আমার ছাএীর জন্মদিনের কিছু আনন্দের মুহূর্ত
প্রিয় বন্ধুরা,
আশাকরি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন।
আজ আমি আমার একটা ছাএীর জন্মদিনটা কেমন করে কাটালাম তা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
আসলে ওর জন্মদিন২৯ নভেম্বর ছিল,কিন্তু সেই দিন ওর পরীক্ষা থাকার কারণে ওর জন্মদিন পালন করা হয়নি।তাই আমার ছাএীর মা গতকাল আমায় ফোন করে বললো জন্মদিনের নেমন্তন্ন করলো।
আজ বিকালে বাড়িতে আঁকার ক্লাস ছিলো তাড়াতাড়ি ক্লাস করিয়ে নিলাম।তারপরে পিউ বউদি আমায় ফোন করে বললো রেডি হতে।কণিষ্কা আঁকতে এসেছিল,তাই ওকে আমি আমার বাড়িতে জামাকাপড় পড়িয়ে সাজিয়ে দিলাম।
কণিষ্কাকে সাজানোর পরে আমি একটু তৈরি হয়ে গেলাম।তারপরে আমার স্বামী বাড়ি আসলো।আমি আমার স্বামীকে চা করে ওকে দিলাম।তারপরে পিউ বউদি ফোন করে বললো যে চলে আয়।
আমি তখন কণিষ্কা কে নিয়ে বেড়িয়ে গেলাম।তারপরে পিউ বউদি সাথে দেখা করে,আমরা তিনজনে মিলে গিফ্ট কিনতে গেলাম।গিফ্ট এর দোকানে গিয়ে আমি একটা ফটো ফ্রেম পছন্দ করলাম।
আর পিউ বউদি কফি মগ পছন্দ করলাম। গিফ্ট প্যাকিং করতে করতে আমরা তিনজনে একটু ছবি তুললাম।গিফ্ট নিয়ে আমরা তিনজনে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম।কারণ আমাদের মধুবনী ফোন করেই যাচ্ছিলো।
আমরা গেলে মধুবনী কেক কাটবে সেই জন্য বারবার ফোন করছিলো।আমরা তাড়াতাড়ি হেঁটে ওদের বাড়িতে ঢুকলাম।তারপরে সবাই মিলে ওদের ওপরের ঘরে গেলাম।তারপরে মধুবনী কেক কাটলো।
কেট কাটার পরে আমি কতোগুলো ছবি তুললাম।ছবি তুলে ওকে আমি গিফ্ট দিলাম।তারপরে সবাই মিলে একটু গল্প করতে করতে মধুবনীর মা কেক দিলো আমাদের সবাই কে।কেক খেতে খেতে আমরা কেক মাখামাখি করলাম।
সব বাচ্চা গুলো খেলা করছিলো আর আমরা ওদের দেখে আমাদের ছোটোবেলার কথা গুলো মনে পড়ে গেছিলো।ওদের খেলতে খেলতে অনেকটা রাত হয়ে গেলো সেই জন্য আগে বাচ্চা গুলো কে খেতে দিলো।
বাচ্চা গুলো খেয়ে ওঠার পরে,আমি আর পিউ বউদি খেতে বসলাম।আমি তো খেতে বসে খুব খুশি কারণ বিরিয়ানি আমার প্রিয় খাবার।আমি তো অনেক দিন পর পেট ভরে খাবার খেলাম।বিরিয়ানিটাও দারুন হয়েছিলো।
তারপরে আমরা সবাই ওদের কে টাটা করে আমি আমার স্বামীকে ফোন করে বললাম আস্তে।কারণ ওদের বাড়ির ওই জায়গাটা অনেক অন্ধকার,আর ফাঁকা থাকে সেই জন্য।কিছুটা হাঁটতে হাঁটতে যাওয়ার পরে আমার স্বামী গাড়ি নিয়ে আসলো।
আমরা তিনজনে আমার স্বামীর স্কুটিতে বসলাম।তারপরে পিউ বউদি কে ওদের বাড়িতে ছেড়ে এসে আমরা আমাদের বাড়িতে চলে এলাম।আজ দিনটা বেশ ভালোই কাটলো।শরীর খারাপ থাকার পর থেকে কোথাও যাওয়া হয়নি।তাই এতো আনন্দ করে মনটা ও ভালো লাগছে।
আজ এখানেই শেষ করলাম।
শুভ রাএি।
@sanchita96 তোমাদের সবাইকে সুন্দর লাগছে। আমার তরফ থেকে মধুবনীকে শুভ জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
তোমাদের দেখে মনেই হচ্ছে সকলে মিলে অনেক আনন্দ করেছো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে। এই ভাবেই সব সময় ভালো থেকো।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।আপনিও অনেক ভালো থাকবেন।আপনার হাতের সুন্দর সুন্দর রান্না আমাদের সাথে ভাগ করে নেবেন।
আমার পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিনের শুভকামনা রইল। একজন শিক্ষার্থীর মা হিসেবে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন যে তার পরীক্ষা কালীন শুভ জন্মদিনের আয়োজন করা হয়নি বরং তাকে তার মত করে পড়ালেখা চালিয়ে পরীক্ষার পরে শুভ জন্মদিনের আয়োজনটি করেছেন। এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
পরিশেষে সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং সকলের আগামী দিনগুলো সুন্দর এবং সঠিক পথে পরিচালিত হোক এই কামনাই করি।
একদম ঠিক বলেছেন স্যার।
জীবনে আনন্দ বহাল থাকে যখন কাজের জায়গা ঠিক থাকে, বাস্তবের বাইরে গিয়ে জীবন কল্পনা করলে আগামী দিনগুলি কখনোই ভালো যায় না, কাজেই দৈনন্দিন জীবনের নানান আনন্দের সাথে কাজকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
একদম দিদি।
জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার ছাত্রীর জন্য, ধন্যবাদ আপনার আনন্দের মুহূর্ত এখানে ভাগ করে নেবার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার
অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালবাসা আপনার ছাত্রী মধুবনীর জন্য 🎂 জন্মদিন মানেই বিশেষ একটি আনন্দমুখর দিন। কাউকে উপহার দিলে ক্ষনিকের জন্য হলেও তার মুখে হাসি ফুটে। যাইহোক, আপনি সময়টা উপভোগ করছেন বোঝা যাচ্ছে। বিরিয়ানি দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে, নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছিলো?
হ্যাঁ বিরিয়ানিটা খুব ভালো হয়েছিলো খেতে।
@sanchita96 প্রথমেই জানাই মধুবনীকে শুভ জন্মদিন।আর আপনাদের সবাইকে অনেক সুন্দর লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মধুবনীর জন্মদিনের মূহুর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেবার জন্য। ভালো থাকবেন।