বন্ধুর বেইমানি:
প্রথমে জানাই আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।প্রতিদিনের মতো আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে।আজ আপনাদের মাঝে আমি যে বিষয়টি তুলে ধরতে চাচ্ছি সে বিষয়টি হলো বন্ধুর বেইমানি।
আমি বগুড়া ভর্তি হবার পর আমার অনেকগুলো ফ্রেন্ড হয়, আমাদের মধ্যে হয়েছিল সুন্দর একটি বন্ডিং।আমরা যা কিছু করতাম না কেন সবাই একসাথে করতাম।এমনকি ক্যান্টিনের যখন খাইতে যাইতাম তখন একসাথে যেতাম, মার্কেটে গেলেও একই ধরনের পোশাক কিনতাম।
আবার যখন কলেজ ছুটি হতো তখন বাসাই একই সাথে যেতাম এবং ছুটি শেষ হওয়ার পর যখন কলেজে আসতে চাইতাম তখন সবার কাছে ফোন দিয়ে বলতাম কে কোন তারিখে যাবে তখন সবাই একটা ডেট ফিক্স করে সবাই মিলে একসাথে কলেজে চলে আসতাম।
আমরা সবাই মিলে নানা ধরনের আনন্দ উল্লাস করতাম,আমরা তিন চারজন কলেজে যে কথাই বলতাম না কেন স্যার ম্যাম এবং আমার ফ্রেন্ডরা
আমাদের কথাগুলো মূল্যায়ন করত।খুবই ভালো লাগতো যে আমাদের কথাগুলো সবাই মানে।
এজন্যই মানত যে আমরা কলেজে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতাম।
যখন আমরা কলেজে চতুর্থ সেমিস্টার পদার্পণ করলাম,তখন আমরা কলেজের এক ব্যাস সিনিয়র হয়ে গেলাম।
আমাদের দিনকাল গুলো ভালই কাটছিল কিন্তু হঠাৎ করে আমরা একটা সমস্যার সম্মুখীন হলাম।
আমাদের যে ছোট ভাই গুলো ছিল তাদের মধ্যে কিছু ছোট ভাই একটু দুষ্টু স্বভাবের ছিল।ওর যে বড় ভাই ছিল তাদের সে সম্মান করত না এবং তাদের সামনে ধূমপান করত।ওই ছেলেটাকে অনেকবার বোঝানো হয়েছে কিন্তু সে কোন কথা শোনে না।
একদিন সে অনেক বড় একটা অপরাধ করে বসে,
(গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অপরাধ টি বললাম না)
যখন এই বিষয়গুলো আমরা শুনতে পাই তখন আমাদের সবার মাথা গরম হয়ে যায়,আমার ফ্রেন্ডের সাথে পরামর্শ করি যে ওই ছেলেটা কি একটি উচিত শিক্ষা দিব।
তখন আমরা বন্ধুরা মিলে ওই ছেলেটাকে মাঠের ভিতরে ডেকে নেই,ডাকার পর অনেক কথা ওকে শুনালাম এবং আমার দুই বন্ধু তার গালে দুইটা চর মারে।
তারপর ওই ছেলেটা কলেজের অফিসে আমাদের সবার নামে বিচার দেয়।ওই ঘটনা সময়ে আমরা বন্ধুবান্ধব ছিলাম পাঁচজন।রীতিমতো বিচারে আমরা সবাই উপস্থিত হলাম।বিচারের সময় আমাদের দুইটা বন্ধু বলল যে আমরা কিছু করিনি আমরা এর ভিতর ছিলাম না ওই দুইজন সম্পূর্ণ দোষ আমাদের তিনজনের ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দিল,ওদের দুজনের কথা শুনে আমরা রীতিমতো হতবাক হয়ে যায়
ঘটনাস্থলে কিন্তু ওরা দুজনও ছিল এবং ওরা দুজনই কিন্তু ওই সেলেটার গালে চর মেরেছিল।আমরা কল্পনা করতে পারিনি যে আমারও দুটি বন্ধু এত বড় একটি মিথ্যা কথা বলবে।
পরবর্তীতে বিচারে আমরা আর কিছু না বলে দোষটা নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিই এবং আমাদের শাস্তি স্বরূপ কলেজ হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
কিন্তু আমার ওই দুইটি ফ্রেন্ড তার অপরাধ স্বীকার না করায় তাদেরকে হোস্টেলে থেকে যাই।কিন্তু তারপরও আমরা কোনো প্রতিবাদ জানাই নেই।
তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আসলে এই পৃথিবীতে কেউ কারো আপন নয়।সবাই নিজের স্বার্থ খোঁজে।
সেই দিনের পর থেকে ওই দুজনের সাথে আমরা কোন ধরনের বন্ধুত্ব রাখিনি আর আজ পর্যন্ত তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ এবং কথোপকথন হইনি আর কখনো হবেও না।
বেইমান বন্ধু থাকার থেকে একা থাকা ভালো।
একটি গান আছে না, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।
অনেক কথাই বললাম সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Nokia C21 pro |
Camera | canon60D camera |
Location | Bangladesh, bogura 🇧🇩 |
Short by | @rxsajib |
Las cosas que pasan en durante nuestros estudios nos marcan para siempre yo soy una de las personas que cree en la amistad pero, La decepción es más grande que cualquier cosa. Cuando hacemos algo tenemos que asumir nuestras culpas estuvo mal de parte de los demás que no apoyase.
ধন্যবাদ আপনাকে🥰
এটাই বাস্তবতা, যে কেউ কারো আপন না।
স্বার্থপর এই পৃথিবীতে নিজের স্বার্থ নিয়েই সবাই চিন্তিত। তবে আপনার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটি কথা বলবো যে বন্ধু নামের বেঈমানদের দেখার সুযোগ হয়েছে আপনার খুব কাছে থেকে।
এটাও জীবনের এক চরম শিক্ষনীয় মূহূর্ত। আমার মনে হয় এই শিক্ষাটা আপনার জীবনের সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভবিষ্যতে। এরকম বন্ধু থাকার চেয়ে না থাকাটাই উত্তম।
একদম ঠিক বলেছেন দিদি🙂
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমনটাই ঘটে যাদেরকে আমরা বেশি বিশ্বাস করি, যাদেরকে নিজের মনে করি, তারাই বিপদের সময় এমন কিছু কাজ করে বসে যেটার জন্য তাদের ওপর ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই আসে না।
অবশ্যই একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, এটা একেবারেই বাস্তব, এবং আমি আপনার সাথে এক সহমত আছি। আমরা যার যার স্বার্থই বুঝি, যখন আমাদের নিজের স্বার্থে ঘা লাগে, তখন আর কারো ক্ষতি হচ্ছে কিনা সেটা দেখার প্রয়োজন মনে করি না।
আপনি তো ওই ছোট ভাইটিকে ভালো করার জন্যই অনেকভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে আসলে ভালো হওয়ার মতো ছেলে ছিল না, যার জন্য সে এমন অনেক অপরাধ করলো, যেটার জন্য আপনারা অফিসে কমপ্লেন করলেন। কিন্তু মাঝখানে আপনার নিজের বন্ধুরাই কেটে পড়লো, যে তারা এই ঝামেলায় যাবে না এটাই বাস্তবতা আসলে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই 🙂
ভাই আপনার লিখাটি পড়ে সত্যি অনেক মর্মাহত হলাম। বর্তমান অনেক ভার্সিটি বা কলেজে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। তাই এসব ব্যপারে আমাদের সকলের সাবধান থাকা উচিত। বর্তমান প্রজন্মের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা না বুঝে অনেক ভুল করে থাকে। তাই তাদের পারিবারিক দিক থেকে হোক, সামাজিক দিক থেকে হোক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে হোক, তাদেরকে বোঝানোর দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরকেই নিতে হবে।
আর আপনি যে বললেন আপনার দুজন বন্ধু আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনা অস্বীকার করেছে, এটা তারা মোটেই ঠিক কাজ করেনি। হয়তো একসময় গিয়ে তারা প্রত্যেকে তাদের ভুল বুঝতে পারবে। ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই🥰🥰