Better life with steem || The Diary Game || 29th October, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
কালকের দিন পেরোলেই কালী পূজা, আর তারপর দিন শুভ দীপাবলি অর্থাৎ আলোর উৎসব। অবশ্য ইতিমধ্যে আশে পাশের বাড়িতে নজর পড়লে আলোর রোশনাই দেখা যাচ্ছে, আর তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে দীপাবলি একেবারে সন্নিকটে।
বোধহয় আমাদের বাড়িতেই এবার কোনো উৎসাহ চোখে পড়ছে না। আর উৎসাহ না থাকাটাই খুব স্বাভাবিক, কারণ আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্য মানসিক লড়াই লড়তে লড়তে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাই দীপাবলির আলো বোধহয় আমাদের মানসিক অবসাদের অন্ধকারকে দূর করতে পারছে না।
যাইহোক চলুন এসব কথা নিয়ে অন্য কোনো একদিন কথা হবে, যেদিন ধৈর্য্যের বাঁধে ভাঙন ধরবে। আজকের এই পোস্টে আমি শেয়ার করবো আমার সারাদিনের কার্যাবলী, -
|
---|
|
---|
অনেকদিন বাদে আজ পুরনো রুটিন মাফিক ঘুম থেকে উঠেছি। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি কোমরের ব্যথাটা কিছুটা কমলেও, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরো বোধহয় বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। বলতে পারেন গত কয়েকদিন যাবৎ এই ব্যথাটা সহ্য করতে করতে, এখন খানিকটা অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে এখনও সাবধানেই চলাফেরা করছি, প্রতিদিন বরফের সেঁক নিচ্ছি, আর তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে।
ঘুম থেকে উঠে নিচে গিয়ে আজ চা বসিয়েছি আমি নিজেই। শুভকে বলে দিয়েছিলাম যেন চা টা সিঁড়িতে গিয়ে নিয়ে আসে, কারণ আমার পক্ষে সিঁড়ি দিয়ে উঠে ওকে চা দিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। চা হয়ে যাওয়ার পর শুভকে ফোন করাতে ও চা নিয়ে গিয়েছিল।
|
---|
অদ্ভুত ভাবে আজ সকাল থেকে কারেন্ট ছিল না, ফলত পাম্প চালাতে পারিনি। তাই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর শুভ ফ্রেশ হতে গেল। গতকাল রাতেই শাশুড়ি মা রান্না করার প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু উপরের দিকে তুলে রেখেছিলেন। কারণ নিচু হয়ে কোনো কাজ করাই আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। রান্নাঘরের আওয়াজ পেয়ে শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠলেন।
আজকে ওনাকে বাজারে যেতেই হতো, কারণ আমাদের সবজি, মাছ সব বাজার প্রায় শেষের দিকে। যেহেতু কয়েকদিন আমার অসুস্থতার কারণে সমস্ত কিছু শাশুড়ি মা কে করতে হয়েছে, তাই ওনার পক্ষে বাজারে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
কোনো রকমে আমি শুভর জন্য রান্না করে দিয়েছি, আর শাশুড়ি মা আজ বাজার গিয়েছেন। এরপর যথারীতি শ্বশুরমশাইকে চা দেওয়া, সুপার মাপা, ওনাকে খাবার দেওয়া, সমস্তটাই আমি ধীরে ধীরে করেছি।
|
---|
শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সাথে সাথে কমিউনিটির কাজ দেখলাম। এখন দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা হাঁটাচলা করতে পারি না, মাঝে মধ্যে শুয়ে একটু বিশ্রাম করতেই হয়।
|
---|
|
---|
বেশ কিছুক্ষণ বাদেই শাশুড়ি মা ফিরলেন। সারা সপ্তাহের সবজি, মাছ, শশুর মশাইয়ের জন্য ফল সব মিলিয়ে বেশ অনেক কিছু বাজার এসেছে আজ। তবে আমি কোনো রকম ভাবেই শাশুড়ি মাকে সাহায্য করতে পারিনি। সমস্ত মাছ সবজি তিনি গুছিয়েছেন। আমি শুধু বেসিনে দাঁড়িয়ে চিংড়ি মাছ গুলো বেছে দিয়েছিলাম।
এরপর বেশ কিছুক্ষন বসে আমি বরফের সেঁক দিলাম কোমরে। সেই সময় শশুর মশাই বললেন ওনার শরীরটা খারাপ লাগছে। যে মানুষ সব সময় শীতে কাঁপতে থাকে, হঠাৎ করে তিনিই ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে শুয়ে পড়লেন।
ওনাকে দেখেই বুঝলাম সুগার ফল করছে। তাড়াহুড়ো করে সুগার মেপে দেখি সুগার একেবারেই কম। সাথে সাথে ওনাকে চিনির জল, ফ্রীজে রাখা মিষ্টি খাইয়ে দিলাম। এরপর তিনি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলেন, আর সেই সুযোগে আমি স্নান সেরে এলাম।
|
---|
আজ অনেকদিন বাদে টুলের উপর বসে ঠাকুর পূজা দিয়েছি। কারণ নিচে বসা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, আর সমস্ত কাজ ছেড়ে শাশুড়ি মায়ের পুজো দিতে অনেক লেট হয়ে যেতো। তাই কোনো রকমে আজ আমি পুজো দিয়েছি। আসলে এরকম ভাবে পুজো দিতে অভ্যস্ত নই বলে একটা অস্বস্তি কাজ করছিলো। তবে আমার বিশ্বাস ঈশ্বর নিশ্চয়ই বুঝবে, নিরুপায় হয়েই আজ এভাবে আমি পুজো দিয়েছি।
এরপর ডিসকর্ডে যুক্ত হয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নিলাম। তারপর শশুর মশাইয়ের সুগার আরও একবার চেক করে, তারপর ওনাকে খেতে দিলাম। তারপর ওনাকে ওষুধ দিয়ে আমি পিকলুকে খেতে দিলাম।
|
---|
|
---|
আজকে খাওয়া দাওয়া করতেই আমাদের প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। শীতকালের এটাই সমস্যা, যেদিন বাজার আসে সব কিছু গুছিয়ে উঠতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়ার পরে নিজে দশ মিনিট শুয়েছিলাম, তারপরে উঠে সন্ধ্যা দিয়েছিলাম। শাশুড়ি মা এতটাই ক্লান্ত ছিলেন যে তিনি অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন।
|
---|
শুভ অফিস থেকে ফিরলো কিছুক্ষণ বাদেই। তখন আমি বুমিংয়ের কাজ করছিলাম। এরপর শুভকে টিফিন দিলাম। ফোনের রিং শুনে ফোন তুলে দেখলাম, আমার মাসির মেয়ে ফোন করেছে। ওর সাথে একটু কথা বলার পর, আমি বুমিংয়ের কাজ শেষ করি।
|
---|
শ্বশুরমশাই চা খাবেন বললেন, তাই ওনার জন্য চা বসলাম। আমারও আজ একটু চা খেতে ইচ্ছে করছিলো, তাই আমিও এক কাপ চা এবং দুটো টোস্ট বিস্কুট খেয়ে নিলাম।
|
---|
আজ শাশুড়ি মা ঘুম থেকে উঠেছেন রাত নটা বাজে। তবুও বোধহয় উঠতেন না, ওনার পাশে থাকা মোবাইল বেজে ওঠাতেই ওনার ঘুম ভেঙেছে। আসলে গত কয়েকদিন এতো চাপ গেছে ওনার উপরে যে, উনার শরীরও বেশ ক্লান্ত। আর আজ বাজারে যাওয়ায় খাটুনি একটু বেশি হওয়ায় গভীর ঘুমিয়েছেন।
এরপর আমি কিছুক্ষণ শুয়ে ছিলাম, আর কমিউনিটির কিছু পোস্ট চেক করছিলাম। এরপর শুভ ফোন করে জানালো ও রাতে ভাত খাবে না। শশুর মশাইয়ের সাথে ওর জন্য যেন দু তিনটে রুটি করে রাখি।
|
---|
তাই খুব বেশি দেরি না করে আমি রুটি করে নিলাম, সাথে নিজেদের খাবারও টেবিলে এনে গুছিয়ে রাখলাম। পিকলুকে রাতে শুভই খেতে দেয়। তাই সমস্ত কিছু গুছিয়ে আমি শুয়ে পড়লাম এবং শুভ পিকলুকে খাইয়ে দেওয়ার পর, আমরা সকলে মিলে ডিনার শেষ করলাম।
খাবার টেবিলে বসেই আসলে আশেপাশে বাড়ির লাইটগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছিলো। সেই কথা প্রসঙ্গে বুঝলাম মানসিক দিক থেকে আমরা প্রতিটি ব্যক্তি কতখানি অবসাদে রয়েছি। তবে শশুর মশাইয়ের সামনে এই বিষয়ে বেশি কথা বলা যায় না, কারণ যেহেতু শারীরিকভাবে উনি অসুস্থ, তাই হয়তো আমাদের এই আলোচনায় ওনার মনটা আরও খারাপ হবে।
তাই চেষ্টা করি ওনার সামনে আমরা প্রত্যেকেই হাসির কথা বলার, ওনাকে একটু ভালো রাখার। এভাবে দিনগুলো কাটছে। সামনের দিনগুলো জানিনা কেমন কাটবে। আরও কঠিন লড়াই এর সম্মুখীন হতে হবে আমাদের, নাকি কিছুটা হলেও মানসিক শান্তি পাবো।
ভবিষ্যৎ আসলে অনিশ্চিত। তাই এই সকল প্রশ্ন মনে আসাটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি এর উত্তর নিশ্চিত করে বলাটাও অসম্ভব। যাইহোক আপনাদের সকলের দিনগুলো ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
কোনো সহানুভূতি বা নেতিবাচক মনোভাব একদমই এইরকম কিছু না । তবে আপনার আজকের লেখাটা পড়ার পরে খুব রাগ হচ্ছে। ছেলের অর্ধাঙ্গিনী মনে হয় কাজের মেয়ে না। আমি নিজেও সাক্ষী যে আপনার আত্মীয় স্বজনদের বিপদে কষ্ট উপেক্ষা করে অনেক বার ছুটে গিয়েছেন যেটা সর্বদাই করেন।
তাহলে আপনার পাশেও আজকে তাঁদের থাকাটা উচিত ছিল। এটাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যেখানে শুধুমাত্র বাবা-মায়ের কাছে ছাড়া বোধ হয় মেয়েদের কোনো মূল্যই নেই।
তবে এখানে শুধু সমাজ না বরং আপনার মতো নরম মন-মানসিকতার মানুষরাই দায়ী। আপনার যে ব্যাথা এটার সর্বোত্তম ওষুধ বিশ্রাম আর আপনি সেখানে অন্যের জন্য কাজ করতেছেন।
একটি পরিবারে নারী-পুরুষ উভয়ই চাকরি করবে অথচ ঐ নারীই আবার রান্না করবে, কেন?
যেহেতু, পরিবার তাই সকলের দায়িত্ব সাথে থেকে সব কিছু করা। বৈষম্যটা দূর করার মানসিকতা পরিবার থেকেই তৈরি করতে হবে।