RE: আমদের ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা
আপনি আপনার ঠাকুরমা কে দেখতে গিয়েছিলেন।এবং সেখানে আপনার কিছু ব্যক্তিগত কাজ ছিল। যার জন্য আপনাকে ব্যাংকে যেতে হয়েছিল।
আপনারা পিকলু কে নিয়ে আপনাদের দিদির বাসায় গিয়েছিলেন। কারণ আপনার বোনের মেয়ে খুব জেদ ধরে ছিল আপনাদের যাওয়ার জন্য। বিষয়টা যেন খুবই ভালো লাগলো। আসলে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমার কোন বোন নেই। সে কারণে কোথাও তেমন একটা যাওয়া হয় না, শুধু বাপের বাড়ি আর শশুর বাড়ি।
- আপনি আপনার পোস্ট এ উল্লেখ করেছেন। পিকলু কে যখন আপনি আপনার কোলে বসিয়ে রেখেছিলেন। তখন আপনার পাশে একজন মহিলা ট্রেনে উঠেছিল। এবং তিনি তার মুখের বিকৃতি এমনভাবে ধারণ করেছেন।মনে হচ্ছে আপনারা অন্য গ্রহের মানুষ। আসলে কি দিদি জানেন ওই কিছু মানুষ আছে পশু পাখি পছন্দ করে না। ঠিক আছে ওই মানুষগুলো এমনই করে। আমার বাড়িতে একটা পোষা বিড়াল আছে। সে মাঝে মাঝে এমন করে সে আমার সাথে ঘুমায়। এটা আবার আমাদের পরিবারের অনেকেই মানতে চায় না। সে কারণে আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন, কিছু মানুষের মন-মানসিকতা এত নিম্ন হয়ে থাকে। যে তাদের সাথে বসা তো দূরের কথা তাদের কাছ দিয়ে হেঁটে যাওয়াটাও, আমাদের জন্য মনে হয় অন্যায়। মানুষগুলো এত নিম্নমানের মন মানসিকতা নিয়ে কিভাবে থাকে। মাঝে মাঝে আমিও এ বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি।
আসলে অনেকটা জার্নি হয়েছে পিকলুর। সেজন্যই সে ফ্ল্যাটে গিয়েই হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়লো। হয়তোবা তার কাছে গরমও লাগছিল সেজন্য।আর আপনার বেশ ভালোই একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পিকলু কে নিয়ে আর ট্রেনে জার্নি করবেন না। কারণ সবাই এক চোখে দেখে না এটাই স্বাভাবিক।
আসলে আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে যেটা দেখেছি। সেটা হচ্ছে একটা একটা পোষার প্রাণীকে যখন আমরা আমাদের নিজের কাছে রাখি। তখন সে কিন্তু খুব যত্নে থাকে।এবং সেও চায় তার মালিক সর্বদাই যত্নে থাকুক। কিন্তু আমাদের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ বসবাস করে। যারা কিনা পশুর চেয়েও অধম, তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটাই আমাদের সবচাইতে বড় কাম্য।
- আপনি ঠিকই বলেছেন এই পৃথিবীর মানুষগুলো বড্ড বেশি স্বার্থপর। আমরা যখন কোন পোষা প্রাণী কে আমাদের কাছে যত্নে রাখি। সে পোষা প্রাণী আমাদের জন্য যতটা কেয়ার করে। আমাদের সাথে থাকা মানুষগুলো আমাদেরকে ততটাই ঘৃণা করে।
আপনার লেখা এবং পিকলুর ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। হয়তোবা আমি আমার লেখার ভাষায় বোঝাতে পারবো না। তবে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেন, আপনার পিকলু কে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখে।