আমার হাতের আঁকা গণেশ।
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।আজ একটু শরীরটা ভালো আছে।আজকে জ্বর আসেনি।
তাই আজ ঘরের অনেক কাজ করলাম।কাজকর্ম শেষ করে ছাএ ছাএীদের পড়াতে বসলাম।পড়াতে পড়াতে আজ একটু আঁকতে বসলাম।
আজ আমি কোনো সিনারি আঁকিনি।আজ আমি গণেশ কে একেছি।
তো আসুন আজ আমি কী করে গণেশকে আঁকলাম তা আপনাদের কে বলবো।
আঁকার সরঞ্জাম:-
১)এ ফোর সাইজের আঁকার খাতা।
২)টু বি পেনসিল।
৩)কাটার।
৪)রবার।
৫)মোম রং।
৬)ব্লেক বর্ডার পেনসিল।
আঁকার পদ্ধতি:-
১)প্রথমে খাতার চারিদিকে একটা বক্স করলাম।
২)খাতার মাঝখানে ভি করে দুদিকে নীচের দিকে নামিয়ে দিলাম।
৩)তারপরে ভি ঠিক ওপরে মাঝারি সাইজের এম করে একটু ফুলিয়ে নীচের দাগের সাথে জুড়িয়ে দিলাম।
৪)তারপরে মাঝখানটায় ছোটো ছোটো গোল করলাম।
৫)তারপরে গোলের পাশ দিয়ে একটু বেঁকিয়ে তিনটে ইউ করে নীচের দিকটা জুড়িয়ে দিলাম।
৬)তারপরে ইউর পাশ দিয়ে কতোগুলো সরু সরু দাগ দিলাম।
৭)তারপরে ভি এর পাশ দিয়ে একটু বেঁকিয়ে নীচের দিকে নামালাম।
৮)তারপরে ভি এর আরেক পাশে একটু ফুলিয়ে দিলাম।
৯)তারপরে একদিকে একটু বেঁকিয়ে একটা কান করলাম।
১০)তারপরে মুখের মাঝখানে দুটো দাগ দিয়ে একটা দাগ থেকে নীচের দিকে নামিয়ে,তার পাশ দিয়ে আরেকটা দাগ টেনে নীচে ছোটো করে উল্টে এম লিখে জুড়িয়ে দিলাম।
১১)তারপরে শুঁড়ের মাঝখানটা একটু মুছে দুটো দাগ টানলাম।
১২)তারপরে শুঁড়ের গা ঘেঁষে একটু বেঁকিয়ে শুঁড়ের নীচের দিকে নামিয়ে একটা হাত করলাম।
১৩)তারপরে বেঁকিয়ে দাগটা একটু মুছে আঙুল করলাম।
১৪)তারপরে আঙুলের ঠিক নীচ দিয়ে নামিয়ে একটু ফুলিয়ে হাতের পাশে গিয়ে জুড়ে দিলাম।
১৫)তারপরে আঙুলের পাশে আরেকটা আঙুল করলাম।
১৬)তারপরে বাঁশির মাঝখানে কতোগুলো ছোটো ছোটো গোল করে,একটা ধারে দুটো দাগ দিয়ে নীচের দিকে নামিয়ে একটু ঘুরিয়ে দিলাম।
১৭)তারপরে বাঁশির ঠিক ওপরে আরেকটা কান করলাম।
১৮)তারপরে একদম নীচে দুটো দাগ টেনে,দাগের নীচটা একটু বেঁকিয়ে দিলাম।
১৯)তারপরে ওই দাগটা থেকে একটু ফুলিয়ে একটা পা করে তার ওপরে গোল করে কতোগুলো দাগ টেনে ধুতি করলাম।
২০)ওই দাগের পাশে একটু বেঁকিয়ে আরেকটা দাগ টানলাম।
২১)ওই দাগটা জুড়িয়ে একটু ফুলিয়ে আরেকটা পা করে নীচে আঙুল গুলো করলাম।
২২)তারপরে পায়ের পাশে দিয়ে ধুতি করলাম।
২৩)তারপরে মুখের মাঝখানে দুটো চোখ করে,চোখের মাঝখানে দুটো ছোটো গোল করলাম।
২৪)তারপরে চোখের ঠিক মাঝখানটায় একটা ছোটো সোজা দাগ টেনে তার নীচে উল্টে ভি করলাম।
২৫)তারপরে হাতের নীচ দিয়ে দুটো দাগ গোল করে টানলাম।
২৬)তারপরে হাড়ের নীচে একটা ছোটো গোল করলাম।
২৭)তারপরে মাথার মাঝখানের গোল গুলো নীল রং করলাম।
২৮)তারপরে পুরো চুলটা কালো রং করলাম।
২৯)তারপরে মাথার পাশের পালকের ভিতরে ইউ গুলো হালকা সবুজ,কমলা,বেগুনী রং করে,পাশে সরু সরু দাগ গুলো হালকা সবুজ,ডীপ সবুজ,কালো রং করলাম।
৩০)তারপরে গণেশের মুখ,কান,পেট,আঙুল হলুদ রং করলাম।
৩১)তারপরে কানের ওপরে কমলা রং করলাম।
৩২)তারপরে বাঁশিটা লাল রং করে মাঝের গোলগুলো কালো রং করে,ব্লেক দিয়ে বর্ডার করলাম।
৩৩)তারপরে মাথায় তিলকটার সোজা দাগ লাল রং করে নীচে কালো রং করলাম।
৩৪)তারপরে হাড়টা লাল রং করলাম।
৩৫)তারপরে গণেশের ধুতিটা ডীপ গোলাপী রং করলাম।
৩৬)তারপরে পা দুটো হলুদ রং করলাম।
৩৭)তারপরে পায়ের নুপুরটা লাল রং করলাম।
৩৮)তারপরে চোখটা কালো রং করে,পুরো গণেশটা ব্লেক দিয়ে বর্ডার করলাম।
আজ এখানেই শেষ করলাম।আপনারা ভালো থাকবেন।আমার আঁকাটা কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন কিন্তু।
শুভ রাএি।
কিছু মনে করবেন না, যদিও আমি আঁকার কিছুই ভালো বুঝিনা তবুও দেখে মনে হলো আপনার আঁকা গনেশের মুখ ও পেটের তুলনায় পা দুটো বড্ড সরু হয়েছে।
আচ্ছা পরেরবারে ঠিক করে করবো।আমার ভুলের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।
@sanchita96 দিদি খুব সুন্দর হয়েছে তোমার আঁকা গণেশ।
ধন্যবাদ দিদি।
@sanchita96আপনার আকা গনেশের ছবিটি খুব সুন্দর হয়েছে।
এক কথায় আপনার সৃজনশীলতার আমি একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে পড়ছি, এখানে মন দিয়ে কাজটা করুন সব সমস্যাকে উপেক্ষা করে, অনেকদূর যেতে পারবেন আপনি।
ভালো ভাবে কাজ করে যান, জীবনে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা আসবে কিন্তু সেটার জন্য কখনো নিজের কাজের ক্ষতি হতে দেবেন না। আপনাকে গণপতি দেব অনেক আশীর্বাদ করুন এই কামনা করি।