Incredible India monthly contest November #2|Happy family.
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আমার দিনটিও মোটামুটি কেটেছে।
আজ আমি আমার এই পোস্টের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে চলেছি আমাদের কমিউনিটিতে আয়োজিত নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় কনটেস্টে। যার বিষয়বস্তু হিসেবে এডমিন নির্বাচন করেছেন সুখী পরিবার।
পরিবার সম্পর্কে আমাদের অনুভূতি সংক্রান্ত তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন, যেগুলোর উত্তর এবার আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে শুরু করি,
1. What is the definition of a happy family? |
---|
সুখী-পরিবার সম্পর্কে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু পরিবার বলতে প্রত্যেকের কাছে সংজ্ঞা প্রায় একই। পরিবার বলতেই আমরা বুঝি আমাদের মা-বাবা, ঠাকুমা-ঠাকুরদা,ভাই-বোন সকলকে।
যদিও আগেরকার দিনে এই পরিবারভুক্ত ছিলেন কাকু-কাকিমা, জেঠু-জেঠিমা ও তাদের সন্তানেরা। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, পরিবারের সদস্য সংখ্যা ততটাই কমেছে। তাই আজকাল যৌথ পরিবার প্রায় চোখেই পড়ে না।
একই বাড়িতে থাকলেও, সকলেই নিজেদের মতন ভিন্ন থাকতেই বেশি সচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই বাচ্চাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তার পরিবারে কে কে আছে। সে হয়তো শুধুমাত্র তার বাবা-মা, ভাই বোন, আর খুব বেশি হলে ঠাকুমা/ ঠাকুরদার কথাই বলবে।
আমার কাছে সুখী পরিবার মানে এমন একটি পরিবার যেখানে পরিবারের সকলে একসঙ্গে থাকলে যেমন কখনো কখনো মতানৈক্যতা দেখা যাবে, অথত সেগুলো বাদ দিয়েও একে অপরের সাথে মিলেমিশে থাকবে। ভালো-মন্দ সব পরিস্থিতিতে একে অপরের পাশে দাঁড়াবে। সকলের মধ্যে একটা আত্মিক সম্পর্ক থাকবে। আমার মতে এই সব কিছু মিলিয়েই একটি পরিবার, প্রকৃত অর্থে সুখী পরিবার হয়ে ওঠে।
2. What things should we follow to keep our family happy? Justify. |
---|
পরিবারকে সুখে রাখতে গেলে ধৈর্য্য কতটা জরুরি এটা বোধহয় আমরা আমাদের প্রত্যেকের মাকে দেখে শিখতে পারি। কারণ ছোট থেকে আমাদের সমস্ত আবদার, বড়দের শাসন, পারিবারিক সমস্যা, স্বামীর সুবিধা-অসুবিধা এই সমস্ত কিছু কিভাবে ধৈর্য্য সহকারে সমাধান করতে হয়, এটা বোধহয় একমাত্র মায়েরাই জানে।
আর এই কারণে সংসারে সমস্ত কিছু কিভাবে ব্যালেন্স করতে হয়, সেটা তাদের থেকে ভালো আর কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। তবে আমরা চিরকাল ছোট থাকি এরকমটা নয়, সময়ের পরিবর্তনে এক সময় সবাই বড় হই এবং পরিবারের দায়িত্ব আমাদের ওপরে এসেও পড়ে।
আর ঠিক তখনই মায়েদের কথা চিন্তা করে আমাদের নিজেদের মধ্যেও ধৈর্য বাড়ানো উচিত। যাতে করে আমিও আমার পরিবারকে সুখী রাখতে পারি। পরিবারের সকলের সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি।
আমরা প্রত্যেকেই জানি ছোটদের জন্য তাদের পরিবারের প্রথম বিদ্যালয়। এই কারণে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি পরিবারের ছোট হোক বা বড় প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার সময় অবশ্যই ভাষা ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। কারণ ছোটবেলা থেকে বাচ্চারা যে ভাষাগুলো শুনে বড় হবে, সেই গুলোই কিন্তু তারা আয়ত্ত্ব করবে। এই কারণে অবশ্যই একে অপরের প্রতি ভাষার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
অনেক সময় পারিবারিক অশান্তি হলে অথবা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হলে, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ভাষার ব্যবহার হয়ে থাকে। যেটা কিন্তু বাচ্চাদের উপরে খারাপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে। পরিবারের প্রত্যেককে সুখী রাখতে গেলে এই দিকটাও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
ছোটহোক বা বড় প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই আত্মসম্মান বোধ কাজ করে। এই কারণে পরিবারের সকলকে অবশ্যই একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ নিয়ে কথা বলতে হবে। যদি পরিবারের বড়রা একে অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা বলে তবেই পরিবারের ছোটরা তাদের থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবে। নিজেরাও অন্যদেরকে সম্মান করা শিখবে।
পরিবারকে সুখী রাখতে গেলে আত্মত্যাগ সর্বাগ্রে জরুরী। অনেক সময় দেখা যায় আমরা আমাদের পছন্দের কোনো জিনিস পেয়ে গেলে অনেক বেশি খুশি হই। কিন্তু কখনোই আমরা এটা ভেবে দেখি না, আমাদেরকে সেই জিনিসটি দিতে গিয়ে আমারই পরিবারের অন্য কেউ কোন জিনিস পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো কিনা।
যদি কখনো সেটা আমরা নিজেরা ভেবে দেখি এবং সেই জিনিসটা আমরাও কারোর জন্য করি, কেবলমাত্র তখনই কিন্তু একটি পরিবার সুখী পরিবার হতে পারে। সব সময় যদি আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব নিয়ে বেঁচে থাকি, তাহলে কখনোই আমি আমার পরিবারকে সুখী রাখতে পারব না।
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের পরিবারের কোনো সদস্যের আত্মত্যাগ সম্পর্কে আমরা জানতে পারি, কিন্তু সেই মুহূর্তে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাই। যেটা কিন্তু তার মনে কষ্ট দেয়। সুতরাং যদি আমরা কখনো এটা বুঝতে পারি আমার পরিবারের কারোর সাহায্যে বা তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমার জীবনে বিন্দুমাত্র ভালো কিছু হয়েছে, অবশ্যই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত। কারণ কৃতজ্ঞতা বোধ পরিবারের প্রত্যেকের মধ্যে থাকলে, সেই পরিবার এমনিতেই সুখী পরিবার হবে।
একটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি বেশি হয়, তাহলে সেই পরিবারের খরচও কিন্তু অনেকটাই বেশি হবে। অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের সকলে ইনকাম না করলেও যারা ইনকাম করেন, তারা সকলে হয়তো সমানভাবে আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন না। যার ফলে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়।
সেই ক্ষেত্রে যদি প্রত্যেকেই নিজের জায়গা থেকে যতটা সম্ভব আর্থিক সাহায্য করেন, তাহলে কিন্তু এই অশান্তি এড়ানো সম্ভব এবং পারিবারিক সুখ বজায় সম্ভব।
বর্তমান যুগে আমরা সকলেই এতটা ব্যস্ত থাকি যে, একে অপরের সাথে বসে দুই মিনিট কথা বলারও সময় হয় না। অবশ্যই কাজের প্রয়োজনে অনেককে সময় মতন বাড়ির বাইরে যেতে হয়। কিন্তু তবুও আমার মনে হয় সপ্তাহের ছুটির দিন অথবা কোনো উৎসবের সময় যখন ছুটি থাকে, তখন সকলেরই নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত। পরিবারের প্রত্যেকের ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলা উচিত। কেবলমাত্র তখনই একটি পরিবারের সকলের সাথে বন্ডিং তৈরি হয় এবং সুসম্পর্ক বজায় থাকে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি উপরোক্ত বিষয়গুলি যদি আমরা খেয়াল করি বা মেনে চলি তাহলেই আমরা একটা সুখী পরিবার তৈরি করতে পারব।
3. Can professional relationships become a portion of our family? Describe. |
---|
আমরা যদি হিসেব করি তাহলে দেখা যায় আমরা যখন কোথাও চাকরি করি, তখন দিনের বেশিরভাগ সময় আমরা সেই মানুষগুলোর সাথে কাটাই, যাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় কর্মক্ষেত্রে। কারণ সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাতে বাড়িতে ফেরার আগে পর্যন্ত, সেই মানুষগুলোর সাথেই আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত শেয়ার করতে হয়।
তাই সেদিক থেকে বিচার করলে বলাই যায় যে, সেই মানুষগুলো আমাদের জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর প্রতিদিন কিছু মানুষের সাথে এতটা সময় অতিবাহিত করলে, তারা কখন মনের অজান্তেই পরিবার হয়ে ওঠে, সেটা আসলেই বোঝা যায় না।
কর্মক্ষেত্রে সকলের সাথে মতানৈক্যতা থাকতেই পারে। কারণ তারা প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন পরিবার থেকে এসেছে। কিন্তু নিজের পরিবারের মানুষগুলোর সাথেও যে আমাদের সব সময় মতের মিল থাকে এরকমটাও নয়। তাই মতানৈক্যতা থাকলেও কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা সময় কাটাই তারাও কিন্তু আমাদের পরিবারসম।
Conclusions |
---|
যাইহোক এই ছিল আজকে আমার অনুভূতি,যেগুলি এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। শেষ করার আগে কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমি আমার তিনজন বন্ধু @sailawana @marianaceleste ও @tammanna কে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
আশা করছি তারা এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে সুখী পরিবার সম্পর্কে নিজেদের মতামত অবশ্যই শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
পরিবার নিয়ে যে এত সুন্দর করে লেখা যায় তা আপনার লেখা না পড়লে বুঝতে পারতাম না। একটি পরিবার সুখী করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা আপনি উল্লেখ করেছেন। পরিবার কাকে বলে সেটা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বলেছেন।
পেশাদার সম্পর্কে কী পরিবারের অংশ হবে কিনা সেটা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। যাইহোক আপু খুবই ভালো লাগে আমার আপনার পোস্ট। আপনার হাতে জাদু আছে তাই আপনি এত সুন্দর করে লিখতে পারেন।
আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভালো থাকবেন আপনি সবসময় সেই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার যে আমার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে,এটা সত্যিই আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওনা। আসলে পেশাদার সম্পর্কগুলো কখন যে আমাদের জীবনের সম্পর্কের সাথে জড়িয়ে যায়, হয়তো আমরা বুঝতেও পারি না। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার মন্তব্যের রিপ্লে দেওয়ার জন্য। আর আপনার মন্তব্যটা আমারটা আমার খুবই ভালো লাগেছে।
পরিবার নিয়ে আপনার লিখাটি সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনি যে যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করেছেন এগুলো একটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সব মিলিয়ে লিখাটি দারুন হয়েছে দিদি। কর্মক্ষেত্রে আমরা যদি পরিবার হয়ে কাজ করি তাহলে যেকোন কঠিন কাজও খুব সহজে মিলে মিশে করা সম্ভব। ভালো থাকবেন দিদি। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এই প্রতিযোগিতার উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। একটি পরিবারকে সুখী করার জন্য যে বিষয়গুলো বিশেষ প্রয়োজন সে বিষয়গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল । ভালো থাকবেন দিদি। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই সত্যি আগে যৌথ পরিবার ছিল। পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের সাথে আমরা খুব মিলেমিশে বসবাস করতে পারতাম, কাকা জ্যাঠা মামা-মামী চাচা চাচি সবার সাথে বসে খাবার খাওয়ার মজাটাই ছিল অন্যরকম। আমার কাছে তো মাঝে মাঝে মনে হয় ওই পরিবার যদি আমি আবার ফিরে পেতাম। তাহলে কতই না ভালো হতো।
একটা পরিবারকে সুখে রাখতে হলে অনেকগুলো পয়েন্ট আমাদের মাথায় রাখা উচিত। আজকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আমি আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছি। আসলে পরিবারের মধ্যে যদি একজন আরেকজনকে সম্মান করে, ভালোবাসে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে আসে। এবং একজনের মতের গুরুত্ব পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য দেয়। তাহলে আমার কাছে মনে হয় সেই পরিবার অনেক বেশি ভালো থাকে। এবং সুখী পরিবার হিসেবে গণ্য হয়।
পেশাগত দিক দিয়ে তো আমরা অনেকের সাথেই পরিচয় হই। কিন্তু কিছু মানুষের সাথে এমনভাবে আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে যাই। যাদের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্কের চেয়েও আরো ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। আমি মনে করি সে ক্ষেত্রে তারাও আমাদের পরিবারের সদস্য। চমৎকারভাবে প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুরোনো দিনের অনেক কিছু ফিরে পেলে আমাদের ভালো লাগবে, তারমধ্যে যৌথ পরিবার ও সামিল। আমি সত্যিই আনন্দিত এটা জেনে যে, আমার পোস্ট পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
You made a very valid point on the fact that there must be team work among all the members of the family for the happiness to be sustainable. Love and caring for one another too cannot be over emphasized.
Beautiful article you have here. Warm regards and good luck with the contest
Thank you so much for visiting my post. I'm very happy to know that you like my article. It means a lot for me. Stay blessed my friend.