শীতের শুরুতে বাচ্চার জন্য কেনাকাটা
আসসালামু আলাইকুম
- প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।
বরাবরের মতো আজকেও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সম্পূর্ণ নতুন একটি গল্প নিয়ে। দেরি না করে শুরু করা যাক।শীত চলে এসেছে তাই ভাবলাম আজকে বাজার থেকে মেয়ের জন্য শীতের কাপড়চোপড় কিনেই ফেলি।
আজ মঙ্গলবার, কিছু দূর এগিয়ে প্রতি মঙ্গলবার একটা মেলা বসে। তাই ভাবলাম এই মঙ্গলী মেলা থেকে মেয়ের জন্য এই শীতের কাপড়টা কিনেই ফেলি। প্রতিদিনের মতো হাজবেন্ড অফিস থেকে আসলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাজবেন্ড কে অনেক কষ্টে রাজি করালাম।
রেডি হতে হতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আমরা তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে মঙ্গলি মেলার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় অন্ধকার নেমে এসেছে।
যেহেতু আমার মেইন উদ্দেশ্যে ছিল মেয়ের জন্য পায়জামা ও গেঞ্জি কেনার তাই প্রথমেই চলে গেলাম পায়জামা ও গেঞ্জির দোকানে। কিছুক্ষণ এ দোকান সে দোকান ঘুরে ফিরে মেয়ের জন্য শীতের কয়েকটা গেঞ্জি পছন্দ হলো।
কিন্তু দ্রব্যমূল্যে উর্ধ্বগতির কারণে প্রতি বছরের তুলনায় এ বছরের কাপড়ের মূল্য বাড়িয়ে দ্বিগুণ। কিন্তু দাম বাড়লে কি হবে প্রয়োজনীয় জিনিস তো কিনতেই হবে।
তাই আর কিছু দূর এগিয়ে গেলাম। এগিয়ে গিয়ে মেয়ের জন্য কয়েকটা পায়জামা পছন্দ হলো। সেখানে থেকে দাম মিটিয়ে পায়জামা গুলো নিয়ে নিলাম।আর এক দোকান থেকে সাধ্যমত মেয়ের জন্য কয়েকটা গেঞ্জি নিলাম। আমার বেশ ভালো লাগছিল চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। নানান রকম জিনিসপত্র। কাপড় থেকে শুরু করে এমন কোন জিনিস নাই যে,, সেখানে নেই। মেয়ের জন্য চুলের ব্যান্ড ও আমার জন্য কিছু কসমেটিকস কিনলাম।
আমার মেয়েটা বেশ খুশি ছিল। ঘুরতে কার না ভালো লাগে বলুন আমার মনে হয় প্রতিটা মেয়েরই খুব বেশি ঘুরতে ভালো লাগে। মেয়ের কাপড় কেনা শেষ করে ভাবলাম নিজের জন্য কিছু নেই,,,কিন্তু পছন্দ হলো না অন্য দোকানে চলে গেলাম।
অন্য দোকানে গিয়ে নিজের জন্য একটা ওড়না নিতে চাইলাম কিন্তু তখনই মনে হলো আমার মা,শাশুড়ি ও দুইননদের জন্য একটা একটা করে ওড়না নেই। অনেক খোঁজাখুঁজি পর পছন্দমত তাদের জন্য ও নিজের জন্য ওড়না নিলাম। এরপর অনেক কয়টা দোকান ঘোরাঘুরি করলাম একটা ব্যাগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু সমস্যাটা হল পছন্দ হলেও দামে মিলছিল না। তাই কি আর করার অন্য একদিন নেব বলে সেই দোকান থেকে থেকে চলে আসলাম।
যাইহোক এরপর আমার হাজবেন্ড বললো কিছু খাও কিন্তু আমি বললাম না আমি খাব না। খাব না বলার পিছনে বিশেষ কারণ আছে,,, কারণটি হল সেখানে এত পরিমান ধুলাবালি ছিল। রাস্তার পাশে যে খাবারের দোকানগুলো থাকে আসলে সেগুলো খুব একটা ভালো মানের থাকেনা যতই ভালো রাখার চেষ্টা করুক দোকানদার,,, কিন্তু সেখানে অনেক রকমের ধুলাবালি জমে। আমি খুব সাধারণত ফুটপাতের আশেপাশের খাবার দোকান গুলো থেকে কোন খাবার কিনে খেতে ইচ্ছে করি না। অতিরিক্ত ধুলোবালি ময়লা জমা খাবার গুলোই ফুটপাতের পাশে থাকে। এগুলো খেলে নানা ধরনের অসুখ হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাই এগুলোই এড়িয়ে চলাই ভালো।
- যাইহোক আমার লেখা এখানেই সমাপ্তি করতে চাই। সোজা বাসায় চলে আসলাম। আসার পর থেকে আমার এত পরিমান কাশি হচ্ছে হচ্ছে,,,,আমার মনে হচ্ছে বাইরের ধুলাবালির জন্য এই কাশিটা হচ্ছে । আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
বাংলাদেশে এখন অতিরিক্ত শীত পড়েছে কি না জানি না তবে আপনাদের পোস্ট পড়ে বুঝতে পারি যে শীত কেমন পড়ছে এবং শীতের সময় বাচ্চাদের নিত্যনতুন জামা কাপড় দেখা যায় আজকে আপনি আপনার হাসবেন্ড কে রাজি করিয়ে মেয়ের জন্য শীতের পোশাক নিতে গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা করেছেন যে মুহূর্তে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শীত এখনো খুব বেশি পড়েনি কিন্তু শীতের শুরুতে বাচ্চাদের কেনাকাটা করাই ভালো। কারণ এই হালকা শীতেই খুব বেশি বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শীতের শুরুতেই আপনার বাচ্চার জন্য কেনাকাটা করতে গিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ৷ বর্তমান সময়ে শীতের আগমন শুরু হয়েছে আর এখন থেকেই শীতের কাপড় বেচা কেনা বা কেনা কাটা শুরু হয়ে যাবে ৷ তাছাড়াও এখন শীতের কাপর কিনলে বেশ একটা সূলভ মূল্যে পাওয়া যাবে আমার যেটা মনে হয় ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোষ্টের সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। সত্যি বলছেন ভাই এখন, মোটামুটি একটু সুলভ মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে শীতের কাপড়, যদিও গতবারের থেকে এবার একটু হলেও দাম বেশি। তবে সিদ্ধ মাত্র শুরুর দিকে আরও যতদিন যাবে হয়তো কাপড়ের দাম আরো বেড়ে যাবে
@samima1 লেখা পড়ার অভ্যেস থাকলেও আজকে আমি আপনার লেখা এখনও সেভাবে পড়ে উঠতে পারিনি, শারীরিক সমস্যা তথা সময়ের অভাবে, এরজন্য দুঃখিত।
কাশি হবার পিছনে ধুলোবালি যেমন একটা কারণ, ঠিক তেমনি আবহাওয়া পরিবর্তন ও এর জন্য দায়ী।
বাইরে বেরোলে চেষ্টা করবেন মাস্ক ব্যবহার করতে, আমার নিজেরও প্রচণ্ড এলার্জি ধুলোতে, তবে আমি যেখানে থাকি সেখানে ধুলোর উৎপাত বেশ কম বলে বাঁচোয়া।
আপনার কেনা প্যান্টের ছাপা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। বরের পকেট ভালই খসেছে! যাক মাঝেমধ্যে ঘরের বন্ধ চার দেয়ালের বাইরে বেরোতে পারলে মন ভালো থাকে।
যেহেতু, আপনি নতুন তাই পাওনার জন্য লেখা উন্নত করবার কয়েকটি টিপস্ দিচ্ছি।
এই যে জিনিষগুলো কিনেছেন, প্রতিটি জিনিসের যদি আপনি ছবির পাশে আপনার দেশের দ্রব্য মূল্য বাংলাদেশী টাকায় উল্লেখ করতেন আপনার লেখা আরো বেশি উন্নত হতো।
পাশাপশি, স্টীম এর দাম দেখা এবং সেটাও সংযুক্ত করতে পারলে আরো ভালো। এই বিষয়গুলি একটি দেশ সম্পর্কে বিদেশিদের একটি ধারণা দিতে সহায়ক।
এইরকম একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করে যান, সময়ের সাথে নিজেকে উন্নত করুন এই আশা রাখি।
দিদি আপনাকে প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আমার এই পোস্টে। আর আপনি বলেছেন ধুলাবালি শুধু না কাশির জন্য আবহাওয়ারও একটা কারণ হতে পারে এটা আসলেই সত্য, বর্তমানে আবহাওয়ার পরিবর্তন সেই সাথে একটু ধুলার ভিতরে যাওয়া এই দুইটা কারণ মিলিয়েই হয়তো আমার এই কাশি খুব একটা বেশি হয়ে গিয়েছে।
জি দিদি আমি আসলে এখানে তো নতুন আপনারা সবাই জানেন। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো মানের লেখা দেয়ার জন্য।
আমি চাই সব সময় আপনারা সবাই আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন আমি সেই ভুলগুলো ধরার পরে সেগুলো দেখে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করব।
পরবর্তী পোস্টগুলোতে আপনার এই টিপস আমি অবশ্যই কাজে লাগাবো।
পরিশেষে অবশ্যই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দিদি আপনি হাজারো ব্যস্ততার মাঝে আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং দেখেছেন।