"ছাদ বাগানের কিছু সুন্দর ফুল" |
Hello,
Everyone,
গতকালকের পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম আমাদের ছাদ বাগানে শাশুড়ি মা বেশ কিছু শীতকালীন ফুলের গাছ লাগিয়েছিল। সত্যি কথা বলতে গাছের যত্ন আমার থেকেও আমার শাশুড়ি মা বেশি নিয়ে থাকেন।
" কুঁড়ি থাকাকালীন সময়ে তোলা ছবি" |
"এখন কমলা রঙের গাঁদাফুল ফুটেছ" |
কখনো কখনো সকালের দিকের বেশিরভাগ সময় এই গাছগুলোর যত্ন নিতেই কাটিয়ে দেন। আমি মাঝে মধ্যে গাছগুলিতে জল দিই, এর থেকে বেশি আর কোনো কিছুই করার আমার দরকার পড়ে না। গাছে সার দেওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত জল দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব শাশুড়ি মা নিজেই নিয়ে থাকেন।
মাঝে যে কয়েকদিন হসপিটালে কাটিয়েছি সে কদিনে গাছগুলো এতো বড় হয়ে যাবে, গাছগুলোতে এতো ফুল ফুটবে এটা আমি ভাবিনি। ২৩ তারিখে হসপিটাল থেকে বাড়িতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিলো। তাই তখন আর আলাদা করে ছাদের দিকে খেয়াল করা হয়নি।
"কুঁড়ি থাকাকালীন সময়ে তোলা ছবি" |
"হলুদ রঙের গাঁদাফুল" |
পরদিন সকালে বেলায় ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে ছাদের দিকে তাকাতেই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিলো গাছগুলো দেখে। আমাদের বাড়ির দু সাইডেই ছাদ রয়েছে, তবে এক পাশের ছাদে সকালের দিকে ভালোভাবে রোদ্দুর পড়লেও, অন্য পাশের ছাদে একেবারেই রোদ্দুর পড়ে না।
যে ছাদে রোদ্দুর পরে সেখানে আগের থেকে কমবেশি গাছ লাগানো এবং নতুন যে গাছের চারা গুলো শাশুড়ি মা এনেছিলেন সেগুলো সব তিনি ছোট ছোট টবে বসিয়েছিলেন।
"শাশুড়ি মায়ের কৌশল" |
সেই টপগুলো একটা জায়গায় রাখার জন্য তিনি বেশ সুন্দর কৌশল বের করেছেন, যেটা দেখে আমিও বেশ অবাক হয়েছি। উপরের ছবিটা দেখে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি আমি কোন কৌশলের কথা বলছি।
এই ফুলগুলো মূলত শীতকালীন ফুল। গরমকালে এগুলোতে ফুল ফুটবে না, তাই শীতের কদিন এদের একটু আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয়। হসপিটালে যাওয়ার আগে আমি ছোটো ছোটো গাছগুলোর ছবি তুলেছিলাম। তবে তখন টব গুলোকে এতো সুন্দর করে সাজানো ছিলো না। তখন সবগুলো টবে গাছগুলো লাগিয়ে তাদের ছাদেই রেখেছিলেন শাশুড়ি মা। পরে আমরা বাড়িতে না থাকাকালীন এইসব করেই তিনি সময় কাটায়েছেন বলতে পারেন।
যাইহোক গাছগুলোতে কেমন ফুল ফুটবে তা না জেনেই তিনি গাছগুলো কিনে এনেছিলেন। তবে ফুলগুলো ফোঁটার পর প্রতিটি ফুলের সৌন্দর্য্য দেখে মনটা ভালো হয়ে গেলো। তাই ভাবলাম আমাদের ছাদ বাগানের নতুন এই সদস্যদের সাথে আপনাদের পরিচয় করাই এই পোস্টের মাধ্যমে।
সাদা রঙের ফুল আমার সবসময় পছন্দের। কুঁড়ি থাকাকালীন আমি এই ফুলটির ছবি তুলেছিলাম। বাড়ি ফিরে দেখি অনেক বড় ফুল ফুঁটেছে। কি অপূর্ব লাগছে গাছগুলো তাই না? প্রথম ফোঁটা ফুলটা শাশুড়ি মা রাধা গোবিন্দের চরণে দিয়েছিলেন।
এই ফুলগুলোর নাম জানি না। কিন্তু কি অপূর্ব রঙ দেখুন। পাঁপড়ি গুলো ছোটো ছোটো তবে সবগুলো আলাদা আলাদা। ফুলগুলো তুলতে গেলে সেটা ভালো বোঝা যায়। একসাথে টবে ফুটলে দেখতে দারুণ লাগে। বাড়িতে ফিরে আমি এই গাছে ফুল দেখেছি। তার আগে ফোটেনি।
আপনাদের কেমন লাগলো ফুলগুলো মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আমি শুধুমাত্র গাঁদা ফলের নাম জানি বাকিগুলোর নাম আমার অজানা। তবে আপনাদের কারোর জানা থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। আরও বেশ কিছু গাছে ফুল ফোঁটা বাকি। সেগুলো ফুটলে আপনাদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবো।
আপনার ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালোই লাগলো দিদি। আপনার ছাদ বাগানে নানা রকমের ফুলের গাছ রোপন করেছেন। যা সত্যিই ছাদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে, আপনার পোস্টটি পরে জানতে পারলাম। আপনার শাশুড়ি প্রতিনিয়ত ফুল গাছের পরিচর্যা করে। আপনার প্রিয় ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। এত সুন্দর একটি বিষয় বস্তু নিয়ে আমাদের সাথে আজকে শেয়ার করেছেন , এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ বেশিরভাগ সময় আমার শাশুড়ি মা গাছের যত্ন করেন। মাঝেমধ্যে তিনি না থাকলে শুধু জল দেওয়াটা আমার কাজ। আর ফুল ফুটলে ফটোগ্রাফি গুলো আমি সময় নিয়ে ঠিক করে নিই। সাদা রঙ আমার খুব ভালো লাগে, তাই সাদা রঙের যেকোনো ফুল আমার খুব প্রিয়। তবে একথাও আপনি ঠিক বলেছেন, এই ফুলটি সত্যি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।