Better Life With Steem || The Diary game || 28th August
"Edited by canva" |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
আজকে অনেকদিন বাদে আমি আপনাদের সাথে আমার প্রতিদিনকার জীবন যাপনের কথা শেয়ার করতে চলেছি।বলতে পারেন প্রায় ১৬ থেকে ১৭ দিন পর আজ একটা নরমাল দিন কাটালাম। যদিও ব্যস্ততা অনেক বেশি ছিল। কারণ এর আগে শ্বশুর মশাইয়ের জন্য আলাদা করে সময় বের করার প্রয়োজনীয়তা ছিল না, তবে আজকাল ওনাকে সময় দিতে গিয়ে দিন কখন পার হয়ে যায় বুঝতে পারি না।
আজকে একটা নরমাল দিন কাটালাম, কথাটা এই জন্যই বললাম কারণ, আজকে এতদিন বাদে শুভ অফিসে গেলো। তাই আগের মতনই রোজ সকালে উঠে অফিসের টিফিন তৈরি করা থেকে শুরু করে, সময় মতো ওকে ডেকে দেওয়া, ব্রেকফাস্ট দেওয়া সবটাই রুটিন অনুযায়ী করেছি।
আগে যদিও সাতটা বা সাড়ে সাতটায় ঘুম থেকে উঠতাম। তবে আজকাল ছটার সময় অ্যালার্ম দেয়ার থাকে। কারণ সকাল থেকেই শশুর মশাইয়ের পর পর অনেকগুলো মেডিসিন খাওয়ার থাকে, যেগুলো সময় অনুযায়ী আমাকে দিতে হয়। তারপর ওনাকে ব্রেকফাস্ট সময় মতন দিয়ে, খাবার পরের মেডিসিন গুলো দিতে হয়।
"আমাদের পাশের বাড়ির গাছের ফুল" |
---|
এই কারণে একটু আগে ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে আমি নিচে এসে প্রথমে ওনাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। তারপর ওনাকে সমস্ত জিনিস এগিয়ে দিয়ে, তারপর আমি ওনার জন্য রুটি তৈরি করি, খাওয়ার আগের ওষুধগুলো যখন শেষ হয় তারপর ওনাকে ব্রেকফাস্ট দিয়ে, আমি ফুল তুলতে গেলাম।এরপর ফুল তুলে এসে, ওনাকে খাওয়ার পরের মেডিসিন গুলো দিয়ে, আমি রান্না ঘরে গিয়ে রান্না বসালাম।
যেহেতু আজকে অনেকদিন বাদে শুভ অফিসে গেল, তাই ওকে ওর সময় মত চা দিয়ে এলাম। পিকচার শরীরটাও দুদিন যাবৎ একটু খারাপ। ওকে যদিও বিস্কুট দিয়েছিলাম কিন্তু ও খায়নি। যাইহোক এরপর শুভ অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হলে ওকে ব্রেকফাস্ট দিলাম। ও ব্রেকফাস্ট করে অফিসে বেরিয়ে গেলে, আমি শ্বশুর মশাইকে নিমোলাইজার দিলাম। যদিও একটু লেট হয়ে গেল। তারপর আমি ব্রেকফাস্ট করে একটু কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসলাম, কারণ সেই মুহূর্তে শ্বশুরমশাইকে দেয়ার মতো আর কোন ওষুধ ছিল না।
এরপর কিছুক্ষণ কাজ করে আবার উঠে আমাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হলো। আসলে অ্যান্টিবায়োটিক গুলো যেহেতু স্যালাইন এর মাধ্যমে দিতে হচ্ছে, তাই অ্যান্টিবায়োটিক চলাকালীন ওনার পাশেই বসে থাকতে হয়। কারণ উনি হাত নাড়িয়ে দিলে অনেক সময় চ্যানেল নড়ে যাওয়ার ফলে মেডিসিন যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
"আমাদের আজকের লাঞ্চ" |
---|
যাইহোক এরপর ওনাকে গা হাত পা মুছে দিলাম এবং শাশুড়ি মা ওনাকে লাঞ্চ করিয়ে দিলেন। লাঞ্চের পরের ওষুধগুলো দিয়ে তবেই আমি স্নান করতে গেলাম। তারপর পুজো দিয়ে পিকলুকে লাঞ্চ করিয়ে দিলাম। দুপুরবেলা আবার শশুর মশাইকে নিমোলাইজার দিতে হয়, সেটা শেষ করে তারপর আমরা লাঞ্চ করতে বসলাম। আজকাল প্রতিদিন লাঞ্চ করতে অনেকটাই লেট হয়ে যায়। আজকের লাঞ্চের জন্য শাশুড়ি মা বাটা মাছ, পটল ভাজা ও ডাল রান্না করেছিলেন। আর শ্বশুর মশাইয়ের জন্য আলাদা করে খিচুড়ি।
লাঞ্চ করে একটু বিশ্রাম নিতে না নিতেই আবার শ্বশুর মশাই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার সময় হয়ে যায়। অ্যান্টিবায়োটিক চালিয়ে দিয়ে ওখানে চেয়ারে বসে একটু বিশ্রাম নিলাম। তারপর দেখেতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলে, সন্ধ্যা পুজো দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
আজকাল শশুর মশাইয়ের অসুস্থতার কারনে কেউ না কেউ বাড়িতে আসছে। আজকেও তার অন্যথা হলো না। শশুর মশাইকে দেখার জন্য ২-৩ জন আত্মীয় এলেন। বাড়িতে তাদের সাথে কথাবার্তা বলতে বলতে শশুর মশাইয়ের ডিনার করার টাইম হয়ে গেল। তাই আমি উঠে রুটি করতে চলে গেলাম।
"আমার শশুরমশাই" |
---|
রুটি করা শেষ করে খাওয়ার আগের ওষুধটা শ্বশুরমশাইকে দিয়ে দিলাম এবং কিছুক্ষণ বাদে সকলে চলে গেলে ওনাকে ডিনার করিয়ে দিলাম। কারণ ডিনার করার পরে ওনার অনেকগুলো ওষুধ থাকে। পাশাপাশি আবার নিমোলাইজারও দিতে হয়। এই কারণে খাবারটা আগে শেষ হলে পরের দিকে কিছুটা সময় পাওয়া যায় ওষুধগুলো দেওয়ার জন্য।
এইরকম ভাবেই ঘড়ির কাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজকের দিনটা কাটলো। শুধু আজকে বললে ভুল হবে, গত কয়েকদিন আসলে এই ভাবেই কাটছে। যতদিন পর্যন্ত ওনার অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত একটা চিন্তা রয়েছে, কারণ উনি বারবার এত নড়াচাড়া করেন যে ওনার হাতের চ্যানেল থেকে মাঝেমধ্যেই ব্লাড বেরিয়ে আসে।
তাই সেটা আমাদের সকলেরই চিন্তার বিষয়। এই কয়েকদিনের মধ্যেই দুবার হাতে চ্যানেল পাল্টাতে হয়েছে। কারণ মেডিসিন কিছুতেই যাচ্ছিল না, হয়তো ভিতরে শিরা কোথাও ব্লক হয়ে যাচ্ছিলো।
"পিকলু বাবুর শরীরটা একটু খারাপ।রাতে কিছুই খেলো না,এইভাবে ডাইনিং টেবিলের নিচে বসে রইল" |
---|
যাইহোক এরপর আমরা সকলে ডিনার শেষ করলাম। পিকলু আজ রাতে আর কিছুই খেলো না। যাইহোক,তারপর শশুরমশাইকে ওনার জায়গায় ঠিকঠাকভাবে শুইয়ে দিয়ে, তারপর আমি আর শুভ শুতে যাই। গত বেশ কয়েকদিন ধরে এটাই আমাদের প্রতিদিনকার রুটিন হয়ে গেছে। আবার আগামীকাল সকালবেলা থেকে এই একই রুটিন শুরু হবে। এভাবেই আমার দিনগুলি কাটছে। আর আগামী কত দিন এইভাবে কাটবে আমি সত্যিই জানিনা।
যাইহোক আপনারা সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
আসলে পরিবারের একজন যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তার সেবা যত্ন করতে গিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আপনি যেভাবে আপনার শ্বশুরের দেখাশোনা করছেন। আমি ঠিক সঠিক ভাবে বলতে পারছি না। তবে আমার জীবনের এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলছি। হয়তো বা কিছুদিন পরে আপনি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
বিষয়টা আমি এজন্যই বলছি,,, কারণ আমি যখন আমার শাশুড়ি সেবা যত্ন করেছিলাম। তখন প্রায় ১৫ দিন পরে আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। যাই হোক সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ভালো রাখুক। এভাবেই আপনার শশুরের সেবা যত্ন করার সুযোগ দিক। আপনার একটা দিনের কার্যাবলী এত ব্যস্ততার মাঝেও,,, আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি,,, সৃষ্টিকর্তা আপনার শ্বশুর এবং পিকলু বাবুকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিক। কারণ পিকলু বাবুর শরীরটা একটু খারাপ। সে রাতে কিছুই খায়নি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনি পরিবারের জন্য আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে একটি পরিবারে কিভাবে সামলিয়ে নিতে হয় সেই প্রচেষ্টায় করে যাচ্ছেন ৷ সাধারনত একটি পরিবারে অনেক গুলো কাজ থাকে সেই কাজ গুলো সঠিক সময়ের মধ্যে মেকাপ দিতে হয় ৷ যেমন টা আপনি করেছেন আপনার প্রতিটি কাজ রুটিন মত এবং সময়মত পালন করেছেন অনেক দায়িত্ববোধের সাথে ৷
যাই হোক দিদি আপনার আজকের লেখাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলে ৷ আপনার কাজ গুলো অনেক কঠিন হলেও আমার মনে হয় আপনার কাছে খুব সহজ এবং খুবই সহজ ভাবে মনে করেন ৷ তাছাড়াও পরিবারের সবার প্রতি খেয়াল রাখা ৷
ধন্যবাদ দিদি ভালো থাকবেন সুস্থ ৷
আপনি খুবই আন্তরিক ও নিয়মিত ভাবে আপনার শ্বশুর মহাশয়ের দেখা শোনা করছেন এবং রিতিমত একজন দক্ষ নার্সের ভূমিকা পালন করছেন। ঈশ্বরের কৃপায় উনি নিশ্চয়ই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর করে আপনার সারাদিনের কর্মকার্য তুলে ধরেছেন আসলে সত্যি কথা বলতে একটি বাড়ির বউয়ের অনেক বেশি দায়িত্ব থাকে আর যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সে দায়িত্বটা আরো বেশি বেড়ে যায় আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার শ্বশুর মশাইযে র দেখা শুনা করছেন ওষুধ খাওয়া দাওয়া সবকিছু সময় মতো দিচ্ছেন খুব সুন্দর ভাবে আপনি তার দেখাশোনা করছেন। খুব খারাপ লাগলো আপনার শ্বশুর মশাইর অসুস্থতা দেখে , আপনি যা কষ্ট করছেন আল্লাহ যেন আপনার কষ্টটা সার্থক করেন উনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক. আপনার জন্য দোয়া রইল এবং শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।