"Incredible India monthly contest of May#1| My preferred profession."
"Edited by canva"
Hello
Everyone,
আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত মে মাসের প্রথম সপ্তাহের কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু আমাদের সকলের জীবনের সাথে জড়িত।
আমরা সকলেই জানি আমাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অর্থের মূল্য রয়েছে। অর্থ ছাড়া জীবন কিন্তু একেবারেই অচল। আর এই অর্থ উপার্জনের একমাত্র পথ হল জীবিকা অর্জন। যেকোনো ধরনের কাজ আমাদেরকে করতেই হয় এবং সেই কাজের বিনিময়ে যে অর্থ উপার্জিত হয় সেগুলোর মাধ্যমেই আমরা আমাদের জীবনে ভরণপোষণের পাশাপাশি, পড়াশোনা আরও আনুষঙ্গিক জিনিস গুলি পূর্ণ করতে পারি।
তবে জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকেরই ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ হয়েছে। আমরা সকলেই ভিন্ন ভিন্ন কর্মক্ষেত্রে জড়িত। কারোর ক্ষেত্রে হয়তো নিজেদের কাজটি পছন্দের, আবার কেউ হয়তো পরিস্থিতির বা প্রয়োজনের তাগিদে নিজেদের অপছন্দের কাজ করতেও বাধ্য হয়।
আজ এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকের নিজের পছন্দের কাজের বিষয়ে নিজেদের মতামত ও অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, অ্যাডমিন ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @cruzamilcar63, @dederanggayoni ও @sohanurrahman কে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। তাদেরকে অনুরোধ করব নিজেদের পছন্দের জীবিকা সম্পর্কে, নিজেদের মতামত যেন এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা শেয়ার করেন। চলুন এবার আমি আপনাদের সাথে নিজের পছন্দের জীবিকা সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করি।
"1. What is your preferred profession and why?"
এর আগেও হয়তো আমি বহুবার কথাটি বলেছি যে আমার মা পুঁথিগত বিদ্যার দিক থেকে একদমই নিরক্ষর ছিলেন। তবে এ কথা আমি গর্বের সহিত বলি যে, আমাদের তিন বোনকে ভালোভাবে মানুষ করার জন্য আমার মায়ের থেকে ভালো শিক্ষিকা আর কেউ হতে পারত না। আর এটাই আমার মায়ের কাছে গর্বের বিষয় ছিলো যে, তিনি নিজে নিরক্ষর হওয়া সত্ত্বেও তিন মেয়েকে খুব ভালোভাবে পড়াশোনা শিখিয়েছিলেন।
খুবই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করার একটা সুফল হলো খুব ছোটবেলা থেকে আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, আমাকে অনেক ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে, কারণ একমাত্র পড়াশোনাই আমাদেরকে জীবনের স্বচ্ছলতা এনে দেবে। যত ভালো পড়াশোনা করতে পারবো, তত ভালো চাকরি পাবো এবং অর্থ রোজগার করতে পারবো। তাহলে একটা সময় আমরা আমাদের জীবনের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
আমাদের তিন বোনের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিলো। ছোট থেকে আমাদের লক্ষ্য ছিল একটাই, খুব ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে এবং সরকারি চাকরি পেতেই হবে। আপনারা জানলে খুশি হবেন, আমার দুই বড় দিদি সরকারি চাকরি করে। আমি নিজেও সরকারি চাকরি পেয়েছিলাম, তবে ভাগ্যের পরিহাসে আজ বেকার।
ছোটবেলা থেকেই যে কোনো সরকারি চাকরি পাওয়ার ইচ্ছে আমার মধ্যে প্রবল ছিলো। তবে যদি পছন্দের জীবিকা হয় তাহলে সেটা ছিল শিক্ষিকা হওয়া। কারণ আমার বরাবর মনে হতো, শিক্ষিকা হতে পারলেই আমি একজন প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর হতে পারবো।
"2. Are you satisfied with the profession you are recently attached to? Justify your answer."
বর্তমানে আমি শুধুমাত্র স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজের সাথে জড়িত আছি এবং এই কাজটি আমাকে আত্মতৃপ্তি দেয়। এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার প্রধান কারণই ছিলো, এখানে নিজের মনের কথা নির্দ্বিধায় শেয়ার করা যায়। আর অন্যান্য অনেকের লেখা পড়ে, অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যায়।
অনেক সময় নিজের ব্যক্তিগত এমন অনেক অনুভূতি থাকে, যেগুলো খুব কাছের মানুষকে বললেও তারা হয়তো আমাদেরকে ভুল বোঝে। কিন্তু এটি এমন একটি প্লাটফর্ম, যেখানে আমি আমার যে কোনো অনুভূতি, যেকোনো প্রতিভা শেয়ার করতে পারি এবং এখানে আমাকে কেউ জাজ করে না। বরং আমার অনুভূতির প্রেক্ষিতে সকলে নিজেদের মন্তব্য শেয়ার করে এবং সেখান থেকেও আমি বেশ কিছু জিনিস শিখতে পারি।
"3. Do you believe job satisfaction is equally essential to earning?"
একদমই আমি বিশ্বাস করি যে, কাজের জায়গায় আত্মতৃপ্তি ততটাই প্রয়োজন যতটা অর্থ উপার্জন করা। কারণ যদি আত্মতৃপ্তির প্রয়োজন না হতো এবং মানুষ যে কোনো কাজ করতো শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য। সেই সময় মানুষ কিন্তু নিজেদের পছন্দের চাকরি পাওয়ার জন্য আরো অনেক বেশি পরিশ্রম করতো না।
এছাড়া একটা জায়গায় কাজ করতে গেলে, সেখানকার পরিবেশ ও কলিগদের সাথে যদি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি না হয়, তাহলে কিন্তু দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করা কোনো মতেই সম্ভব নয়। এর আগে আমি জীবনে প্রথম বার একটি এনজিও সাথে কাজে যুক্ত ছিলাম। তার স্যালারি ছিলো খুবই সামান্য, কিন্তু সেই কাজে এতো আত্মতৃপ্তি ছিলো, যা অনেক ভালো চাকরিতেও থাকে না। তবে লকডাউনের কারনে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।
আবার উল্টোদিকে এরকমও হয় কোনো একটা জায়গায় দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে, এতভালো সম্পর্ক তৈরি হয় যে, কম অর্থের বিনিময়েও আমরা কিন্তু সেই জায়গাতে কাজ করতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি। সে ক্ষেত্রে অর্থটা মুখ্য নয়, বরং আত্মতৃপ্তিটাই মুখ্য হয়ে ওঠে।
"4. What is your dream profession that you would like to pursue?"
যদি এই মুহূর্তের কথা বলি, তাহলে আমার একটাই স্বপ্ন আমি এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার জার্নিটা ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চাই, যতদিন পর্যন্ত আমি কাজ করতে সক্ষম থাকবো। কারণ একটা সময় আমার লক্ষ্য ছিল সরকারি চাকরি এবং সৌভাগ্যবশত আমি ফুড কর্পোরেশনে চাকরি পেয়েও গিয়েছিলাম।
তবে সেই সময় যেহেতু আমার মা ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন, আর দিদিরা বিয়ে করে যার যার সংসারে ব্যস্ত ছিলো, তাই মায়ের পাশে আমাকে দাঁড়াতে হয়েছিলো। সেই মুহূর্তে আমি চাকরিটাতে জয়েন করতে পারিনি কেবলমাত্র মায়ের দেখাশোনা করার কারণে।
বিষয়টা নিয়ে মাঝেমধ্যে যে একেবারেই আফসোস হয় না সে কথা বললে ভুল বলা হবে। যখন চারপাশের মানুষগুলো তাদের কথার মাধ্যমে আমাকে অযোগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করে, তখন কখনো কখনো মনে হয় যদি সেই সময় আমি চাকরিটাতে জয়েন করতাম, তাহলে আজ এই মানুষগুলি আমাকে তোষামোদ করে চলতো।কারণ এতদিনে এটুকু বুঝে গেছি মানুষের মানবিকতার, থেকেও কিছু মানুষের কাছে অর্থের মূল্যায়ন অনেক বেশি।
**আবার অনেক সময় এটাও মনে হয়, হয়তো আমি অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারতাম, কিন্তু সেই সময় মাকে কষ্ট দিয়ে ফেলতাম আরও বেশি। তাই যে মানুষটা আমাকে ছেড়ে চলেই যাবে, যাওয়ার আগে তাকে আর আলাদা করে কষ্ট দিতে মন চায়নি। ঐ সময় আমি ওনাকে সাপোর্ট দিতে চেয়েছিলাম। মা বলেছিলো, - "তুই চাকরি করলে আমাকে কে দেখবে,কে খাওয়াবে,কে উঠিয়ে বসাবে,কি শোয়াবে? " আর এই সব প্রশ্নের একটাই উত্তর ছিলো -" আমি আছি মা, তুমি চিচিন্তা কোরো না।"
অনেকেই আমার সিদ্ধান্তকে বোকামী বলে মনে করে, কিন্তু আমার মনে হয় মায়ের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে, তাকে যত্ন করা সিদ্ধান্ত নিয়ে, আমি কোনো বোকামি করিনি।
এখন আর সরকারি চাকরির পিছনে ছুটতে ইচ্ছে করে না। আজকাল যে ধরনের দুর্নীতি শুরু হয়েছে, তাতে সরকারি চাকরির পিছনে ছুটে সময় নষ্ট করাই সার হবে, তার থেকে অনেক ভালো আমি যে কাজটার সাথে যুক্ত আছি,সেইটাকে যাতে আরো ভালোভাবে করতে পারি, সেই দিকে নিজের লক্ষ্য স্থির করা। আর আমি সেটাই করেছি এবং ভবিষ্যতেও এটাই আমার লক্ষ্য থাকবে।
"Conclusions"
যাইহোক এই ছিল আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি ও মতামত যেগুলি পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো, সে বিষয়ে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। পাশাপাশি আপনারা সকলে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজেদের ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করতেও ভুলবেন না। সকলে ভালো থাকুন। শুভরাত্রি।
Es un inmenso trabajo, una gran responsabilidad y una demostración de amor dedicarse a cuidar a su madre. Estoy de acuerdo, por otra parte, con que la gratificación del dinero es importantísimo para motivarnos en el plano laboral. Sabemos que para todo en este mundo son necesarios los recursos económicos... Espero que algún día logre trabajar como profesora, tal como lo ha anhelado. Éxitos, amiga.
কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই আপনার প্রথম কথাটি খুব ভালো লেগেছে। মানুষের জীবন নির্বাহ করার জন্য সর্বপ্রথম অর্থ উপার্জন করতে হয়। আর এই অর্থ উপার্জন করার পরেই মানুষ নিজের ভরণপোষণ চালাতে পারে।
আরেকটি কথা ভালো লেগেছে, যেকোনো জায়গায় চাকরি করলে নিজের কলিগদের সাথে সম্পর্ক ভালো না হলে সেই জায়গায় চাকরি করার মত অবস্থা থাকেনা।
আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি মন দিয়ে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আমাদের জীবন চালানোর জন্য অর্থ সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে সেই অর্থ যদি সৎপথে উপার্জিত হয়, তাহলে যেন বেঁচে থাকার আনন্দই অন্যরকম হয়।
আর চাকরি করার ক্ষেত্রে কলিগদের সাথে সম্পর্ক ভালো না হলে,সেখানে কাজ করতে ভালো লাগবে না, এটাও আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছি। যদিও খুব বেশি অভিজ্ঞতা আমার নেই, তারপরেও যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে এটুকু বুঝেছি, দিনের বেশিরভাগ সময় যে মানুষগুলোর সাথে কাটানো হয়, তাদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হলে সেখানে কাজ করা সত্যিই সমস্যার। আশা করছি আপনিও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত উপস্থাপন করবেন।ভালো থাকবেন।
TEAM 5
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator08.First of all I would like to express thank you very much for your invitation. Your post is very good where you have followed whatever your work is well. I think we will be happy and comfortable if we do everything with our heart, and our work can be appreciated and useful for other people, financial problems are not everything... Warm greetings to you.
Thank you so much.
দিদি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়বস্তুর উপর আপনার লেখা শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টটি আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ২/৩ বার পড়েছি। আপনার লেখাটা পড়ে যেমন ভালো লাগলো তেমনই কিছু বিষয়ে খারাপও লাগলো। আপনি ছোটবেলার ইচ্ছা ছিলো চাকরি করার। তবে স্বপ্নের চাকরি পেয়েও পরিস্থিতির জন্য চাকরিতে যুক্ত হতে পারেন নি।
চাকরি পেয়েও যদি সেখানে যুক্ত না হওয়া যায় এটা মনকে বোঝানো অনেক কঠিন। আর এটাও বুঝলাম এজন্য অনেকেই আপনাকে অযোগ্য বলে প্রমান করার চেষ্টা করে।
আমি আপনার থেকে অনেক ছোট, ভাই হিসাবে আপনাকে একটা কথা বলছি, পাছে লোকে কিছু বলে এই প্রবাদটা আমরা সবাই জানি। তাই কে কি বললো যেটা নিয়ে না ভেবে নিজের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
আপনার পোস্টটি পড়ে আপনার সাথে আমার একটা মিল খুজে পেলাম, আপনার মতো আমারও প্রিয় পেশা হলো শিক্ষকতা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার সত্যিই জেনে ভালো লাগলো আপনি আমার পোস্টটা দু-তিনবার পড়েছেন এবং আপনার আমার লেখা ভালো লেগেছে। একদমই তাই নিজের পছন্দের চাকরি পেয়ে, সেখানে পরিস্থিতির কারণে যুক্ত হতে না পারাটা অনেক কষ্টের।
তারপর কিছু মানুষের ব্যবহার, কখনো কখনো এমন খারাপ লাগা বয়ে আনে যে, নিজেরই নিজেকে অনেক সময় অযোগ্য মনে হয়। তবে একথাও সত্যি লোকে অনেক কিছুই বলে বা বলবে, তবে যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমাকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিলো, সেটা আমার মতন করে আর কেউ বুঝবে না,এটা খুব স্বাভাবিক।
আপনার নিজেরও শিক্ষকতা পছন্দ এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনি এখনো পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাই চেষ্টা করুন যাতে আপনার সেই ভালো লাগার জীবিকার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন। আপনার জন্য আমার অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ভালো থাকবেন।
ছোটবেলা থেকে শিক্ষিকা হবার যে স্বপ্ন লালন করে এসেছিলেন সেটা তো অ একাংশে সত্যি হয়েছে, কেননা আমরা যারা এই প্ল্যাটফর্মে এসে প্রিয় কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে প্রথম থেকে কাজ করছি তারা তো আপনাদের মত মেন্টরের কাছে থেকেই প্রতিনিয়ত শিখেছি, শিখছি ভবিষ্যতেও শিখবো।
জব এ না ঢুকে মায়ের সেবা করেছেন, এর কারণে যে সেক্রিফাইস টা করেছেন তার জন্যে হয়তো আপনি সাময়িক আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছেন, আর কিছু মানুষের বাকা কথা হজম করেছেন, এই মানুষ গুলি আওনি জব করলেও কথা শুনাতো, তখন বলতো মা কে ফেলে জব করছে।
তবে মায়ের পাশে থেকে যে মানসিক প্রশান্তি পেয়েছেন তা আজীবন আপনাকে তৃপ্তির ঢেকুর নিতে দিবে। এর বিপরীত করলে আজীবন নিজেকে অপঅরাধী ভাবা লাগতো।
ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সুন্দর ভাবে মনের কথা গুলো প্রকাশ করার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই,আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। সত্যি বলতে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আপনাদেরকে কিছু শেখানোর মতন যোগ্যতা আজও আমার অর্জিত হয়নি। কারণ আমি নিজেই এখনো অনেক কিছু শিখছি। তবে হ্যাঁ একসাথে কাজ করতে গিয়ে যে বিষয়গুলি আমার জানা, সেগুলোই কেবলমাত্র আপনাদেরকে বলি এই যা।
এই কথাটা আপনি একদম সঠিক বলেছেন, যে মানুষগুলি আজ আমাকে নিয়ে সমালোচনা করে, সেই সময় যদি মাকে ফেলে আমি চাকরি করতাম তাহলেও এই মানুষগুলি, সেই উদাহরণ টেনে আমাকে কথা শোনতো। কিছু মানুষ থাকে যারা সব সময় আমাদেরকে নিচের দিকে টেনে নামাতে চায়।
অবশ্য তাতে তাদের মানসিকতা প্রকাশ পায়। আসলে এখানে দোষটা সেই মানুষগুলোর শুধু নয়, আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি যেখানে মেয়েদের যোগ্যতা বারংবার প্রমাণ করতে হয় অথচ অযোগ্য ছেলেরাও মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়ায়। একেই বোধহয় বলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। যার বদল সত্যিই প্রয়োজনীয়।
সত্যি কথা বলতে বর্তমানে খানিকটা বদল ঘটছে, যেটা দেখে ব্যক্তিগতভাবে আমি বেশ খুশি হই। তবে ওই যে কিছু মানুষ থাকে, যারা এই বদল নিয়েও সমালোচনাই করে।
এ কথা সত্যিই সেই সময় মায়ের পাশে থাকাতে আজও আমি প্রশান্তি পাই। সেই সময় আমি বুঝেছিলাম মায়ের পাশে না থাকাটা অপরাধ হবে, আর আজ আপনিও যে সেই বিষয়টিকে সমর্থন করলেন, এটাও আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ভালো থাকবেন।
দিদি প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের জন্যে। আপনার লিখা পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনি সরকারি চাকুরি পেয়েও সেখানে যোগদান করেননি একমাত্র মায়ের জন্য। এমন মানুষ সত্যি পৃথিবীতে কম হয়। কেননা আমাদের সকলের স্বপ্ন থাকে একটা সরকারী চাকুরি।
যাইহোক দিদি আপনার পছন্দের পেশা শিক্ষকতা জেনে ভালো লাগলো। এই দিক থেকে আপনার সাথে আমার মিল রয়েছে। এছাড়াও স্টিমিট প্লাটফর্মের প্রতি আপনার ভালোবাসা, আবেগ, অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। স্টিমিট প্লাটফর্মে আপনার যাত্রা দীর্ঘ হউক সেই কামনা করছি। ভালো থাকবেন।
আমাকে সরকারি চাকরি পেতেই হবে এই বিষয়টি ছোটবেলা থেকেই আমার মা আমাকে বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু ভবিষ্যতে কি হবে আমরা কেউই সেটা জানি না,আমার চাকরি পেয়েও জয়েন করতে না পারাটাই তার উদাহরণ। মা নিজেও বোঝেনি এমন পরিস্থিতি কখনো আসতে পারে। তবে মা যখন শয্যাশায়ী ছিলেন আমার উপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করতেন। তাই সেই সময় আমি চাকরি জয়েন করার ইচ্ছাপূরণ করতে পারি নি। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে, এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।