শীতের রাতে আড্ডা ও খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২১শে ডিসেম্বর, শনিবার।
হ্যালো ইনক্রেটেবল ইন্ডিয়াবাসী, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। এই কমিউনিটিতে এটা আমার সর্বপ্রথম পোস্ট, তাই আপনাদের সাথে পরিচিত হতে আজকে পরিচিতি মূলক পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
ঢাকা শহরের মধ্যে এরকম কিছু জায়গায় রয়েছে বলে আমরা ব্যস্ততম শহর থেকেও একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারি, মাঝে মাঝেই আমরা বন্ধুরা সন্ধ্যার পর বের হই আড্ডা দিতে কিংবা খাওয়া-দাওয়া করতে। ঠিক তেমনি ছিল গতকাল, মোটামুটি সবাই আমরা হয়েছিলাম সন্ধ্যার পর বেশ ভালো একটা আড্ডা হল যেহেতু সাথে গাড়ি ছিল তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ৩০০ ফিটের মইনুদ্দিন চত্বরে ঘুরতে যাব, ৩০০ ফিট আমাদের এখানে বেশ ফেমাস একটা রোড।
বেশিরভাগ মানুষই রাতের বেলা গাড়ি মোটরসাইকেল ইত্যাদি নিয়ে এই রোডে আসেন, এত বড় প্রশস্ত এবং সুন্দর রোড খুব একটা নেই, কোন একদিন সময় পেলে সেটিও আমার পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
৩০০ ফিটের নীলা মার্কেট অনেক পরিচিত এবং সবাই সেখানে গিয়ে থাকে, তাই আমরা মইনুদ্দিন চত্বর এটা খুব বেশি একটা মানুষ যায় না আমরা সে দিকে চলে গেলাম, সেখানেও বেশ অনেক মানুষ ছিল তাই আমরা আরও অনেক ভিতরে চলে গেলাম। যেহেতু ছুটির দিন তাই মোটামুটি এখানেও বেশ ভিড় রয়েছে। এই জায়গাগুলোতে গাড়ি বা বাইক না থাকলে আসা যায় না তাই এখানে আসলে গাড়ি পার্কিংয়ের একটা ঝামেলা পোহাতে হয়।
সেখানে পৌঁছা মাত্রই হাঁসের মাংসের এত চমৎকার একটা ঘ্রাণ আসছে ছিল আমরা ঠিক করলাম সবাই হাস খাব, এক বন্ধু হাঁস খেতে চাইছিল না, কি আর করার খিদে পেয়েছিল রাত হয়েছে অনেক, আমরা তিন বন্ধু চিকেন চাপ খেলাম আর একজন মাসালা চিকেন। এত পরিমাণ কাস্টমার ছিল আমরা বাসার জায়গা পাচ্ছিলাম না, তাদেরই ভাসমান রেস্টুরেন্টের একটা অংশ রয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে একটা টেবিল নিয়ে নিলাম।
দলে দলে অনেক মানুষ আসছে আমাদের অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হলো অর্ডার পেতে, এমনিতেও আমরা ক্ষুধার্ত ছিলাম তারপর খাবারটাও ছিল দুর্দান্ত যেহেতু অনেকটা সময় অপেক্ষা করেছি তাই বেড়ে গেছে খিদে। আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনা ছিল সেগুলো করতে করতে খাবার চলে আসলো, অনেকদিন পর ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। যাইহোক আড্ডা দিতে দিতে খাবার খেতে বেশ ভালোই লাগলো।
রাতে কুয়াশা ছিল অনেক, এত পরিমাণ ঠান্ডা আমরা রীতিমতো শরীর কাঁপছিল। যাই হোক শীতের রাতে এরকম ঘুরে বেড়াতে কিন্তু ভালই লাগে, যদিও অনেকটা রিস্ক থাকে কুয়াশা কিছু দেখা যায় না, কিন্তু সময় গুলো খুব উপভোগ করার মত।
সত্যিই অসাধারণ একটা পোস্ট ছিল। ঠিকই বলেছেন মইনুদ্দিন চত্ত্বর, পূর্বাচলে খুব পরিচিত একটি চত্বর। মাঝে,মাঝে আমারও যাওয়া পরে, সত্যিই ওইখানে গেলে গ্রাম্য একটি পরিবেশ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এই খানে ঘুরতে আসে। শীতের রাত্রে এই নীলা মার্কেটের দিক অনেক ঠান্ডা পড়ে, কেননা ঐখানে হচ্ছে খোলামেলা পরিবেশ। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন সুস্থ, থাকবেন।
আমরা মাঝে মাঝে হুট করে ওই এলাকাগুলোতে চলে যাই, যেহেতু এখন আপনিও এই প্লাটফর্মে রয়েছেন হয়তোবা আপনার সাথে ও কোন একদিন ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত চমৎকার একটা মন্তব্য আমাকে উপহার দেয়ার জন্য।