ডেঙ্গু জ্বর কেনো হয়
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি গল্প নিয়ে এসেছি আশা করি সবার ভালো লাগব
এখনকার মশা অনেক বিষাক্ত হয়ে পড়েছে কারন লেডিস মশা রয়েছে এসব মশার কামড়ে মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমনের কমপক্ষে তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো দেখা যায়। বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বর বেশি দেখা যাচ্ছে সবার কাছে। অধিকাংশ মানুষই এই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ এ।
জানতে হবে যে এই ডেঙ্গু জ্বর কি এবং কিভাবে হয় এবং এখান থেকে আমরা কিভাবে রক্ষা পাব তা নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করতে যাচ্ছি। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে কিভাবে বুঝবেন তা হলো জ্বর, মাথা ব্যাথা,বমি, তারপর পেশিতে ফুসকুড়ি হতে পারে। যদি এসব হয়ে থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।
পুরো শরীরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বা বৃদ্ধি লাভ করে দুই থেকে সাত দিনের মধ্যেই এর মধ্যেই আপনি বুঝতে পেরে যাবেন যে আপনার ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে। আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী রূপ ধারণ করতে পারে যেটি অনেক মারাত্মক ভাবে আপনাকে আক্রান্ত করে দিতে পারে। সবচাইতে ডেঙ্গু মারাত্মক হয় (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার) এই ডেঙ্গু। এই ডেঙ্গু রক্তপাত হয় তারপর শরীরের রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে।
আপনারা হয়তো জানেন না যে মশা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তারমধ্যে এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক। এডিস মশা থেকে যে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ায় এই ভাইরাসটির পাঁচটি সেরো টাইপ পাওয়া যায়। এই বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বর আমাদের দেশে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর রোগীর কারণে সেখানে জায়গা পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে।
ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক আ্যডিস ইজিপটি নামক এক মশা। আ্যডিস নামে মশাগুলো অন্যান্য মশার চেয়ে বড় এবং গায়ে ডোরাকাটা দাগ দেখা যায়। হেরা সাধারণত বৃষ্টি থেকে শুরু করে যে কোন জ্বালাবোতো এলাকায় বংশবিস্তার করে থাকে। তাছাড়াও ঘরে রাখার টপ বা ফুলদানির পানিতে ও এরা বংশবিস্তার করতে পারে।
আ্যডিস মশা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে সাধারনত যে সব কাজ করতে হবে তা হচ্ছে বাড়ির আশেপাশে যদি কোন জঙ্গল বা ময়লা আবর্জনা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। যদি ড্রেন থাকে এবং সেখানে যদি কোন পানি জমে থাকে তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করে রাখতে হবে। তাহলে এই আ্যডিস মশার জন্ম বিস্তার কমে যাবে।
ডেঙ্গু জ্বর কখন এবং কাদের বেশি হয় জানেন সাধারনত মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনেক গরম লক্ষ্য করা যায় এই বর্ষার সময়টাতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। তবে শীতে ডেঙ্গু মশা বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে না। বর্ষার সময় এই ডেঙ্গু জ্বর বেশি দেখা যায় বিশেষ করে যেসব শহরে দালানকোঠা বড় বড় এলাকায় ডেঙ্গু মশা বেশি দেখা যায় তাই ডেঙ্গু জ্বরও এই এলাকার বাসিন্দাদের বেশি হয়।
ডেঙ্গু ভাইরাস সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে। তাই ডেঙ্গু জ্বর ও চার ধরনের হতে পারে যারা এর আগেও ডেঙ্গু জ্বর এ আক্রান্ত হয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময় যদি আবারও ডেঙ্গু হয় তাহলে সেটা মারাত্মক হওয়ার যোগে থাকতে পারে। বিশেষ করে এটা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।
আজকে আমার গল্প এই পর্যন্তই আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে পরবর্তীতে আবার কোন গল্প নিয়ে অবশ্যই হাজির হব কতখানি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 7i |
Camera | 64MP Quad camera |
Location | Bogura, Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @sabbir-raj |
আপনি আজকে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেছেন।।। ডেঙ্গু জ্বর কেন হয় এবং এর থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন।।
ধন্যবাদ আপনাকে এত বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য এবং এত সুন্দর করে পোস্ট করার জন্য।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি পড়ার জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।।। আমি চাই আপনি আরো এরকম আমাদের মাঝে শিক্ষণীয় পোস্ট করেন সেখান থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি।।।
চারপাশের সবাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ভয় বাসা থেকে বের হতেও ভয় লাগে। আজকে আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। কেন ডেঙ্গু জ্বর হয় এবং কিভাবে ডেঙ্গু জ্বর থেকে বেঁচে থাকা যায়। আসলে এই বিষয়গুলো জানা খুব প্রয়োজন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, গুরুত্বপূর্ণ টপিকটা আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। কেননা আজকে আপনার পোস্ট পড়ার পর অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি পড়ার জন্য