অপেক্ষার একদিন
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের গল্পটি আমার জীবনের একটি ছোট্ট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে।গত পোস্টে আপনাদের জানাই ছিলাম যে আমি ভীষণ অসুস্থ। ডাক্তারের কাছে গেছিলাম ডাক্তার ঔসুধ আর কিছু টেস্ট দিয়েছিল।আমি গতকাল টেস্টগুলো করছি আজ রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল।আমার মন ভীষণ উদ্বিগ্ন ছিল। রিপোর্টগুলি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।তবে আজকের ঘটনা একটি নতুন ধাক্কা নিয়ে এসেছিল,যা আমার দিনের সূচনা করেছিল এক ভিন্ন রকম ভাবে।
আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল একটু অন্যরকম ভাবে। আজ যেহেতু আমার রিপোর্টগুলো দেওয়ার কথা তাই সকাল সকাল সব কাজ সেরে মেয়েকে নিয়ে চলে গেলাম হাসপাতালে।মনে মনে আশা ছিল সবকিছু ঠিকঠাক হবে এবং একধাপ এগিয়ে যাব। কিন্তু যখন আমি হাসপাতাল পৌঁছালাম তখন জানা গেল যে রিপোর্টগুলো তৈরি হয়নি। হাসপাতালের এক স্টাফ জানালেন আপনি আগামীকাল আসেন।এটা শুনে মনে এক তীব্র হতাশা চলে আসলো। রিপোর্ট না পাওয়ার খবরটা আমাকে যেন আরো অসুস্থ করে তুলেছিল। বুকের ভেতর কেমন অজানা শঙ্কা অনুভব হচ্ছিল।মনের মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছিল কি হবে?
রিপোর্টে কি পাওয়া যাবে? এসব চিন্তা মাথায় ঘুরছিল কিন্তু কিছুই করার ছিল না। কি আর করার হাসপাতাল থেকে ফিরে বাসার দিকে রওনা হলাম।আমার মেয়ে মীরা আমাকে নিয়ে মাঝে মাঝে নাচতে নাচতে চলছিল কিন্তু বাসায় আসতে চাচ্ছিল না। বারবার বাসার নিচে গিয়ে ফিরে আসছিল। আমার পুরো মনটা তখন রিপোর্টের চিন্তায় ডুবে ছিল। আবার এক মুহূর্তেই সব চিন্তা দূর করে দিয়ে মিরাকে নিয়ে মনোযোগী হলাম। তাই আবারও বেশ কিছুক্ষণ বাসার নিচেই থাকলাম। আমি জানি বাচ্চারা খেলা করতে ভীষণ পছন্দ করে, আর সেটা যদি হয় বাসার বাইরে তাহলে তো আর কথাই নেই। মেয়েটা অনেকক্ষণ বাসার নিচে খেলাধুলা করলো এবং নাচানাচি করলো।
অবশেষে একরকম হাত ধরে টেনেই বাসায় নিয়ে চলে আসলাম। বাসায় ফিরে এসে আমি কিছুটা সময় নিয়েছিলাম। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে ভাবছিলাম এটাই তো জীবন। আমরা যা চাই তা সব সময় আমাদের হাতে আসে না। আমার ভেতর এক ধরনের শূন্যতা ছিল তবে আমি বুঝতে পারলাম যে আমাকে শান্ত থাকতে হবে। আমি মিরাকে নিয়ে খেলা করতে শুরু করলাম এবং সব চিন্তা মাথা থেকে বের করে দিলাম। আজকের দিনটা আমার জন্য অদ্ভুত ছিল। একদিকে রিপোর্ট না পাওয়ার হতাশা অন্যদিকে মীরার খেলার মাঝে কিছুটা শান্তি।
কিন্তু আমি জানি যে আগামীকাল নতুন একদিন আসবে। রিপোর্ট আসবে এবং আমি বিশ্বাস করি সবকিছু ঠিকঠাক হবে। সব সময় চিন্তা নিয়ে থাকলে তো আর জীবন চলবে না সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে এবং নতুন দিনের আশায় এগিয়ে যেতে হবে।তাই আমি সামনের দিনগুলোকে আশাবাদী হয়ে আগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটাই ছিল আমার আজকের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা। আজ তাহলে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সময় কিছু জটিলতায় রিপোর্ট দিতে দেরি করে।।এজন্য বেশি চিন্তার কারণ নেই। অবশ্যই আপনে আগামি কালকে রিপোর্ট পেয়ে যাবেন, আর আশা করি সব কিছু ভালো থাকবে। নিজের মেয়েকে নিয়ে আনন্দে কিছুটা সময় কাটান৷ তাহলে দেখবেন মনটা অনেক হালকা লাগবে।
হ্যাঁ ভাইয়া কি আর করার অনেক চিন্তা হচ্ছে তবু সব চিন্তা বাদ দিয়ে সবকিছু সামলে নিয়ে চলতেছি। আশা করছি সব ঠিকঠাক থাকবে আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্টে যে অনুভূতি উঠে এসেছে, তা সত্যিই গভীর। বিশেষত, যখন আপনি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন যে অস্থিরতা ও শঙ্কা অনুভব করছিলেন, তা অনেকেই বুঝতে পারে। কিন্তু মিরার খেলার মাঝে যে শান্তি পেয়ে উঠলেন, তা সত্যিই মনকে প্রশান্তি দেয়। জীবন এমনই—অপেক্ষা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে আমাদের সামনে নতুন এক দিন আসতে থাকে। আপনার সাহসিকতা এবং ইতিবাচক মনোভাব আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটা বিষয় বুঝতে নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শরীরের মধ্যে কোন লোক বাসা বাঁধলে এমনি অনেক বেশি দুশ্চিন্তা হয় কি না জানি হয়েছে।। আর সেটা কনফার্ম হওয়ার জন্যই আমরা হসপিটালে যাই এবং টেস্ট করে থাকি কিছু কিছু টেস্ট আসতে বেশ দেরি করে।।
আপনিও অপেক্ষা করতেছেন কখন আপনার টেস্ট আসবে আর টেস্ট দেখে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার শরীরের কি হয়েছে।। এর মাঝেও আপনার নিষ্পাপ মেয়ে আপনার চিন্তা কিছুটা দূর করেছে সেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।