সুচিত্রা ভট্টাচার্যের- "অন্য বসন্ত"

in Incredible India17 days ago
IMG_20241201_225859.jpg
"সিনেমার কিছু দৃশ্য"

Hello,

Everyone,

একটা সময় কমার্শিয়াল ছবির প্রতি ভীষণ আগ্রহ থাকলেও আজকাল একটুও ভালো লাগেনা। কিছু ওয়েব সিরিজ ভালো লাগে, তবে সব থেকে বেশি মন কাড়ে আর্ট ফিল্ম। তবে সংসার হোক বা কমিউনিটি কাজ, ব্যস্ততায় আজকাল সিনেমা দেখার সুযোগ হয় না খুব একটা।

সিনেমার কাহিনী, অভিনয় আমাকে যতটা আকৃষ্ট করে, ঠিক ততখানি আকৃষ্ট করে সিনেমার গান। বেশিরভাগ আর্ট ফিল্মে পুরনো দিনের রবীন্দ্র সংগীত অথবা হালকা মিউজিকের উপরে কিছু গান থাকে, যেগুলো ব্যক্তিগতভাবে আমি ভীষণ পছন্দ করি।

আজ এরকমই একটি ভালোলাগার সিনেমা নিয়ে নিজের কিছু মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে খুব ইচ্ছে হলো। একটু ভিন্ন ধরনের লেখা, ঠিক জানিনা উপস্থাপন কতটা আপনাদের ভালো লাগবে। তবে নতুন কিছু লিখতে চলেছি, তাই আশাকরি সকলে একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়বেন।

Screenshot_2024-12-01-21-17-08-71_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329_102724.jpg
"সুচিত্রা ভট্টাচার্যের - অন্য বসন্ত"

আজ আজ যে সিনেমাটি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলব সেটি সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাসের অবলম্বনে অদিতি রায়ের ছবি অন্য বসন্ত। ছবিটির মুখ্য ভূমিকায় রয়েছে অমৃতা চট্টোপাধ্যায় ও কৌশিক রায়।

এরা মূলত ছোটপর্দায় বেশি পরিচিতি লাভ করেছে। এছাড়াও অমৃতা চট্টোপাধ্যায়ের বাবার ভুমিকায় অভিনয় করেছে আমার খুব পছন্দের একজন অভিনেতা ও পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি এবং মায়ের ভূমিকায় রয়েছে পল্লবী চ্যাটার্জী।

"সিনেমার কাহিনী"

Screenshot_2024-12-01-20-47-14-45_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329_102731.jpg
"অমৃতা চট্টোপাধ্যায় ওরফে তন্নিষ্ঠা"
Screenshot_2024-12-01-20-47-42-02_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329_102735.jpg
"কৌশিক রায় ওরফে অভিমন্যু"

গল্পটি শুরু হয় তন্নিষ্ঠার(অমৃতা চট্টোপাধ্যায়) বান্ধবী এবং অভিমন্যুর(কৌশিক রায়) বন্ধুর বিয়ের দিন থেকে। ওদের প্রথম দেখা হয় বিয়ে বাড়িতে। শুরুর দিন থেকেই দুজনের মতের মিল চোখে পড়ে। তন্নিষ্ঠার বিয়ে তার ছোটবেলার বন্ধুদের সৌনকের সাথে ঠিক হয়ে গিয়েছিলো। তবে কাল অশৌচের কারণে বিয়েটা পিছিয়েছে। এই কাল অশৌচের বিষয়টি নিয়ে কথা প্রথম কথা শুরু হয় তন্নিষ্ঠা ও অভিমন্যুর।

তন্নিষ্ঠার বাবা একজন শিল্পী, যিনি নাটক করতে পছন্দ করেন। ওর মা একজন শিক্ষিকা, যার উপরে সংসারের বেশিরভাগ দায়িত্ব। কারণ শিল্পী মানুষগুলো বড্ড বেশি বেখেয়ালি হয়। তবে ভালোবেসে দুজন দুজনকে বিয়ে করেছিলো।

সংসারে চাপে সেই ভালোবাসা কোথাও একটা হারিয়ে গিয়েছে। তাই দুজনের মধ্যে মান-অভিমানের খেলা চলতে থাকে, যার নীরব সাক্ষী থাকে তন্নিষ্ঠা। ও জানে ওর বাবা-মায়ের মধ্যে এক অদ্ভুত ভালোবাসা লুকিয়ে আছে। ও যেমন মায়ের কষ্টের মূল্যায়ন করে, ঠিক তেমনি বাবাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করে। জীবনে চলার পথে বাবার মূল্যবোধগুলো তন্নিষ্ঠাকে খুব আকৃষ্ট করে। ও কিছুটা ওর বাবার মতই।

তবে ওর মা একটা নিশ্চিত জীবন যাপনে বিশ্বাসী। এই কারণেই তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান সৌনকের মতন একটি ছেলের সাথে। যাতে তার মেয়ে আজীবন নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করতে পারে। অনিশ্চিত জীবন যাপনের কষ্ট বা খারাপ লাগা সে তার নিজের বিবাহিত জীবনে সহ্য করলেও, মেয়ের জীবনটাকে সেই জায়গায় আনতে চান না কিছুতেই।

Screenshot_2024-12-01-22-37-28-632_com.google.android.youtube.jpg
"শৌনক"

তন্নিষ্ঠা সৌনককে যে ভীষণ ভালোবাসে এমনটা নয়, কিন্তু ও এটা বোঝে সৌনককে বিয়ে করলে ওর মা কিছুটা মানসিক শান্তি পাবে। ওর বাবা সৌনককে খুব বেশি পছন্দ না করলেও কখনো মেয়ের পছন্দকে জাজ করেননি। ওনার জন্য মেয়ের ভালো থাকাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে তন্নিষ্ঠা সৌনককে বেছে নিয়েছে বলে, ওর বাবা সৌনককে পছন্দ করেছেন।

কাহিনী এগোলে দেখা যায়, ঘটনা ক্রমে তন্নিষ্ঠার সাথে অভিমন্যুর বারংবার দেখা হয়, আর দুজনের মধ্যেই এক অদৃশ্য ভালোলাগা তৈরি হয়। তবে তা অভিমন্যুর দিক থেকে অনেকটাই বেশি।

Screenshot_2024-12-01-22-39-47-471_com.google.android.youtube.jpg
" অভিমন্যুর পারফিউম কারখানায় দুজনে"

সৌনক অনেক উচ্চপদে চাকরি করলেও, অভিমন্যুর একটা ছোট্ট পারফিউম তৈরির ব্যবসা আছে। ও এমন একটা পারফিউম তৈরি করতে চায় যেটা কেউ কখনো তৈরি করেনি। যার মধ্যে অনেক জানা-অজানা গাছের ফুল, পাতা, গন্ধ থাকবে। প্রথম যেদিন তন্নিষ্ঠার সাথে ওর আলাপ হয়েছিল সেদিন তন্নিষ্ঠা যে পারফিউমটা মেখেছিল সেটা সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছিলো। তনিষ্ঠা জানিয়েছিল পারফিউমটা ওর মায়ের ওয়ারড্রব থেকে ও ব্যবহার করেছে। তাই নাম বলতে পারেনি।

সৌনকের সাথে পছন্দের বেশ কিছু ফারাক আছে তন্নিষ্ঠার। জীবনকে যেভাবে তন্নিষ্ঠা দেখতে পছন্দ করে সৌনক দেখে তার উল্টো ভাবে। অথচ অভিমন্যুর জীবন দর্শন তন্নিষ্ঠাকে আকৃষ্ট করে কারণ, অভিমন্যের মধ্যে তন্নিষ্ঠা নিজের বাবার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। যে জীবন সম্পর্কে উদাসীন হলেও একটা অন্য ধরনের ব্যক্তিত্ব আছে দুজনেরই। খুব সাধারণ জীবন যাপনে বিশ্বাসী, খুব কাছের মানুষদেরকে ভালো রাখা যাদের মূল লক্ষ্য। কথা প্রসঙ্গে তন্নিষ্ঠা জানতে পারে অভিমন্যুর দাদা উপমন্যুর কথা।

যে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে একটা এসাইলামে ভর্তি। পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিলো, আর সেই পড়ার চাপে কোথাও মানুষের বিকৃতি হয়েছে তার। কাছের মানুষদের চিনতে পারে না। তার কোনো অভিব্যক্তি হয় না খুব কাছের মানুষদের দেখলেও। হঠাৎ করেই একদিন তন্নিষ্ঠা অভিমন্যুর সাথে ওর দাদাকে দেখতে মেন্টাল এসাইলামে যায়। আর অদ্ভুত ভাবে তন্নিষ্ঠাকে দেখে উপমন্যু হেসে ওঠে। আর এই ঘটনার পর থেকেই অভিমন্যুর তন্নিষ্ঠার প্রতি এক অন্য রকমের অনুভূতি জন্মে। বোধহয় আগেই জন্মেছিল কিন্তু সেদিন ও প্রথম অনুভব করতে পারে।

Screenshot_2024-12-01-22-37-59-575_com.google.android.youtube.jpg
"রাস্তায় হঠাৎ দেখা"

এরকম ভাবেই দুজনের দেখা হওয়া, কথা হওয়া, চলতে থাকে। একটা সময় তন্নিষ্ঠার পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোলে প্রথম খবরটা সৌনককে দিয়েছিলো, তবে সৌনক যে সব সময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, তন্নিষ্ঠার সাফল্যের খবর তাকে খুব বেশি আনন্দ দেয়নি। একই খবর যখন অভিমন্যু পেলো, তখন যেন তন্নিষ্ঠার মতন সেও খুশি হয়ে উঠলো। আর অভিমন্যুর এই ছোট ছোট ব্যবহার গুলোই তন্নিষ্ঠাকে ওর কাছাকাছি নিয়ে যেতে লাগলো।

একটা সময় সৌনকের বাইরে বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে বিয়ের ডেটটা সকলে মিলে এগিয়ে দিলো। কেউ তন্নিষ্ঠার কাছ থেকে ওর মতামত জানারও প্রয়োজন মনে করল না। যে বিষয়টি ওকে অনেক বেশি ভাবালো। বন্ধুর মারফতে এই খবর অভিমন্যুর কাছেও পৌঁছালো। এক অন্য অনুভূতিতে ভরে উঠলে অভিমন্যুর মন।

জীবনে কি চাইছে, কি পেতে পারে, আর কি পাওয়া সম্ভব নয়, সবকিছু ভেবেযেন এলোমেলো হয়ে গেল। ওই একটা খবরে নিজের পারফিউম তৈরির কারখানায় গিয়ে, সব থেকে প্রিয় পারফিউম তৈরির জন্য যে সরঞ্জাম রেখেছিল সবটাই বাইরে ছুড়ে ফেলে দিলো। একটা চাপা অভিমান কাজ করছিল ওর মনের মধ্যে।

Screenshot_2024-12-01-22-41-45-701_com.google.android.youtube.jpg
"বাবা মেয়ের কথোপকথন"

অন্যদিকে তন্নিষ্ঠাকে মন মরা দেখে তন্নিষ্ঠার বাবা ওকে প্রশ্ন করে। তন্নিষ্ঠা নির্দ্বিধায় জানাই ওর বাবা মাকে ছেড়ে সৌনকের সাথে দিল্লিতে গিয়ে থাকতে ওর ইচ্ছে করছে না। এমনকি বিয়েটা করতেও ওর মন সায় দিচ্ছে না। ওর বাবা সমাজ আত্মীয়-স্বজন সমস্ত লোকের কথা উপেক্ষা করে মেয়েকে বলেছিলো, ইচ্ছে না করলে কিছুই করতে হবে না।

Screenshot_2024-12-01-22-42-49-953_com.google.android.youtube.jpg
"তন্নিষ্ঠার বাবা মা- "

মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়াতে যতটা কষ্ট একজন মায়ের হয় ঠিক ততখানি হয় বাবারও। এটা বুঝেই হয়তো সেদিন তন্নিষ্ঠার মা এসে ওর বাবার সাথে কথা বলেছিলো। দুজন অনেকদিন বাদে কথা বলেছিল এবং সেদিন তন্নিষ্ঠার মা অদ্ভুত ভাবে তন্নিষ্ঠার বাবাকে আবার পুনরায় নাটকে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। বেশ কিছুটা অবাক হয় তন্নিষ্ঠার বাবা। দুজনের মধ্যে কথা না হলেও আত্মিকতার মিল, ভালোবাসা ওই দৃশ্যের মধ্যে স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে পরিচালক।

সিনেমার একেবারে শেষ দৃশ্য দেখায় তন্নিষ্ঠা সৌনককে জানায় ও বিয়েটা করতে পারবে না। এরপর ও অপেক্ষা করছে অভিমন্যুর পারফিউম কারখানায়। হঠাৎ করে সেখানে প্রবেশ করে তন্নিষ্ঠাকে দেখে বেশ কিছুটা অবাক হয়ে অভিমন্যু। অভিমন্যু বিশ্বাস করে ওকে বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে এসেছে তন্নিষ্ঠা, তাই কিছুটা ঠেশ মেরেই সে তন্নিষ্ঠার সাথে কথা বলে। তন্নিষ্ঠা বিষয়টা বুঝতে পারে না, তবে কথা প্রসঙ্গে অভিমন্যু জানিয়ে দেয় যে তন্নিষ্ঠার বিয়ের খবরটা আগেই পেয়ে গেছে।

Screenshot_2024-12-01-21-46-39-00_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329_102743.jpg
"রাস্তায় একত্রে দুজনের পথচলা"
Screenshot_2024-12-01-21-47-23-77_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329_102750.jpg
"কথোপকথন"

হঠাৎ করেই কারেন্ট চলে যায়। অন্ধকার ঘর ছেড়ে তারা রাস্তায় আসে। দূর থেকে খানিকটা আলো দেখা যায়, সেই রাস্তা ধরে চলতে থাকে দুজনে। আর চলে দুজনের মধ্যে কথোপকথন। তন্নিষ্ঠা জানতে চায় অভিমন্যুর সেই প্রিয় পারফিউমটির কথা, যেটা সে তৈরি করছে। অভিমন্যু জানায় সে সবটাই ফেলে দিয়েছে।

Screenshot_2024-12-01-21-47-53-12_f9ee0578fe1cc94de7482bd41accb329_102753.jpg
"শেষ দৃশ্য "

কথাটা শুনে অবাক হয় তন্নিষ্ঠা। কারণ জানতে চাইলে অভিমন্যু জানাই ওর দ্বারা কিছু হবে না। তন্নিষ্ঠা প্রতি উত্তরে জানা হবে কি করে, অ্যাম্বিশন নেই তো। তবে চেষ্টা করলে সব সম্ভব হয়। এইভাবে সিনেমার কাহিনী শেষ হয় আর পথ চলা শুরু হয় তন্নিষ্ঠা ও অভিমন্যুর।

"নিজস্ব অনুভূতি"

সিনেমার চরিত্র অভিমন্যু যোগ্যতার বাইরে গিয়ে কখনোই কিছু চাইতে অভ্যস্ত নয়। তবে ভালোবাসা যোগ্যতা মেপে হয় না, একথা বোধহয় তন্নিষ্ঠা বুঝেছিল। আর বুঝেছিল বলেই সৌনকের সঙ্গে একটা নিশ্চিত জীবনকে উপেক্ষা করে ছুটে আসতে পেরেছিল অভিমন্যুর কাছে। যেখানে একটা অনিশ্চিত জীবনের পাশাপাশি ছিলো, এক অদৃশ্য ভালবাসার টান। দুজন দুজনকে ভালোবাসে কথাটা কখনো বলতেই পারেনি, তবে ভালোবাসার কথা সব সময় যে মুখ ফুটে বলতে হয় না, তা এই সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যে উপলব্ধি করেছি আমি।

সত্যিই জানিনা বাস্তবে সব অভিমন্যু ও তন্নিষ্ঠার এমন মিল হয় কি না। তবে ভাবতে ভালো লাগে প্রত্যেকের জীবনে এমন একজন মানুষ থাকবে যে তাকে বিনা শর্তে ভালবাসবে। ভালো থাকার জন্য জীবনে উল্টো দিকের মানুষটারও আপনার প্রতি অনুভূতি থাকা প্রয়োজন। তবে এমনটা বোধহয় শুধু সিনেমাতেই সম্ভব। বাস্তবে আদেও সব তন্নিষ্ঠার সাথে তাদের অভিমন্যুর এমন মিল হয় না। বরং সমাজ, পরিজনের চাপে সৌনককের সাথেই চলতে হয় আজীবন।

সিনেমাটার কাহিনী আমার যতখানি ভালো লেগেছে, ততখানি ভালো লেগেছে সিনেমার গানগুলি। আমার খুব বেশি মন খারাপে এই গানগুলো শুনতে খুব ভালো লাগে। সব থেকে প্রিয় দুটি গান এই সিনেমার টাইটেল ট্রাক ও মহীনের ঘোড়াগুলি বাংলা গানের অ্যালবাম থেকে নেওয়া একটি গান। গানের প্রথম লাইন গুলো হলো,-

তাকে যত তারাই দূরেদূরে,
তবু সে আসে মেঘলা চোখে ঘুরে ফিরে,
থাকি আমি ভয়ে দূরে দূরে,
যদি সে গেয়ে ওঠে অন্য কোনো সুরে

"স্ক্রিনশটগুলো ও লিঙ্কগুলো ইউটিউব থেকে নেওয়া।"

চাইলে আপনারাও সিনেমাটা দেখতে পারেন এবং আপনাদের কেমন লাগলো যদি মন্তব্যের মাধ্যমে জানান খুব ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন।

Sort:  
Loading...
Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.27
JST 0.041
BTC 104060.88
ETH 3871.70
SBD 3.28