চিড়ের পোলাও রেসিপি
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটুক এই প্রার্থনা করে আজকের পোস্ট শুরু করছি।
আজ আর দিনযাপনের গল্প নয়, আজ আমি একটা রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আমাদের জীবনের প্রতিটি স্বপ্ন পূরণ করার সাধ্য আমাদের সব সময় থাকে না। তবে সাধ্যের মধ্যে থেকে নিজের ছোট ছোট ইচ্ছুক পূরণ করার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়।
ঠিক এই ভাবনাটা থেকেই গতকাল সন্ধ্যাবেলায় রান্নাঘরে গিয়েছিলাম নিজের ছোট্ট একটি ইচ্ছে পূরণ করার জন্য। জানি বললে হয়তো শাশুড়ি মা নিজেই বানিয়ে দিতেন, কিন্তু ওনাকে আবার আলাদা করে বলছে ইচ্ছা করলো না। যেহেতু খুবই অল্প সময়ের কাজ, তাই ভাবলাম নিজেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে করে নিই।
গতকালকে সকালে হঠাৎ ইচ্ছে করছিল চিড়ের পোলাও খেতে। কিন্তু তখন তৈরি করতে ইচ্ছে করছিল না। তাই সন্ধ্যার পর ভাবলাম করেই ফেলি। যদিও প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ ঘরে ছিল না, আরও কিছু সব্জি থাকলে পোলাওটা আরো বেশি সুস্বাদু হতো।
কিন্তু ঘরে যা উপকরণ ছিলো, সেগুলো দিয়েই আমি বানিয়েছিলাম। কিভাবে তৈরি করেছি সেই রেসিপিটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। প্রথমেই আপনাদের বলে দিই, আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছিলাম।
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | মোটা চিড়ে | ১ কাপ |
২. | আলু | ১ টা |
৩. | টমেটো | ১ টা মাঝারি সাইজের |
৪. | পেঁয়াজ | ১ টি মাঝারি সাইজের |
৫. | কাঁচালঙ্কা | ২ টি |
৬. | ডিম | ১ টি |
৭. | লবন | ১চা চামচ |
৮. | কাঁচা বাদাম | হাফ কাপ |
৯. | গোলমরিচ গুঁড়ো | ½ চা চামচ |
১০. | চিনি | ১ চা চামচ |
১১. | সাদা তেল | ৩ চা চামচ |
|
---|
রেসিপিটি করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন চিড়ে গুলো যেন মোটা হয়। কারণ দু ধরনের চিড়ে বাজারে বিক্রি হয়। পাতলা চিড়ে গুলো ধোয়ার সাথে সাথেই একেবারে নরম হয়ে যায়, সুতরাং সেটা দিয়ে পোলাও তৈরি করা সম্ভব হবে না।
|
---|
এরপর সবার প্রথমে চিড়েগুলোকে হালকা হাতে দু-তিনবার ধুয়ে নিয়ে, ঝুড়ির মধ্যে ঝড়ার জন্য রেখে দিতে হবে। যাতে অবশিষ্ট জল সুন্দরভাবে ঝরে যায়।
এবার সবজিগুলো কেটে নিতে হবে। যেহেতু আমার কাছে আর কোনো সবজি ছিল না, তাই আমি ব্যবহার করতে পারিনি। তবে আপনাদের বাড়িতে যদি গাজর, বিন, মটরশুটি থাকে তাহলে অবশ্যই রেসিপিটিতে ব্যবহার করবেন। সেক্ষেত্রে চাইলে আপনারা পেঁয়াজ ও ডিম ব্যবহার নাও করতে পারেন। সমস্ত প্রকার সবজি দিয়ে নিরামিষ ভাবেও তৈরি করা যায় চিড়ের পোলাও।
|
---|
যাইহোক আমি প্রথমে আলুটাকে খোসা ছাড়িয়ে, ছোটো ছোটো টুকরো করে কেটে ধুয়ে রাখলাম।
|
---|
অন্যদিকে টমেটো এবং পেঁয়াজটাকেও সুন্দর করে টুকরো করে কেটে নিলাম। লঙ্কা আমি মাঝখান দিয়ে কেটে ব্যবহার করেছিলাম, কারণ লঙ্কা কুচিয়ে দিলে সেক্ষেত্রে বেশি ঝাল লাগতো।
|
---|
|
---|
সমস্ত কিছু কেটে গুছিয়ে নেওয়ার পর আমি গ্যাস জ্বালিয়ে, কড়াই বসিয়ে দিলাম এবং তাতে সামান্য পরিমাণে সাদা তেল দিয়ে প্রথমে কাঁচা বাদাম গুলোকে কম আঁচে সুন্দর করে ভেজে নিলাম। বাদামগুলোর গায়ে তেল লেগেছিল এই কারণে আমি বাদামগুলোকে নামিয়ে, ধুয়ে রাখা চিড়ের উপরেই রেখেছিলাম।
|
---|
|
---|
এরপর আরও সামান্য তেল দিয়ে, তার মধ্যে আগে থেকে টুকরো করে কেটে ধুয়ে রাখা আলু গুলোকে দিয়ে দিলাম। এরপর সামান্য নুন দিলাম এবং ঢাকনা চাপা দিয়ে আলুগুলোকে ততক্ষণ পর্যন্ত ভেজে নিলাম, যতক্ষণ আলুগুলো সম্পূর্ণ সেদ্ধ না হয়।
|
---|
এরপর আগে থেকে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভালোভাবে ভাজার পর, লঙ্কা গুলো দিয়ে দিলাম।
|
---|
|
---|
সমস্ত সবজিগুলো ভাজা হয়ে গেলে, মাঝখানটা ফাঁকা করে ডিমটা ফাটিয়ে দিয়ে দিলাম এবং তারপর সামান্য লবণ ছড়িয়ে দিয়ে, সমস্ত উপকরণগুলো একসাথে খুব সুন্দর ভাবে মিশিয়ে নিলাম।
|
---|
এরপর আগে থেকে জল ঝরিয়ে রাখা চিড়ে এবং তার মধ্যে রাখা ভাজা বাদাম, সমস্ত কিছু কড়াইতে একসাথে ঢেলে দিয়ে, ভেজে রাখা সবজির সাথে সমস্ত গুলোকে খুব সুন্দর ভাবে মিশিয়ে নিলাম। এরপর সামান্য লবণ ছড়িয়ে দিলাম। আমি এই রেসিপিটা একটু মিষ্টি মিষ্টি খেতে পছন্দ করি, তাই আমি চিনি ব্যবহার করেছি। তবে যদি আপনারা পছন্দ না করেন সেক্ষেত্রে চিনি ব্যবহার করবেন না।
|
---|
|
---|
এভাবে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর, চিড়ের পোলাও তৈরি হয়ে যাবে। নামানোর আগে উপর থেকে সামান্য গোলমরিচের গুলো ছড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে। রেসিপিটা খুবই সামান্য উপকরণ দিয়ে, কম সময়ের মধ্যে তৈরি করা যায় এবং এটি খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে।
|
---|
তৈরি করার পর আমার শ্বশুর মশাইকে কিছুটা দিয়েছিলাম। উনি বেশ ভালোই খেয়েছেন। বাকি শাশুড়ি মা, বা শুভ কেউ খেতে চায়নি। তাই আমার পছন্দের খাবারটা আমি বসে বসে এনজয় করলাম। আর এটা দিয়েই আমার গতকালকের রাতের ডিনার কমপ্লিট করেছিলাম।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি, যেটা খুবই সাধারণ ভাবে ও কম সময়ে তৈরি করা যায়। যেমনটা আমি শুরুতেই বললাম, আপনারা ঘরে রাখা যে কোনো সবজি এতে ব্যবহার করতে পারেন, যেহেতু আমার ঘরে গাজর, বিন ছিল না তাই আমি ডিম এবং পেঁয়াজ ব্যবহার করেছি। তবে এভাবেও খেতে মন্দ লাগে না।
আপনারা কি কিভাবে এই চিড়ের পোলাও বানান, বা খেতে পছন্দ করেন, তা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।আপনাদের সকলের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
চিড়ের পোলাও খাওয়া তো দূরে থাক কখনো নাম শুনে নাই আজকে প্রথম আপনার আর্টিকেলের মধ্য দিয়ে আম জানতে পারলাম। যাইহোক এই পোলাও আপনার খুবই পছন্দ তাই মজা করেই খেয়েছেন।
দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক লভনীয় হয়েছে । আমরা শুধু এমন সারা জীবন দেখে যাব খেতে পারব না। যাইহোক চেষ্টা করা যাই আপনার রেসিপি অনুসরণ করে চিড়ের পোলাও বানানো।