"The September #2 contest by @sduttaskitchen|Film in the Theatre or OTT!"
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি বেশ ভালো কেটেছে। আমার সারাটা দিন অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে।
যেমনটা গতকালকের পোস্টে জানিয়েছিলাম আজ দাদাকে (জামাইবাবুকে) নিয়ে হসপিটালে যেতে হয়েছিলো। সেখান থেকে দিদির ফ্ল্যাটে গিয়ে, আবার সন্ধ্যার সময় বাড়িতে ফিরেছি। তার উপর আজ প্রচন্ড গরম ছিলো। সবকিছু মিলিয়ে বেশ ব্যস্ততম ও ক্লান্তিকর একটি দিন অতিবাহিত হয়েছে আজ।
যাইহোক, আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিতে অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের কনটেস্টে। যার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইতিমধ্যে আশা করছি আপনারা সকলে অবগত হয়েছেন।তবে যারা এখনও পর্যন্ত পোস্টটি পড়েননি, তাদের জন্য লিংকটি আমি আরও একবার শেয়ার করছি। আশাকরছি আপনারা প্রত্যেকে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করবেন।
|
---|
ছোট বড় নির্বিশেষে আমরা প্রত্যেকেই বোধহয় সিনেমা দেখতে ভালোবাসি। হ্যাঁ পছন্দ সকলের ভিন্ন হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে ওয়েব সিরিজের থেকে সিনেমা দেখতে অনেক বেশি ভালোবাসি।
তবে ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততার কারণে, আগের মত এখন আর সিনেমা দেখা হয় না। আমার মনে আছে বিয়ের আগে বাড়ির কোনো কাজ তেমনভাবে করতে হতো না, তাই পড়াশোনার পাশাপাশি আমার সিনেমা দেখার বেশ নেশা ছিলো।
সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির পরিবর্তনে, আজকাল তেমন বেশি সিনেমা দেখা হয়ে ওঠে না ঠিকই, তবে আজও যদি অবসর সময় পাই তাহলে পছন্দের সিনেমা গুলো মাঝেমধ্যে দেখি।
আমার সিনেমা হলে গিয়েই সিনেমা দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে, কারণ সিনেমা হলে গিয়ে আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ সিনেমাটার দিকেই থাকে। বাড়িতে বসে যদি কোনো সিনেমা দেখি তাহলে, তার মাঝখানে কোনো না কোনো ভাবে ব্যাঘাত ঘটেই। একটানা বসে সিনেমাটা উপভোগ করা হয়ে ওঠে না।
তবে ব্যস্ততা হোক বা সময়ের অভাব, সবকিছু মিলিয়ে আজকাল আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয়ে ওঠে না। বেশিরভাগ সিনেমা আজকাল ওটিটি প্লাটফর্মে দেখা হয়। এটির একটি সুবিধা রয়েছে, একটানা ৩ - ৩.৩০ ঘন্টা না হলেও, মাঝখানে ব্রেক দিয়ে দুদিন তিনদিন ধরেও একটা সিনেমা শেষ করা যায়।
তবে হ্যাঁ যদি পছন্দের বিষয় হয়, তাহলে আজও সিনেমা হলে গিয়েই সিনেমা দেখতে আমার বেশি ভালোবাসি। যেখানে কোনোরকম ব্যাঘাত ছাড়াই ওই সম্পূর্ণ সিনেমাটা শেষ করা যায় এবং সাথে যদি নিজের বন্ধু, বান্ধবী বা প্রিয় মানুষ থাকে, তাহলে যেন সেই সিনেমা দেখার আনন্দ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
|
---|
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার জন্য অনেক বেশি কঠিন, কারণ এইরকম একটা বা দুটো সিনেমা নয়, একাধিক সিনেমা রয়েছে যেগুলো আমি ভীষণ পছন্দ করি। সেই পুরনো সিনেমাগুলোকে এখনো আমি মাঝে মধ্যেই দেখি। বিশেষ করে পছন্দের সিনেমাগুলোর বিশেষ কিছু সিন থাকে, যে সিন গুলোকে বারংবার দেখলেও আমি বিরক্ত হই না, বরং উপভোগ করি ঠিক প্রথম দিনের মতনই।
এই মুহূর্তে বলতে গেলে একটা সিনেমার কথা খুব বেশি মনে পড়ছে যার নাম "থ্রি ইডিয়টস"। যদিও এটি বেশ পুরনো একটি সিনেমা, তবে আজও সিনেমাটা যদি টিভিতে দেয় আমি বেশ মন দিয়ে সিনেমাটা দেখি। শোনা যায় সিনেমাটি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী "ফুংসুক ওয়াংরু"জীবনী।
এই সিনেমাটার কাহিনী, প্রত্যেকের অভিনয়, আমার এতো ভালো লেগেছে যে, সিনেমাটা বারংবার দেখলেও আমার পুরনো হয় না। গল্পের কাহিনী থেকে আমাদের প্রত্যেকের অনেক কিছু শেখার আছে, সেটা বন্ধুত্ব হোক, শিক্ষার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হোক, অথবা অনেক সফলতা অর্জনের পরেও কিভাবে নিজেকে মাটির সঙ্গে যুক্ত রাখতে হয়, সেটা শেখা হোক।
প্রতিটা জিনিসই খুব সুন্দর ভাবে এই সিনেমাটির মধ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা অর্জনের আসলে নির্দিষ্ট কোনো পথ হয় না, বরং যারা প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা অর্জন করতে চায় তারা প্রতিটি জিনিস থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পারে। সেই শিক্ষা তারা বিভিন্নভাবে কাজে লাগাতে পারে, তার জন্য শুধুমাত্র শেখার ইচ্ছেটাই যথেষ্ট। সেটা যদি নিজের মধ্যে থাকে তাহলে উপায় ঈশ্বর নিজেই বের করে দেন।
কাহিনীতে আরো দেখানো হয়েছে, কিভাবে অভিভাবকদের চাপে পড়ে অনেক ছাত্র নিজের পছন্দের পেশা থেকে বিরত থেকে, শুধুমাত্র বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণের জন্য অপছন্দের বিষয় নিয়ে পড়তে বাধ্য হয়। আবার কোনো একজন বন্ধুর সাহচর্যে এসে, তারাই নিজেদের পছন্দের পেশাটিকে বেছে নিতে সক্ষম হয় ও তার পাশাপাশি নিজের বাবা-মাকেও বোঝাতে সক্ষম হয় যে, নিজের পছন্দের পেশায় নিযুক্ত থেকেও কিভাবে বাবা মায়ের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করা সম্ভব।
আবার একই সিনেমাতে দেখানো হয়েছে কিভাবে বহু মেধাবী ছাত্র, সুযোগের অপেক্ষা করতে করতে যখন হাঁপিয়ে ওঠে কিভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে দেয়। সবকিছু মিলিয়ে এই সিনেমার কাহিনী একেবারে অসামান্য। তিনটে ভিন্ন ছেলের, ভিন্ন জীবন কাহিনীর মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকের জীবনের বেশ কিছু অনুভূতিকে এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে। তার সাথে আরও রয়েছে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং অনুপ্রেরণার মতন বিভিন্ন অনুভূতির মিশ্রনও। সবমিলিয়ে অসামান্য একটি গল্পের উপস্থাপন হলো এই সিনেমাটা।
আমার বিশ্বাস যারা এই সিনেমাটা একবার দেখেছেন, তাদের সামনে যদি এখনো কোনো টিভি চ্যানেলে সিনেমাটি চলে, তারা আজও হয়তো দু মিনিটের জন্য হলেও সিনেমাটা দেখেন। তবে যেমনটা বললাম থ্রি ইডিয়টসের মতো এরকম আরও অনেক সিনেমা আছে, যেগুলো আজও আমাকে সমানভাবে আকর্ষিত করে।
ঠিক একই রকম ভাবে ওয়েব সিরিজ দেখতেও আমার বেশ ভালো লাগে। তার পাশাপাশি পুরনো দিনের উত্তম কুমারের সাদা কালো সিনেমা গুলো আমার ভীষণ পছন্দের। বিশেষ করে সেই সকল সিনেমার গানগুলো আজও আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
|
---|
এই প্রশ্নটা দেখার পর সত্যি কথা বলতে অনেকক্ষণ ধরে ভেবে তবে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করতে হয়েছে। এতো বছর আগে হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছিলাম যে, তা প্রায় ভুলতে বসেছি। তবে কলেজে পড়াকালীন প্রায়শই বন্ধুদের সাথে সিনেমা দেখতে যাওয়া হতো।
বিয়ের পর আর তেমনভাবে সিনেমা দেখতে যাওয়া হয়নি। তবে লাস্ট যে সিনেমাটা আমি হলে গিয়ে দেখেছিলাম, সেটি একটি বাংলা সিনেমা। যার নাম ছিল "হামি"। নামটা একটু অন্যরকম লাগলেও, গল্পের কাহিনী ছিল বাচ্চাদেরকে নিয়ে। বাচ্চাদের ভালোবাসা কতটা সুন্দর ও নিষ্পাপ হয়, তার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো এই সিনেমার কাহিনী।
পাশাপাশি সিনেমাটি প্রত্যেকটি অভিভাবকেরও দেখা উচিত। কারণ আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের ছেলেমেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিতে গিয়ে, ঠিক কি কি ভাবে তাদের নিষ্পাপ মনে অনেক প্রশ্নের ভিড় জমা করি, সেটা হয়তো আমরা নিজেরাও জানিনা।
বাচ্চাদের শৈশবের সাথে আমরা গুলিয়ে ফেলি আমাদের বড়দের চাহিদাগুলো, যার ফল হিসেবে বাচ্চারা নিজেদের শৈশবকে সঠিকভাবে উপভোগ করতে পারে না। ফলত বাচ্চাদেরকে কিভাবে সঠিক শিক্ষা দেওয়া উচিত, কিভাবে তাদের অনুভূতিগুলিকে আরো ভালোভাবে বোঝা উচিত, ও গুরুত্ব দেওয়া উচিত, সেই বিষয়েও অনেক সুন্দর ধারণা দেওয়া হয়েছে এই সিনেমার কাহিনীর মাধ্যমে। তার পাশাপাশি সিনেমায় বাচ্চাদের অভিনয়ও অসাধারণ হয়েছে।সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করেছিলাম।
Conclusions
যাইহোক, এই ছিল সিনেমা দেখা নিয়ে আমার নিজস্ব মতামত এবং ভালোলাগা, যেগুলো এই কন্টেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
পোস্টটি শেষ করার পূর্বে অবশ্যই আমি আমন্ত্রণ জানাতে চাই আমার তিনজন বন্ধু @piya3, @waqarahmadshah ও @wilmer1988 কে। আশা করি অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারাও নিজেদের পছন্দের কথা শেয়ার করবেন।
আর বাকি আপনাদের আমার পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো, সেটা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
|
---|
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
সবাই কম বেশি সিনেমা দেখতে পছন্দ করে, আমির খান অভিনীত থ্রি ইডিয়েটস সিনেমাটি আমার খুব পছন্দের, আমি মনে করি যে এই সিনেমাটা একবার দেখবে তার আবার দেখতে মন চাবে, আমি নিজে এই সিনেমাটি কমপক্ষে দশবার দেখেছি, আমার আরো দেখতে মন চায়, এই প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা, ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।