Incredible India monthly contest of December #2| Some health tips to begin afresh new year!
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে।
আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি, কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত এই মাসের শেষ সপ্তাহের তথা এই বছরের শেষ সপ্তাহের কনটেস্টে। যার বিষয়বস্তু আমাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপনের উপরে রাখা হয়েছে।
বিষয়বস্তুটি খুব সাধারন মনে হলেও, আমার মনে হয় এটা নিয়ে নিজেদের মতামত শেয়ার করাটা ততটাও সহজ নয়। কারণ সুস্থ জীবন যাপনের ক্ষেত্রে কি কি জিনিস করা উচিত আর কি কি জিনিস করা উচিত নয়, এ বিষয়ে আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি জানি। তবে বেশিরভাগ মানুষই সেগুলোকে সঠিকভাবে পালন করতে পারিনা, এটাই সব থেকে বড় সমস্যা।
যাইহোক আজ আমি আমার মতামত গুলো উপস্থাপন করবো, যদিও তার মধ্যে সব কটি মেনে চলা আমার নিজের পক্ষেও সম্ভব হয়ে ওঠে না। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের ক্ষেত্রে সবার আগে যে জিনিসটা আমাদের করতে হবে সেটি হলো, নিজেকে ভালবাসতে হবে।নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজেদের সচেতন হতে হবে। নিজের স্বাস্থ্য কিভাবে ভালো থাকবে, সেটা শুধুমাত্র জানলেই হবে না, বরং সেই জানাটাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার মতন ইচ্ছা এবং একাগ্রতা নিজের মধ্যে থাকতে হবে। তবেই আমরা একটা স্বাস্থ্যসম্মত জীবন কাটাতে সক্ষম হবো।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বেশিরভাগ সময়টা আজকাল আমরা ফোনের পিছনে নষ্ট করি। নষ্ট করি এই কারণেই বললাম, অনেক সময় কাজের বাইরেও আমরা ফোনে অনেক কিছু এমন দেখি, যেটা হয়তো অপ্রয়োজনীয়।
➡️ হ্যাঁ একথা হয়তো অনেকেই বলবেন যে, একঘেয়েমি জীবনে নিজের মত করে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য ফোন আমাদের সঙ্গী। তবে এটাও হয়তো আপনার অস্বীকার করতে পারবেন না যে, এই সঙ্গীর উপরে আমরা এত নির্ভর শীল হয়ে পড়ছি যে, আমাদের স্বাস্থ্যহানির পিছনে কিয়দাংশে কিন্তু আমাদের এই প্রিয় সঙ্গীটিই দায়ী। তাই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই আমরা ফোনের পিছনে সময় দেবো এবং কখন সেই সময়টাও আমাদেরকে নির্ধারণ করতে।
➡️ আমাদের জীবনযাপন এমন যে, অনেক রাত পর্যন্ত আমরা জাগি এবং সকালের দিকে অনেকটা দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। এই অভ্যাসটা আমাদের সর্বাগ্রে ত্যাগ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং যত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব হবে, ততটা ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। এই অভ্যাসটা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী, এটা আমরা সকলেই জানি কিন্তু মেনে চলতে পারিনা।
➡️ আরও একটা বদ অভ্যাস আমাদের মধ্যে রয়েছে সেটি হল দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বেশিরভাগ মানুষ সকালের খাওয়া যেটাকে আমরা ব্রেকফাস্ট বলি, সেটা অনেকটা দেরিতে করি, যতটা কম খাওয়া সম্ভব ততটা কম খাই, যেটা একেবারেই ভুল। কারণ ব্রেকফাস্ট আমাদের সময়মতো এবং পেট ভরে করা উচিত। অন্তত স্বাস্থ্যের কথা ভেবে করা উচিত। দুপুরের খাবার ব্রেকফাস্ট এর থেকে কম খাওয়া উচিত, আর রাতের খাবার দুপুরের খাবারের থেকেও কম খাওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে বাংলায় একটা চলতি কথা আছে, আমি জানি না এটা আপনারা কজন জানেন যে, - "সকালের খাবার খেতে হয় রাজার মতো, দুপুরের খাবার খেতে হয় প্রজার মতো এবং রাতের খাবার খেতে হয় ভিখারির মতো।" যদি এটি আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবনে পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক হতে বাধ্য।
➡️ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আমরা কেউই ঘুমাই না। যদি আপনি হিসেব করেন ঘুমের যে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ রাতে যে নির্দিষ্ট সময় আমাদের ঘুমানো উচিত, তার বেশিরভাগ সময় আমরা মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটারের পেছনে ব্যয় করি। বেশ অনেকটা রাত্রে ঘুমাতে যাই ফলতো আমাদের সকলের শরীরে ঘুমের ঘাটতি রয়েছে এবং এটি পূরণ করা সব থেকে অসাধ্য একটি কাজ। কারণ একটা রাত জাগলে সেই ঘুম তিন দিন পর্যন্ত পূরণ হয় না, এ কথাটা আমি আমার দিদির থেকে শুনেছি। ও নাইট ডিউটি করে এসে বলতো।
➡️ এরপর আমাদের জীবনযাপনের মূল বিষয়ে সম্পর্কে দু'চারটে কথা বলতে চাই, সেটি হল খাদ্যভ্যাস। আমরা প্রত্যেকেই সুস্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করি, তবে সব সুস্বাদু খাবারই আমাদের শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। সমস্ত স্বাস্থ্যকর জিনিসই আমাদের কাছে সুস্বাদু মনে হয় না। ফলতো আমরা সেগুলো এড়িয়ে চলারই চেষ্টা করি। তাই এই চেষ্টাগুলোকে বদলে ফেলতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, যাতে তেল মশলা আমাদের শরীরে কম যায়।
এই সকল জিনিসগুলো প্রতিদিন যদি আমরা আমাদের জীবনযাপনে মেনে চলতে পারি, তাহলেই মনে হয় আমরা একটা সুস্থ জীবন পাবো।
|
---|
যদি আমরা খেয়াল করি, তাহলে প্রাত্যহিক জীবনে যে দুটি রোগের ওষুধ প্রায়ই মানুষ খেয়ে থাকেন সেটি হলো প্রেসার এবং সুগার। এর পাশাপাশি যেটি সবথেকে বেশি প্রয়োজন হয় সেটি হল গ্যাসের ওষুধ।
রোজকার জীবনের এই ওষুধগুলো ত্যাগ করতে হলে আপনাকে জীবনযাপনের বেশ কিছু জিনিস অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।
➡️ যেমন প্রতিদিন ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে নিয়মমাফিক হাঁটতে যেতে হবে এবং কিছু এক্সারসাইজ নির্দিষ্ট সময় মেনে বাড়িতে বসে করতে হবে। যার পরে আপনার সুগার কন্ট্রোল থাকবে এবং ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। সুগারের জন্য সবথেকে ক্ষতিকারক যে খাবার অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট এবং মিষ্টি, এগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। যতটুকু খেলে আপনার শরীরে ক্ষতি হবে না, শুধুমাত্র ততটুকুই খেতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছে গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে।
➡️ গ্যাস এবং প্রেসার দুটোর জন্যই আমাদের খাওয়া-দাওয়ার বেশ কিছু অংশে দায়ী। তাই চেষ্টা করতে হবে সব সময় বাড়িতে তৈরি, কম তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার। বাইরের হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবেনা এমনটা নয়, তবে সেটা বিশেষ দিনগুলোতে খাওয়াই ভালো। তবে বেশিরভাগ দিন বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে হবে।
➡️ সর্বোপরি আমাদের প্রত্যেকের পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া এবং ঘুমানো উচিত। যেটা আজকালকার দিনে আমরা প্রায় কিছুতেই করে উঠতে পারি না। আমার মনে হয় এই কয়েকটি জিনিস যদি আমরা একটু মানিয়ে চলতে পারি, তাহলে বেশ কিছু ওষুধ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে বাদ দিতে পারবো।
|
---|
স্বাস্থ্য:-
সবার প্রথমে আমি বেছে নেব স্বাস্থ্যকে। সুস্বাস্থ্য আমাদের প্রত্যেকের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। স্বাস্থ্য যদি আমাদের প্রত্যেকের সঠিক না থাকে, তাহলে আমরা সঠিকভাবে কোনো কাজই করতে পারবো না। জ্ঞান অর্জন করার জন্য আমাদেরকে সঠিকভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি, বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে শিখতে হবে। তবেই আমরা পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তবিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবো, জ্ঞান অর্জন করতে পারবো, এই কারনেই আমার জন্য প্রথমেই হলো সুস্বাস্থ্য।
জ্ঞান:-
এরপর আমি যেটা বেছে নেবো, সেটি হলো জ্ঞান। আমরা আমাদের জীবনকে সঠিক পথে চালিত করার ক্ষেত্রে এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে থাকি। আমাদের জন্য কোনটি ঠিক কোনটি ভুল এটি বিচার করার জন্য কিন্তু অবশ্যই সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তবেই আমরা ভালোটা গ্রহণ করতে পারবো এবং ভালোটা শেখার চেষ্টা করতে পারবো। আর জীবনটা সঠিক পথে চালিত করতে পারব।
ঐশ্বর্য্য:-
সব থেকে শেষে রয়েছে ঐশ্বর্য্য। জীবনে বাঁচতে গেলে টাকার প্রয়োজন আছে, তবে ঐশ্বর্য্য আর টাকার মধ্যে যে সামান্য পার্থক্য আছে, সেটা বোঝার মত জ্ঞান সবার নেই। যাদের সেটা নেই, তারা নিঃসন্দেহে প্রথমে ঐশ্বর্য্যকে বেছে নেবে। আমার জন্য ঐশ্বর্য্য সব থেকে শেষে আসে, তার কারণ আমি বিশ্বাস করি, জীবনে সৎ পথে, সততার সাথে বাঁচার জন্য নূন্যতম অর্থের প্রয়োজন ঐশ্বর্য্যের নয়।
|
---|
যাইহোক এই ছিল আমার নিজের মতামত, যেগুলো আমি আমার মতো করে আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করলাম। যারা এখনো এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেননি, অনুরোধ করবো সকলকে এগিয়ে এসে নিজের মতামত শেয়ার করার জন্য।
আমি আজকের লেখা শেষ করার আগে আমার তিনজন বন্ধু @shuhad, @avishek93 ও @pathanapsana কে আমন্ত্রণ জানাই, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। ভালো থাকবেন। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ।
সত্যি অসাধারণ একটি পোস্ট আপু। প্রাত্যহিক জীবনযাপনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। স্বাস্থ্য, জ্ঞান এবং ঐশ্বর্য্যের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নিয়ে যেভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, তা যে কারো জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। মোবাইল ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা থেকে শুরু করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্বপ্রতিটি বিষয় অত্যন্ত উপযোগীভাবে আপনি ব্যাখ্যা করেছেন।
আপনার এই পোস্ট শুধু কনটেস্টের জন্যই নয়, বরং আমাদের সবার জীবনে একটি গাইডলাইন হিসেবেও কাজ করবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং আশা করি এমন আরও মনোমুগ্ধকর লেখা উপহার পাবো আমরা সবাই আপনার কাছ থেকে।
It was great to read your post. We have to take very good care of our health. Therefore, we have to include vegetables and fruits in our diet and drink as much water as possible. Exercising also keeps our body good. Thank you very much for inviting me.
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কিভাবে ঠিক রাখা যায়। তার জন্য আপনি বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়েছেন। আমরা যদি সঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে, নির্দিষ্ট সময় কাজ করি ,তাহলে স্বাস্থ্য মন সবকিছুই ভালো থাকবে।
আপনার উপরের এই কথাটা দিদি আমি প্রথম শুনলাম, এই কথাটার মাধ্যমে আপনি অনেক সহজে বুঝিয়েছেন আমরা কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারি। আমার বিশ্বাস, আপনার কথাগুলো একটা মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে । দিদি আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।