বেড়ে যায়। আমি সবরকোম ডিম খেতেই ভালো বাসি। আর হাঁসের ডিমের কুসুম খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। যদি সম্ভব হয় আমাকে আপনার রান্না করা ডিম একটু পাঠাবেন।
হ্যাঁ দিদি যদি সম্ভব হতো তাহলে হয়তো পাঠাতাম।আমার ও আপনার মতো সব ডিমই ভালো লাগে।
ডিম ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিশেষ করে বাচ্চারা। আমার ছেলেরও ডিম খুব প্রিয়। আপনার রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ডিম এমন একটা খাদ্য যা খেতে প্রত্যেকটা মানুষই খুব ভালোবাসে।
@sanchita96 শীতকালে হাঁসের ডিমের কষা আর রুটি খেতে দারুণ লাগে। আমাদের ইমন খুব ভালো খায় হাঁসের ডিমের কুসুম টা।
আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে দারুণ হয়েছে খেতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ দিদি।
@sanchita96 আপনার রান্নাটা দেখতে খুব ভালো হয়েছে আর খেতে হয়তো আরও সুস্বাদু হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।