If you are sick, you can understand how great a blessing health is from the Creator.( অসুস্থ হলে বোঝা যায় সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার কত বড় নেয়ামত).
|বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ। |
---|
![]()
|
---|
পৃথিবীতে কোনো মানুষই সুখি নয়। সবাই কোনো না কোন দিক দিয়ে অসুখি। সবাই যেন সব সময় পেরেশানিতে থাকে। কোথাও যেন শান্তি খুজে পায় না৷ কারুর যদি অর্থ থাকে তার যেন মনে শান্তি নাই। আবারও কেউ অর্থের জন্য মোরিয়া হয়ে থাকে। মোট কথা সবার অন্তরটায় যেন অসুস্থ। শান্তির বড় অভাব এই ধরনীতে। এই শান্তিহীন ধরনীতেই খুজতে হয় সুখ, শান্তির জীবন। যারা ফলে অনেক সময়ই শান্তির স্বাদও পাওয়া যায়। আসলে জীবনে ১০০% সুখ বা শান্তি পাওয়া কখনই সম্ভব না। কোনো না কোনো দিকে কমতি থাকবেই, এটাই সৃষ্টিকর্তার নিয়ম। বেশির ভাগ মানুষের শান্তিতে না থাকার মূল কারণ হলো অসুস্থতা। প্রতিটা মানুষই কোন না কোন রোগে আক্রান্ত। যেটা সব সময় তাকে শান্তি থেকে দূরে রাখে। তবুও সবাই আমরা শান্তি খুজতে ব্যস্ত। আমার কথাই যদি বলি। প্রতিদিন কোনো না কোন ঔষুধ আমাকে সেবন করাই লাগে। না হলে আমি ঠিক থাকতে পারি না।
বিশেষ করে আমার মাথার সমস্যা হয়। ব্যাথা করে, অন্য ধরনের অনুভূতি হয়, যেটাকে ডাক্তারের ভাষায় মাইগ্রেন বলে। এই একটা রোগ আমার হাই স্কুল জীবন থেকে ধরা পরার পর থেকে আমি যেন মন মতো পড়াশুনাও করতে পারি না। মাঝে মাঝে তো অনেক বেশি পরিমাণে সমস্যা হয় ঔষুধ খেলেও কাজ দেয় না৷ সারা বছর প্রায় আমাকে ঔষুধ সব জায়গায় টেনে নেওয়া লাগে। যদিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত এতো কিছুর মাঝেও তিনি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন৷ সুস্থতাও দান করেছেন। মাঝে মাঝেই আমার মাথার সমস্যা বেড়ে গেলে ডাক্তারের কাছে দৌড়াতে হয়। গত সপ্তাহে আমার মাইগ্রেনের সমস্যাটা খুব বেড়েছিল যার ফলে মেসে গাজিপুর শহরে থাকতে পারতেছিলাম না। এজন্য ১ তারিখ বাসায় এসেছিলাম ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে। এর আগে তিনবার ডাক্তার দেখানোর পর মোটামুটি অনেকটা সুস্থ ছিলাম।
কিন্তু হঠাৎ আবারও সমস্যাটা বেড়ে গেছে। যার ফলে আবার ডাক্তার দেখানো লাগবে। আমি যে ডাক্তার দেখায়, তিনি শুধু বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রোগী দেখেন কুষ্টিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে আমি আমার এক রিলেটিভের মাধমে সিরিয়াল দিয়ে রাখলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকে তিনি রোগী দেখা শুরু করেন। আমি বৃহস্পতিবার মানে ৬ তারিখ আসরের পর বাড়ি থেকে বের হলাম ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে। মোটামুটি আমাদের বাড়ী থেকে কুষ্টিয়া যেতে প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লাগে। আমি সেখানে গিয়ে আগে মাগরিবের নামাজ আদাশ করে নিলাম তারপর ডাক্তারের চেম্বারে চলে গেলাম।
" পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রধান ফটক।"
গিয়ে দেখি আমার আগে আরও অনেক মানুষের সিরিয়াল রয়েছে। ডাক্তার রোগী দেখা শুরু করেছেন। আমি একটা জায়গায় গিয়ে বসে আমার ফোনটা নিয়ে চালাচ্ছিলাম। কিছুটা সময় পর আমার নাম ডাকল, আমি গিয়ে ডাক্তারের পেমেন্ট মানে টাকা জমা দিয়ে আসলাম এবং আমার ফাইল দিলাম। এরপর আবারও নিজের জায়গায় বসে ছিলাম।
"ডাক্তার চেম্বারে অপেক্ষা করার মুহূর্ত"
মোটামুটি আমাকে ১ ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তারপর আমার নাম ডাকল। আমি ভিতরে ঢুকলাম। আমার সব সমস্যার কথা তাকে জানালাম। যেহেতু এর আগে তিনবার তাকেই দেখায়ছিলাম যার ফলে অল্প কিছু বলতেই তিনি সব বুঝতে পারলেন। আমাকে বললেন তিনি যে প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন, সেই ঔষুধগুলো এক সপ্তাহ খেতে। যদি সমস্যা না কমে তাহলে মাথার একটা সিটি স্ক্যান করে তাকে দেখাতে। তার কথা মতো আমি চেম্বার থেকে বের হয়ে ঔষুধের দোকানে গেলাম এক সপ্তাহের ঔষুধ নেওয়ার জন্য।
" ঔষুধ কেনার সময়৷ "
ঔষুধ গুলো কেনা শেষ করে আমি বাড়ীর দিকে চলে আসলাম। তখন প্রায় রাত ৯:৩০ টা বেজে গিয়েছিল। আসলে আমার পড়াশুনার মাঝে বড় বাধা আমার এই অসুস্থতা। পড়তে বসলে যেন মাথা ব্যাথা বেশি হয়। তারপর চেষ্টটা করে যাচ্ছি নিজের পড়াশুনূ, কাজ সহ সকল দিকে খেয়াল করে জীবনটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আসলে সমস্যা তো জীবনে থাকবেই, তার মধ্য দিয়েই আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্যের দিকে চলতে হবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমার মাথার সমস্যাটা তারাতারি সেরে যায়। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.