আমার বেলকনির সবজি বাগানের পুঁইশাক
আসসালামু আলাইকুম
আশা করছি সবাই ভালো আছেন? আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি বেশি আনন্দিত আপনাদের মাঝে আবারও আসতে পেরে।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব,আমার নিজের হাতে করা সবজি বাগান ও কিছু সবজি সম্পর্কে,, আমি আশাবাদী আপনাদের ভালো লাগবে তো চলুন দেরি না করে শুরু করছি।
- আপনারা যে পুইশাকের ডাটা গুলো দেখতে পাচ্ছেন এটা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং খুবই উপকারী।
এই পুইশাকের ডাটা গুলো আমার নিজের হাতে লাগানো। নিজের হাতে লাগানো সবজি রান্না করার মজাটাই আলাদা।
এই পুইশাকে ডাটা গুলো লাগানোর পিছনে একটা সুন্দর গল্প আছে। গল্পটি হচ্ছে একদিন আমার হাজবেন্ড বাজার থেকে এক আটি পুঁইশাক কিনে নিয়ে এসেছিল। এরপর আমি সেই পুঁইশাক সুন্দরভাবে রান্না করেছি এবং পুইশাকে নিচের দিকের যে গোড়াটা থাকে সেইটা আমি খুব সুন্দর ভাবে সযত্নে আমার সবজি বাগানে রোপন করেছি।
সকালবেলা উঠেই আমি প্রথমেই এই সবজি বাগানে পানি দেই। এই পুঁইশাকের সবজি বাগানটা হয়ে উঠেছে আমার প্রাণ। কারণ পুইশাকে অনেক উপকারিতা রয়েছে।নিচে পুইশাকের উপকারিতা তুলে ধরলাম।
পুইশাকে থাকে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের জীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, সেই সঙ্গে চুল মজবুত করে। নিয়মিত পুই শাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হিমরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।
এছাড়াও পুইশাকের প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি পুঁইশাক রোপন করা এবং রান্না করা।
বাজারে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পুঁইশাক ওঠে তারপরও কিন্তু পুঁইশাকের প্রচুর দাম। দাম হওয়ার কারণে বাজার থেকে না কিনেও নিজেরাও চাষ করে পুঁইশাক খাওয়া যাবে। আমি কিন্তু সেটাই করি, আমি প্রথম একবার,, আমার হাজব্যান্ড পুঁইশাক কিনে নিয়ে আসছে এবং আমি তার ডাটাগুলো ফেলে না দিয়ে বেলকনিতে সেগুলো টবের ভিতর লাগিয়েছি এবং সেখান থেকে সুন্দর মত গাছ উঠেছে এবং সেই পুঁইশাকের গাছ থেকে আমি প্রতিনিয়ত পুঁইশাক উঠিয়ে খাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
শহরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকেরই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের সবজিগুলো নিজেরা চাষ করে খেতে পারেনা। তবে গ্রামে যারা বাস করে বাড়ির আশেপাশে অনেক খোলা জায়গা থাকে, সেই সব খোলা জায়গায় চাইলেই নিজেরা পুঁইশাক সহ অন্যান্য সবজি চাষ করে খাওয়া যেতে পারে। তাই বলবো যারা গ্রামে বাস করেন তারা বাড়ির পাশে পড়ে থাকা জমিগুলোতে সবজি চাষ করে খেতে পারেন।
- আমি এই ভিডিওতে আমার বেলকনিতে থাকা বিভিন্ন প্রকার সবজি ভিতরে থেকে শুধুমাত্র পুইশাক নিয়েই আলোচনা করেছি, কারণ আমার আজকের রান্না রেসিপিতে পুঁইশাক ছিল। আজকে পুঁইশাক রান্না করা হয়েছিল তাই পুঁইশাক নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
প্রতিনিয়ত এ ধরনের পোস্টগুলো পেতে অবশ্যই আমার পাশে থাকবেন আমাকে সাপোর্ট করবেন আমাকে ভালবাসবেন আমিও আপনাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।
আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিলো তার পাশাপাশি আপনার বেলকনির সবজি বাগানের পুঁইশাক আজকে রান্না হয়েছে অবশ্যই মনে করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।পুঁইশাক আমিও কম বেশি পছন্দ করি কিন্তু বর্তমানে একটু সমস্যার কারণে পুঁইশাক খেতে পারছি না তবে পুঁইশাক খেতে আমার ভালো লাগে যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পরিদর্শন করার জন্য।
চারিদিকে ভেজাল আর ভেজাল তবে আমরা যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয় তাহলে বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় শাকসবজি উৎপাদন করেও খেতে পারি। এতে করে নিজেদের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে তেমনি বাজারের দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটাই কমবে। সবাই যদি আপনার মত এমন সচেতন হতেন তাহলে দেশ টা কতোই না সুন্দর হতো।
বাজার থেকে কেনা সবজি স্বাদ সবাই নিতে পারে কিন্তু নিজের হাতে লাগানো সব্জির স্বাদ অনেকেই নিতে পারেনা নিজের হাতে লাগানো সবজির স্বাদ তুলনাই হয় না। আপু আপনার মত উদ্যোক্তা ঘরে ঘরে প্রয়োজন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।আপনি একদম ঠিক বলেছেন বাজারে শুধু ভেজাল আর ভেজাল । এজন্য নিজেরাই শাকসবজি উৎপাদন করা উচিত। নিজের হাতে লাগানো সবজি রান্নার অনুভূতি আলাদা। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
TEAM 1
Congratulations! Your post has been upvoted through @steemcurator03. Good post here should be..