Better Life With Steem || The Diary game || 25 January 2025||
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। তবে আমি আজ তেমন ভালো নেই। গত পোস্টে আপনাদের বলেছিলাম যে আমার করবি আমিন ভাবির শ্বশুর মারা গেছেন। সেই দুঃসংবাদটা শোনার পর থেকে মনটা খুব খারাপ। জীবনের এই চরম সত্যগুলো মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। আজকের দিনটাও সেই বিষণ্নতার সাথেই শুরু হলো। সারারাত ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি। বারবার নানা চিন্তা মাথায় আসছিল। রাত পেরিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠেও মনটা ভার হয়ে ছিল।
তবুও তো সংসারের কাজ থেমে থাকে না। সকালে কিছুক্ষণ বেলকনিতে গেলাম। আমাদের ছোট্ট বেলকনিটা আমার প্রিয় একটা জায়গা। সেখানে রাখা বেগুন গাছটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। অনেক দিন ধরে গাছটার যত্ন নেওয়া হয়নি। আজ সেই গাছটার পাতা-ডাল ছেঁটে পরিষ্কার করলাম। যত্ন করতে করতে গাছটার দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, এই ছোট্ট গাছটা কত শান্ত, অথচ আমাদের জীবন কত অশান্ত। মনটা একটু শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু সেই বিষণ্নতা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না।
এরপর আমার মেয়ের প্রতিদিনের কাপড় কাথা ধুয়ে বেলকনিতে চলে গেলাম রোদে শুকাতে দেওয়ার জন্য। জামাগুলো রোদে শুকাতে দেওয়ার সময় মেয়ের ছোট ছোট দুষ্টুমি শুরু করছিল। আমার মেয়ে যেন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। ওর সাথে কাটানো প্রতিটা মহূর্ত আমার একধরনের শান্তি এনে দেয়।
বেলকনি থেকে ফিরে এসে সংসারের অন্যান্য কাজে মন দিলাম। ঘরের মেঝে ঝাড়ু দিলাম, তারপর ঘর মুছলাম। যদিও কাজে মন ছিল না, তবুও সবকিছু ঠিকঠাক রাখতে কাজ তো করতেই হয়। কাজ করতে করতে ভাবলাম, জীবন আসলে কাজ আর দুঃখ-কষ্টের মিশ্রণ।করবি আমিন ভাবিকে অনেকবার কল দিলাম কিন্তু কিছুতেই তার সাথে যোগাযোগ করতে পারলাম না। মনটা ভীষণ খারাপ লাগছিল।
দুপুরের দিকে আমার মেয়ে খেলতে চাইল। আমি ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ খেলা করলাম। ওর খিলখিল হাসি আমার মনটা কিছুটা ভালো করে দিল। মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর পর দুপুরের খাবার তৈরি করতে গেলাম। রান্নাঘরে গিয়েও মনটা ঠিক করতে পারছিলাম না। রান্না করলাম স্বামী আর নিজের জন্য। রান্না করার সময় বারবার ভাবির শ্বশুরের কথা মনে পড়ছিল।
বিকেলের দিকে আবার বেলকনিতে গেলাম। মেয়েকে নিয়ে বেলকনির গাছগুলোর সামনে দাঁড়ালাম। ওর সঙ্গে গল্প করছিলাম। মেয়ের ছোট ছোট কথা আর হাসি যেন আমার ভেতরের বিষণ্নতাকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দিল।বেশ কিছুক্ষণ বেলকনি থেকে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
সন্ধ্যায় সংসারের অন্যান্য ছোটখাটো কাজ শেষ করলাম। মেয়েকে খাওয়ানোর পর ঘুম পাড়ালাম। এরপর নিজেও বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিন্তু মনে সেই অস্থিরতা রয়ে গেল। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কতটা অনিশ্চিত, তা ভেবে আরও বেশি ভাবনায় ডুবে গেলাম। আজকের দিনটা খুব বিষণ্নতার মধ্য দিয়ে কাটালেও আমি বুঝতে পারলাম, জীবনে এমন অনেক কঠিন মুহূর্ত আসে যা মেনে নিতে হয়। তবে আগামী দিনগুলো যেন শান্তি আর আনন্দ নিয়ে আসে, সেই প্রার্থনাই করছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকে সারাদিনটা আপনার মনমরা কেটেছে, আসলে এরকম একটা দুঃসংবাদ শোনার পর যে কারণেই কয়েকটা দিন খারাপ যায়। আপনার ভাবির শশুর মারা গেল এরকম দূর সংবাদ পেয়ে রাতে ঠিকভাবে আপনার ঘুম হয়নি এবং পরের দিনও খুব বেশি একটা ভালো সময় কাটে নিয়ে আপনার।
সত্যি বলতে মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না এই কথাটা গ্রহণ করতে খুব কষ্ট হয় যখন এই চিরন্তন সত্য কোন আপন মানুষের সাথে হয়, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার উপর কারো কোন হস্তক্ষেপ চলে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি তিনি যেন বেহেশতে নসিব হয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
করবী আপুর শশুরের আত্মার শান্তি কামনা করছি । সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তাকে যেন স্বর্গের সুখ দেন ।মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগে না।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন মন ভালো না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা।
আমাদের জীবনটাই এমন আমরা আমাদের বাচ্চাদের সময় দেয়ার পাশাপাশি সংসারের কাজগুলো করতে করতে সময়টা কত দ্রুত চলে যায় সেটা আমরা বুঝতেও পারি না ছোট বাচ্চাদের সাথে আপনি যখন খেলা করবেন তখন সে খিলখিল করে হাসতে অনেক বেশি পছন্দ করে আপনি আমাদের জীবনের অনিশ্চিত ভাবনাগুলো নিয়ে বসলেন আসলে আমাদের জীবনটা কখন শেষ হয়ে যাবে সেটা আমরা জানি না তবে যতটুকু সময় আছে সৎ ভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করুন এবং পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করুন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
করবি আপুর সাথে গতকালকে কথা বললাম,, আসলে মৃত্যু কখন কার হবে সেটা আমরা কেউ জানিনা।।
যাই হোক একটি মেয়ের মন খারাপ থাক বা অসুস্থ কাজ তাকে করতেই হবে যদি সেই সংসারটা একার হয় তাহলে তো কথাই নেই।
আপনার বেলকনির কাজ গুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে আসলে টপের সাহায্যে যে কোন জায়গায় সবজি লাগানো সম্ভব।।