Better Life With Steem || The Diary game || 21 February 2025 ||

in Incredible Indiayesterday
IMG_20250221_070128_766.jpg

অন্য কাউকে নিয়ে উপহাস করবেন না। নিজের অবস্থান থেকে অন্যের অবস্থান বোঝা কখনোই ঠিক না। কিছু মানুষকে দেখেছি কিছু মানুষের অস্তিত্ব সেই মানুষের অবস্থান সবকিছু নিয়ে হাসাহাসি করে। আমার কাছে মনে হয় আপনি তার অবস্থানে দাঁড়িয়ে যদি তার অস্তিত্ব এবং তার অবস্থান বুঝতে পারতেন। তাহলে হয়তো বা আপনার চোখ দিয়ে কান্না চলে আসতো। সব রকম পরিস্থিতি মানুষকে মানিয়ে নিতে হয় মেনে নিতে হয়। যদি জীবনে সঠিকভাবে বেঁচে থাকতে হয়। সবাই তার জীবনে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকবে এটা কখনো হয়ে ওঠেনা। কারণ পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয় অনেক কিছু বুঝতে শেখায়।

জীবনে কি করতে পারব সেটা বড় বিষয় নয়। তবে সঠিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে। আপনি আমি এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র কয়েকদিনের মেহমান, হয়তোবা মৃত্যু আমাদের পেছনেই ঘোরে। কখন কার মৃত্যু চলে আসে সেটা আমরা কেউ জানিনা। তারপরেও আমাদের অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না। কখনো কাউকে কষ্ট দেয়ার আগে তিনবার চিন্তা করবেন। আপনি তাকে যে পরিমাণে কষ্ট দেবেন। আমার আল্লাহ আপনাকে তার চাইতেও অনেক বেশি কষ্ট দেবে। হয়তোবা এই পৃথিবীতে না হয় আখেরাতে। তাই কাউকে কষ্ট দেয়ার আগে তিনবার চিন্তা করুন। নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে অন্যের অনুভূতি আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না। তাই কখনো কাউকে নিয়ে হাসাহাসি করবেন না। আর যাই হোক প্রকৃত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করুন।

IMG_20250221_070129_463.jpg
IMG_20250221_070129_313.jpg

আলহামদুলিল্লাহ অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। চারপাশে অন্ধকার নিস্তব্ধতা কুয়াশার কারণে খুব তেমন একটা বেশি দেখা যাচ্ছে না চারপাশে। অজু করে এসে নামাজ পড়ে। বাহিরে কি কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। হঠাৎ করে হাঁস মুরগির ঘর থেকে শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দ শুনে বুঝতে পারলাম চীনা হাঁসের বাচ্চাগুলো ফুটে গিয়েছে। অনেকদিন ধরেই তাদের অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘ প্রায় এক মাস 5 দিন পরে তারা এই পৃথিবীতে এসেছে। এটা ভেবেই আমি অনেক বেশি আনন্দিত। প্রথম অবস্থায় গিয়ে হাঁস মুরগির জন্য খাবার রেডি করে রেখেছিলাম। তারপর এক এক করে সবাইকে ছেড়ে দিয়েছিলাম মোটামুটি কুয়াশার পরিমাণটা অনেকটা কমে গেছে।

এরপরে চীনা হাঁস গুলোকে বাহিরে বের করে নিয়ে এসেছিলাম। তবে ওদের কে ওদের ঘরে রেখে দিয়েছিলাম। ঠান্ডা রয়েছে সামান্য পরিমাণে যখন রোদ উঠবে তখন তাদেরকে বাহিরে বের করব। বাকি হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়ে আমি আরো কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করলাম। একটু পরেই কুচকা আওয়াজে শুনতে পেয়েছিলাম। যেহেতু গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল। স্কুল থেকে র‍্যালি বের হয়েছে ছেলে অনেক আগেই চলে গিয়েছে। আমিও একটু এগিয়ে গেলাম দেখলাম প্রথমে মেয়েরা এবং স্যার আমাদের শহীদদেরকে স্মরণ করে, তাদের খালিপায়ে হেঁটে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো উপভোগ করলাম। দৃশ্যটা দেখার পর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।

IMG_20250221_070128_834.jpg

স্কুলে থাকাকালীন সময়ে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে স্কুল ড্রেস পড়ে, খালি পায়ে ছুটে যেতাম স্কুলে। হাতে কয়েকটা ফুল তখন হয়তো ফুল গাছ ছিল না। তবে কি করতাম জানেন কুমড়ো ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির ফুল নিয়ে ছুটে বেড়াতাম। এরপরে শহীদ মিনারে দিয়ে বন্ধুদের সাথে আবারো খালি পায়ে হাঁটতে বের হতাম। শহীদদের স্মরণে ওই কথাগুলো আজকেও মনে পড়ে। সালাম জব্বার রফিক ভাই আমরা তোমায় ভুলি নাই। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। আজকে তাদের মুখেও এই বাণী গুলো শুনলাম। তারপর ওখান থেকে একটা ফটোগ্রাফি করে চলে আসলাম।

IMG_20250221_070128_686.jpg

এসে দেখলাম হাঁস মুরগিগুলো নিজের মতো করে খাবার খাচ্ছে, হাঁস গুলো বের হয়ে গেছে ঘাস খাওয়ার জন্য। একটু পরে দেখলাম বড় ছেলে চলে এসেছে, তারপর তাকে সকালের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমি নিজেও খাবার খেয়ে রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। তারপর রান্নাবান্না শেষ করে আরো কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করলাম। কবুতরের ঘর তৈরি করব সেগুলো আগে রেডি করে রেখেছিলাম, বাঁশ কেটে নিয়েছিলাম। অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে এটাই ছিল আমার লক্ষ্য।

IMG_20250221_070129_139.jpg

সব কাজ শেষ করে এসে গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করেছিলাম। কালকে যেহেতু শুক্রবার ছিল জুম্মার দিন আমাদের সবার জন্য খুব স্পেশাল একটা দিন। তাই নামাজের বিছানায় বসে কিছুটা সময় পার করেছিলাম। তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত থাকার কারণে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম নিজেও জানিনা। এরপর আসরের আযানের শব্দ ঘুম ভেঙে গেল। উঠে আসলে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর আরো কিছুক্ষণ বাইরে হাঁটাহাঁটি করে হাঁস মুরগি গুলোকে খাবার দিয়ে তাদেরকে ঘরে রেখে দিয়েছিলাম।

IMG_20250221_070128_948.jpg

মাগরিবের অজু করে ঘরে চলে আসলাম তারপর নামাজ পড়ে, সবার জন্য বুট মুড়ি মাখা তৈরি করলাম। সবাই মিলে সন্ধ্যার নাস্তা করে, ছেলেদেরকে নিয়ে পড়তে বসলাম। তারপর ওদের পড়া হয়ে গেলে এশার নামাজ পড়ে ওদেরকে খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি নিজের শুয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
Loading...

TEAM 5 :
Congratulations! This post has been voted through steemcurator07. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Application for community curator for February 2025 (8.5 x 3 cm)_20250130_064622_0000.png

Curated By @memamun

 yesterday 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য।

 yesterday 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার মত আমিও একুশে ফেব্রুয়ারি স্কুলে পড়া কালীন ভোরবেলা খালি পায়ে ফুল নিয়ে স্কুলের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেতাম। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের সকলের জীবনের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটির জন্য আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে পেয়েছি।

ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন আপু আপনি।

 yesterday 

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য ভাষা শহীদদের স্মৃতি স্মরণে আমরা সবাই অনেক বেশি শ্রদ্ধা করে থাকি সবাই চেষ্টা করে নিজের জায়গা থেকে শহীদদের জন্য দোয়া করার জন্য স্কুলে থাকাকালীন সময় যে মুহূর্তগুলো আমরা পার করতাম সেগুলো এখন অতীত হয়ে গেছে তবে এখনো যখন একুশে ফেব্রুয়ারি আসে তখন সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96170.07
ETH 2806.40
SBD 0.67