"হসপিটালে থাকাকালীন সময়ে তোলা কিছু পছন্দের ফটোগ্রাফি"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি প্রত্যেকেই ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটুক সেই প্রার্থনা রইলো। দুদিন আগে আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম এবং জানিয়েছিলাম আরও কিছু ছবি সেদিন তোলা হয়েছিলো, তাই সেই ফটোগ্রাফি পোস্টের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আজ হাজির হলাম।
শুরুতেই আমি আপনাদের সাথে একটি হলুদ রঙের ফুলের ছবি শেয়ার করবো, যে ছবিটি আপনারা উপরে দেখতে পারছেন। আর হয়তো বুঝতেও পারছেন রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে একদমই পাশে এই ফুলটি আমার চোখে পড়েছিলো। সত্যি বলতে দূর থেকে শুধুমাত্র ফুলগুলির রঙ চোখে পড়ছিলো, যখন কাছে গিয়ে একটু নিচু হয়ে দেখলাম, তখন বুঝলাম শুধু রং নয় ফুলগুলির গঠনও খুব আকর্ষণীয়।
এই ফুলটা যে আমি খুব সচরাচর দেখেছি এমনটা নয়, তবে হ্যাঁ অনেকটা জায়গা জুড়ে জঙ্গলের ভিতরে এই ফুল ফুটেছিলো। আপনারা কতটা বুঝতে পারছেন জানিনা, তবে এই ফুলগাছের পাতাগুলোও বেশ সুন্দর। ফুলের থেকে পাতাগুলোর আকার অনেকখানি বড়ো, তবে পাতা গুলো একটু মোটা প্রকৃতির এবং সম্পূর্ণ পাতা জুড়ে রোমের মত ছিলো। যাইহোক চলতি পথে একটু দাঁড়িয়ে আমি এই ছবিগুলি তুলেছিলাম। ফুলগুলো কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার খুবই ভালো লেগেছে, এই ফুলটি আপনাদের পরিচিত কিনা অবশ্যই জানাবেন।
এরপর যে হলুদ রঙের ফুলের ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি, এইমসের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে এই ফুল গাছটি রয়েছে। ফুলগুলো থোঁকায় থোঁকায় ফোঁটে, দেখতে অসম্ভব সুন্দর, রাস্তার দুপাশ দিয়ে তো বটেই, এমনকি ওপিডির সামনেও খুব সুন্দর সারিবদ্ধ ভাবে এই গাছগুলো লাগানো আছে। গাছগুলো অনেকটাই লম্বা হয়, তবে আমি ছবিগুলো ছোটো গাছ থেকে তুলেছিলাম, যাতে সুন্দরভাবে তুলতে পারি।
আর এই গাছের ফলগুলো দেখতে খানিকটা বরবটির(সব্জি) মতো। আশাকরি ছবির মধ্যেও আপনারা ফলগুলো দেখতে পাচ্ছেন। প্রথম যে ছবিটি শেয়ার করেছি তার থেকে এই ফুলগুলো অনেকটাই বড়, আর থোঁকায় থোঁকায় ফুলগুলো হয় যার ফলে দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে।
কামরাঙ্গা ফলটি বোধহয় অনেকেরই পরিচিত। স্কুল জীবনে এই ফলটি এত পরিমানে খেতাম যে, তখন খানিকটা প্রিয় ফলের মধ্যে গণ্য হতো। তবে আজকাল খুব বেশি পছন্দের নয় এই ফলটি। এইমসের মধ্যে দু তিনটে গাছ চোখে পড়েছিলো, যদিও প্রথম অবস্থায় দেখে আমি বুঝতে পারিনি এটা কামরাঙ্গা গাছ। তবে ওখানকারই একজন সিকিউরিটির কাছ থেকে জানতে পারি এটা কামরাঙ্গা গাছ। তাই তখন কামরাঙ্গার ছবি তুলেছিলাম। আসলে এর আগে যে আমি কামরাঙ্গা গাছ দেখিনি এমনটা নয়, তবে আমার দেখা কামরাঙ্গা গাছ গুলো অনেক বড় ছিলো, এটা একেবারেই ছোটো। তবে ছোট অবস্থাতেও বেশ কিছু কামরাঙ্গা গাছটিতে ধরেছে, তাই ছবি তোলার লোভটা সামলাতে পারিনি।
এটা ঘাসফুল অনেকেরই পরিচিত। বাইরে বসে থাকাকালীন সময়ে ওখানকার যে বাচ্চা কুকুর গুলো খেলা করতো, তারা বেশিরভাগ সময় এই ঘাসের উপরেই গড়াগড়ি করতো। কোনো একটা সময় আনমনে এই ফুলটা তুলেছিলাম এবং ব্যাগের উপরে রেখেছিলাম। আর কোন মুহূর্তে যে ছবিটা তুলেছিলাম তা মনেও নেই। তবে আজ গ্যালারি ঘাটতে গিয়ে ছবিটা চোখে পড়লো, তাই শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আনমনে তুলে ফেলা এই ছবিটিও যে কখনো এত ভালো লাগবে, আসলেই ভাবি নি।
এটাও ওপিডির মেইন গেট থেকে দাঁড়িয়ে দূরের তোলা একটা ছবি, যেখানে পর পর দুটি গাছ রয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি এইমসের বাইরে বসে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া করে থাকেন, তবে সেটা নিয়ম বিরুদ্ধ। বাইরে যে গার্ডেন এড়িয়া আছে সেটা যাতে নোংরা না হয়, সেই কারণের জন্যই এমন নিয়ম করা আছে। ওখানকার যে ক্যান্টিনে আছে সেখানে প্রচুর জায়গা, যেখানে বসে আপনি অনায়াসেই খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। তবে অনেকেই আছেন যারা এই নিয়ম উলঙ্ঘন করতেই ব্যস্ত। এই ছবিতে আপনারা যে দুটো বড়গাছ দেখতে পারছেন, তার পিছনে যে গাছটি রয়েছে, আমি আর শুভ ওখানে বসেই টিফিন করতাম, কারণ ওটা ওপিডি থেকে অনেকটাই দূরে।
এরপর যে ছবিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এটা তিনতলায় ওপিডি সেকশনের বাইরের ছবি। যেখানে বিভিন্ন সেকশনের ডাক্তার বসে এবং ডাক্তারের সামনে এমনভাবে চেয়ার সাজানো থাকে। এখানেই ডার্মাটোলজিস্ট সেকশনে। আগের দিন অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম এখানে। রোগীদের ভেতরে বসানোর জন্য আলাদা জায়গা আছে। প্রথমে একেবারে গ্রাউন্ড ফ্লোরে লাইন দিয়ে নাম লিখে একটা বই নিতে হয়, সেই বইটিতেই পরবর্তী ডাক্তারের ডেট লেখা থাকে এবং সেই তারিখ অনুযায়ী তিনতলায় গিয়ে ওপিডির ডাক্তার দেখাতে হয়।
প্রথমে গিয়ে যে ডাক্তার আপনি দেখাবেন, সেই সেকশনে বইটি জমা দিতে হয়। তারপর এই বেঞ্চগুলোতে অপেক্ষা করতে হয়। যখন পেশেন্টের নাম ধরে ডাকবে তখন শুধুমাত্র পেশেন্ট গিয়ে ভেতরে গিয়ে বসার জায়গায় বসতে পারবেন। পেশেন্টের সাথে যারা থাকবে, তাদেরকে এখানেই অপেক্ষা করতে হবে, কারণ ভেতরে ঢোকার অনুমতি তাদের থাকে না।
যাইহোক সব মিলিয়ে এই কয়েকটি ফটোগ্রাফি যেগুলো গ্যালারিতে ছিলো, সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আগের পোস্টেই আপনাদের জানিয়েছি, বহু ছবি ইতিমধ্যেই ডিলিট হয়ে গেছে। সে কারণে মনটাও যথেষ্ট খারাপ রয়েছে। যাইহোক সব কিছুই মিলিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লাগলো আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে সেটা জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের প্রত্যেকের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবে।
|
---|
ফুল ও গাছের ছবিগুলো খুবই সুন্দর। বিশেষ করে আপনি যে গল্প শেয়ার করেছেন, তা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। কামরাঙ্গা গাছের কথা শুনে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ল। আমাদের পাশের বাড়িতে একটি কামরাঙ্গা গাছ ছিল, আমরা প্রায় সময় এই গাছ থেকে ফল চুরি করে খেতাম । মালিকের অগোচরে, মাঝে-মাঝে ধরাও খেতাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি বিষয় বস্তু নিয়ে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
অসম্ভব সুন্দর হয়েছে দিদি আপনার পোষ্টটা লিখাটা। প্রথম ফুলটা আমার মেসের সামনেও রাস্তার পাশে ফুটে থাকতে দেখেছিলাম। দূর থেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। দ্বিতীয় হলুদ ফুলটা আমাদের গ্রামের ভাষায় আমরা মাইক ফুল বলে থাকি অনেকে। দেখতে অনেকটা মাইকের মতো হওয়ায় এরকম নাম বলা হয়। সবগুলো ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর ছিল তার সাথে আপনার লেখার তুলনা হয় না। অনেক কিছু শিখতেও পারলাম। ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর একটা পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
হসপিটালে থাকা অবস্থায় বেশ কিছু আপনার পছন্দের ফুলের এবং ফলের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো। এবং তার পাশাপাশি আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে কামরাঙ্গা ফলের ছবিটি। যাইহোক কামরাঙ্গা ফলটি আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত আছি। এবং গ্রাম গঞ্জেও কামরাঙ্গা ফলটি অনেক বেশি জনপ্রিয়তা আছে। এবং আমিও কম বেশি পছন্দ করি। ভালো লাগলো আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্টটি পরিদর্শন করতে পারেন।
হসপিটালের দিনগুলো আপনার অনেক বেশি টেনশন এর মধ্যেই কেটে গিয়েছে তার পরেও আপনি সেগুলোকে স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য কিছু ফটোগ্রাফি তুলেছেন প্রথম যে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এটা আমি নিজেও জানিনা এটার নাম কি তবে গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাটে বিভিন্ন জায়গায় এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়।
সেই সাথে আপনি হসপিটালে কিছু দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে হসপিটালে যাওয়ার পর বোঝা যায় কত পরিমানে মানুষ অসুস্থ অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।