Better life with steem// The Diary Game// 11th december, 2024// মোক্ষদা একাদশীর সারাদিন
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে। আমার দিনটিও আজ বেশ ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে।
এর পূর্বে আমি একটি পোস্টে আপনাদের সাথে মোক্ষদা একাদশী সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে, সেই একাদশীর দিনটি কিভাবে কাটিয়ে ছিলাম সেটাই শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
|
---|
প্রতিদিনকার মতন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠলাম। সেদিনও বেশ ঠান্ডা ছিলো। ফ্রেশ হয়ে নীচে এসে আমার প্রতিদিনের নির্দিষ্ট কাজগুলো সম্পন্ন করলাম। শুভর চা বসিয়ে রান্নাও করলাম। যথাসময়ে শুভ অফিসে বেরিয়ে গেলো। তারপর রুটিন অনুযায়ী শশুর মশাইকে খেতে দেওয়া এবং তাকে ঔষধ দেওয়া পর্যন্ত আমার কাজ থাকে।
|
---|
ততক্ষণে শাশুড়ি মা উঠে পড়েন এবং আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলে, তিনি সংসারের বাকি দিকগুলো সামলান। বলতে পারেন এটা আমাদের শাশুড়ি বৌমার একটা ডেইলি রুটিন হয়ে গেছে। এইদিনও তেমন ভাবেই কেটেছিল।
অন্যদিন ব্রেকফাস্ট করার জন্য বারংবার শাশুড়ি মা বলেন, কারণ সেই মুহূর্তে আমি কমিউনিটির পোস্ট ভেরিফিকেশনে ব্যস্ত থাকি। তবে সেদিন আর কিছু বলেননি, কারণ উনি জানেন আমার একাদশী ব্রত ছিলো। উনি নিজের মতন করে, নিজের ব্রেকফাস্ট সেরে নিলেন। তবে আমি সেদিন কমিউনিটিতে গিয়ে দেখলাম, খুব বেশি পোস্ট নেই। সেই কারণে ভাবলাম আগে পুজোর দিকেই চলে যাই।
|
---|
যেহেতু সেদিন একাদশী ছিলো, তাই উপরের ঘর, সিঁড়ি, নিচের সমস্ত ঘর আমি মুছেছিলাম। প্রথমে ঘরগুলো মুছে, তারপর ঠাকুরের সমস্ত বাসন ধুয়ে, ফলগুলো ও ধুয়ে রাখলাম। দুপুরে ও রাত্রে খাওয়ার জন্য সাবুদানাও ভিজিয়ে দিলাম।
যেহেতু আমি বড় সাবুদানা খাই, সেই কারণে সেটা ভেজার জন্য বেশি সময়ের প্রয়োজন। এই কারণে আমি সকাল বেলাতেই ভিজিয়ে দিই। ছোটো সাবুদানা গুলিতে অনেক সময় ময়দা মেশানো থাকতে পারে, সেই কারণেই বড় সাবুদানা খাওয়াই ভালো। এই কারণে আমি এই বড় সাবুদানা কিনে থাকি।
|
---|
|
---|
ঘর মুছে, স্নান করে উঠতে আমার প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিল। এরপর আমি ঠাকুর পূজো দিতে বসলাম। ইতিমধ্যে ভালই ঠান্ডা পড়েছে, তাই আমিও ঠাকুরের পোশাক বদলে সমস্ত উলের পোশাক ওনাদেরকে পরিয়ে দিয়েছিলাম। যেমনটা আপনারা ছবিতে দেখতে পারছেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এই পোশাকগুলো কিন্তু কোনো দোকান থেকে কিনে আনা নয়, এই সমস্ত পোশাকগুলো আমার শাশুড়ি মা নিজের হাতে ক্রুশ কাটা দিয়ে বানিয়েছেন।
|
---|
এমনকি শ্রীকৃষ্ণের মাথায় আপনারা যে মুকুট দেখতে পারছেন, যেটাতে ময়ূরের পালক লাগানো, সেটাও আমার শাশুড়ি মা তৈরি করেছেন। নিজের হাতে সেলাই এবং হাতের কাজে তিনি বেশ পারদর্শী। তার সাথে ওনার ধৈর্য্যও প্রচুর। সত্যি বলতে সমস্ত কাজ ধৈর্য্য ছাড়া করা একেবারেই অসম্ভব।
|
---|
যাইহোক এরপর সমস্ত কিছুই জোগাড় করে আমি আমার পূজা সম্পন্ন করলাম। আপনাদের বোধহয় এর আগেও জানিয়েছিলাম, আজকাল প্রতিদিন গীতা পাঠ করার অভ্যাস করছি বলতে পারেন। এটাও আমার মন থেকেই এসেছে। কারণ জীবন থেকে যখন প্রতিটা দিন পার হয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন বেশ কিছুটা চিন্তিত, তখন কোথাও একটা মনের শান্তি পাই এই কাজগুলো করে। তাই প্রতিদিন একটু একটু করে এই অভ্যাস তৈরি করছি।
|
---|
এরপর আমি পুজো শেষ করে, গীতা পাঠ শেষ করে, ফলাহার করলাম। তারপর একটু দরকারি বিষয়ে ডিসকর্ডে কথা বললাম। দুপুরে পিকলুকে খাবার খাইয়ে দিয়ে, কিছুক্ষণ কমিউনিটিতে পোস্টগুলো ভিজিট করার পর, আমি সাবু মেখে খেয়ে নিলাম এবং শেষে আবার কমিউনিটির পোস্ট দেখতে দেখতে কিছুক্ষণ রেস্ট করলাম।
|
---|
যেমনটা আপনারা সব সকলেই জানেন আজকাল তো বিকেল বলতে কিছু হয় না। দুপুরের পরে কেমন জানি সন্ধ্যা সন্ধ্যা ভাব হয়ে যায়। যথারীতি সন্ধ্যা বেলায় উঠে পুনরায় আবার ঠাকুর পূজা দিয়ে নিয়েছিলাম। শীতকালের এটা একটা ভারী কষ্টের কাজ আমার জন্য। কারণ পুজো দেওয়ার জন্য পুনরায় শীতকালে আবার জামা কাপড় বদলানোটা বেশ কষ্টের। যাইহোক পূজা সম্পন্ন করে, কমিউনিটির পোস্ট ভেরিফিকেশন শুরু করি।
|
---|
কিছুক্ষণ বাদেই শুভ বাড়িতে ফেরে। ওকে একপ্রকার জোর করেই কিছুটা ফল খাওয়ালাম। ফল খাওয়ার ঘোর বিরোধী সে। তবে আজ একটু জোর করাতে খেয়ে নিলো দেখলাম। তারপর ওকে একটু ম্যাগী করে দিলাম। এরপর আমি বুমিং এর কাজ নিয়ে বসলাম, আর শুভ ফ্রেশ হতে গেলো। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সময় কমিউনিটির কাজ করলাম।
|
---|
রাতের দিকের জন্য কিছুটা সাবু রেখে দিয়েছিলাম। তবে দুপুরে খাওয়ার পর রাতের দিকে আর তেমন খেতে ইচ্ছা করে না। বিশেষ করে ঠান্ডার জন্য আরও যেন আলিস্য লাগে। কিন্তু না খেলে সবগুলো নষ্ট হবে, কারণ অন্য কেউ সেগুলো খাবে না এটা ভেবে একপ্রকার জোর করে খেয়ে নিলাম।
রাতে সেদিন পিকলুকে খাওয়ানোর দায়িত্ব শুভ নিয়েছিলো বলে আমাকে আর আলাদা করে ওকে খাওয়াতে হয়নি। যাইহোক এরপর আমি বসলাম পোস্ট লিখতে। এইভাবে আমি আমার দিনটা কাটিয়ে ছিলাম।
সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।