হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠা
আবারো চলে আসছি ,আপনাদের মাঝে কিছু আনন্দঘন মুহূর্তের সাক্ষী হিসাবেআপনাদের রাখার জন্য। আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে শেয়ার করেছি ২৬ শে জুন ছিল আমার ২৬ তম বিবাহ বার্ষিকী, স্বাভাবিকভাবেই একটু স্পেশাল ছিল এবারের বিবাহ বার্ষিকী টি।
কারণ হচ্ছে ২৬ তারিখে ২৬তম বিবাহবার্ষিকী। এটি আর জীবনে দ্বিতীয় বার আসবে না ।কিছু বিশেষ তারিখ রয়েছে যা জীবনে দুবার হয় না এটি ও আর আমার জীবনের দুবার আসবে না। তাই একটু অন্যান্য বিবাহবার্ষিকীর চেয়ে এবারে বিবাহ বার্ষিক এটি একটু স্পেশাল ছিল আমাদের জন্য।
পরদিন স্কুলে যখন গেলাম সবাই সবার মতো করে আঁকড়ে ধরল স্পেশাল বিবাহ বার্ষিকীতে যেন ওদেরকে ট্রিট দেওয়া হয়। তাই বাসায় এসে যখন দুজন দুজনকে শেয়ার করলাম, আমার সাহেব বলল চলো তাহলে আশেপাশে কোথাও ঘুরে আসি। হঠাৎ করে তো বাসায় আর আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় ,তাছাড়া সময় খুব কম।
সেজন্য আমাদের কোয়ার্টারের পাশেই ফ্যামিলি পার্ক রয়েছে সে কথাও হয়তো আপনারা জানেন ।ওয়ার্কিং ডিসটেন্স হেঁটে যাওয়া যায় তাই আমরা হেঁটেই গিয়েছিলাম। আবার আসার সময় সবাই মিলে গল্প করতে করতে হেঁটেই চলে এসেছি ।এতে করে আমার দুটো কাজ একসাথে হয়ে গিয়েছে ,সন্ধ্যার হাঁটাটা হয়ে গিয়েছে আমি প্রতিদিন সম্ভব হলে সন্ধ্যায় হাঁটতে বের হই। তাই আর আজকে আর হাঁটতে বের হতে হয়নি একসাথে দুটো কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছি।
পার্কে যাওয়ার ২০/ ২৫ মিনিট পরই ঝুম বৃষ্টি একেবারে উপভোগ করার মত বৃষ্টি। আমি যেহেতু কোয়ার্টারে থাকি। তাই বৃষ্টির রিমঝিম শব্দটা টিনের চালে যেভাবে উপভোগ করা যায় বিল্ডিং এর ছাদে ওরকম ভাবে উপভোগ করা যায় না। অসাধারণ রিমঝিম রিমঝিম শব্দ শুধু আমি নয় সবার উপভোগ করেছিল বিষয়টি। তাছাড়া যেহেতু সন্ধ্যা নেমে এসেছিল নানা ধরনের আলোকসজ্জা ছিল পার্কের ভিতর দেখার মত একটি পরিবেশ সত্যিই মনমুগ্ধকর।
সবাই মিলে গল্পে মেতে উঠলাম । গল্পের ফাঁকে হালকা নাস্তাও করে নিলাম ।মেয়েরা খেলাম ফুচকা আর ছেলেরা খেলো চটপটি সাথে ছিল কোল্ড ড্রিংকস।
এবং গল্প করে বাসায় আসতে আসতে সবার হাতে ছিল একটি করে কোন আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় চলে এসেছি এবং ছেলের জন্য পার্সেল করে নিয়ে এসেছি বাসায়। কারণ আমার ছেলে টিচারদের সাথে যাবে না ,যেখানে টিচার রয়েছে সেখানে সে যেতে নারাজ ছোটবেলা থেকেই তার এই অবস্থা।
শুধু আমার ছেলে নয়, আমার মেয়েরাও টিচার ও ম্যামরা যেখানে যাবে সেখানে তারা যাবে না। যেহেতু আমরা হাজব্যান্ড ওয়াইফ একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি তাই টিচার ও ম্যামদের সাথে আমাদের ওঠাবসা। যেখানে যাই সাধারণত ওদের সাথে যাওয়া হয়। একই সাথে দীর্ঘদিন চাকরি করে ওদের সাথে একটি মধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বন্ডিং হয়েছে। তাই ওদের সাথে যেতেই আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কিন্তু আমার ছেলে মেয়েরা যেতে চায় না। তাই ছেলে মেয়েদের সাথে যখন যাই তখন আর কলিকদের ইনভাইট করি না ,আবার যখন কলিগদের সাথে যাই তখন ছেলে মেয়েদের কে বাসায় রেখে যাই ওদের জন্য পার্সেল নিয়ে আসি।
বাসায় যেহেতু নাস্তা বানিয়ে রেখে গিয়েছিলাম, তাই অন্য কিছু নিয়ে আসিনি। ছেলের যেহেতু কোন আইসক্রিম পছন্দ করে তাই কোন আইসক্রিম কিনে নিয়ে এসেছিলাম। আর আমিও কোন আইসক্রিম পছন্দ করি সেটি আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে শেয়ার করে ফেলেছি তাইনা ।তিনটি কোন আইসক্রিম এনেছি ছেলের জন্য একটি আমাদের হাজব্যান্ড ওয়াইফের জন্য দুইটি।
গতকালকের সন্ধ্যাটা বেশ আনন্দে কেটেছে অনেক আড্ডা ও আনন্দ। সবমিলিয়ে একটি সুন্দর সময় কাটিয়েছি সবার সাথে। আমি মনে করি মাঝে মাঝে এ ধরনের আড্ডার প্রয়োজন রয়েছে জীবনকে এবং মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য। বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই থাক সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং আমার পরবর্তী ব্লগে অগ্রিম নিমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ। বন্ধুরা মনে আছে তো বেশি বেশি করে মনের যত্ন নিবেন, নিজেকে সময় দিবেন, নিজেকে নিজের মতো করেই উপভোগ করবেন। সবাই ভালো থাকবেন ভালো থাকবেন।
প্রথমেই অভিনন্দন জানাই এতটা বছর একটা মানুষের সাথে সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন।। আর বাকি জীবনটা যেন এভাবে আনন্দের সাথে কাটাতে পারেন।।
স্পেশাল দিন একটু স্পেশাল না হলে কি আর হয়, আর এটা একদম সঠিক বলেছেন বাসায় হঠাৎ করে আয়োজন করা একটু মুশকিল।। দিনটা বেশ আনন্দের সাথে কাটিয়েছে আর রিমঝিম বৃষ্টি দেখতে অনেক ভালো লাগে।।
এটা একদম ভালই করেছে ছুটির দিন হলে খুব সুন্দরভাবে সবকিছু গোছানো যায়।। আর স্কুল থেকে আসার পর শরীর এমনি ক্লান্ত থাকে তাই এগুলো ঝামেলা না নিয়ে ভালো করেছেন।।
সবাই মিলে ঘুরলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়।। আর মাঝে মাঝে সবাই মিলে বাইরে যেতেও ভালো লাগা কাজ করে।।
আমার মনে হয় শুধু আপনার না যত মানুষই রয়েছে সবার ঘুরতে ভালো লাগে হয়তো অনেকেই ব্যস্ততার জন্য ঘরতে পারে না। এটা একদম সঠিক ঘোরাঘুরি করলে মন এমনি ভাল থাকে।
আপনাকে প্রথমেই জানাই শুভ বিবাহ বার্ষিকী অনেক শুভেচ্ছা। দুজনে একসাথে জীবনের অনেকটা পথ অতিক্রম করে ফেলেছেন। আশা করি বাকি জীবনটা আপনাদের খুব ভালো কাটুক। তবে ঠিকই বলেছেন বিবাহ বার্ষিকীর দিনটা বছরে একবারই আসে। সারাদিন অনেক মজা করে কাটিয়েছেন। দুজনে একসাথে খুব ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
আসলে পরিবারের যদি সবাই এক জায়গাতে থাকে তাহলে অবশ্যই আড্ডায় মেতে ওঠাটাই স্বাভাবিক। এবং আপনি এই পোষ্টের ভিতরে অনেক সুন্দর কিছু বিষয় লিখেছেন যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা একেবারেই ঠিক বিশেষ দিনগুলো বছরে একবারই আসে। আর এই দিনটা আপনারা বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে খুব সুন্দরভাবে উদযাপন করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনারা কতটা হাসিখুশি ছিলেন এভাবেই সারাটা জীবন হাসিখুশি থাকুন। এই কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে। ধন্যবাদ নিজের বিশেষ দিন সম্পর্কে এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।