তাফসীরুল কুরআন মাহাফিলের চিঠি লিখন।..


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।



1000006787.jpg
"ছবিটা picsart অ্যাপ দিয়ে তৈরি করা।"

আপনে যখন অন্যদের সাথে ভালো বঢ়বহার করবেন, আপনার দ্বারা যখন অন্যায় হবে না৷ আপনার সম্পর্কে যখন সবাই ভালো ধারণা পোষণ করবে। তখন দেখবেন, অটোমেটিক সবাই আপনাকে সম্মান করবে। দেখা হলে কথা বলবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব দিবে। এই জিনিসটা কিন্তু কেউ এমনি এমনি পেয়ে যায় না। তাকে সৎ ভাবে সব সময় থাকতে হয়, চলতে হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে জরিত রাখতে হয়। যার ফলে সবার সাথে পরিচিতি লাভ করা যায়।

আমাদের গ্রামের কথাই যদি বলি। আমি দীর্ঘ প্রায় ৬ বছরের বেশি সময় শহরে থাকি পড়াশুনার জন্য। কিন্তু তারপরও গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই আমাকে ভালো বাসে বাসায় গেলে ডেকে কথা বলে। এর পিছনের কারণ হলো আমি যখন বাড়ীতে থাকতাম তখন সবার সাথে ভালো বঢ়বহার, আর বিভিন্ন সময় যখন এলাকা নানা ধরনের কাজ বা অনুষ্ঠান হলো সেখানে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতাম। যার ফলে তারা সব সময় আমার সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করে।

বিশেষ করে আমি বেশির ভাগ সময় মসজিদের দায়িত্ব বেশি পালন করতাম। যেমন ধরুন মুষ্টির টাকা আদায়, রমজান মাসে তারাবিহ্ টাকা তোলা। মাঝে মাঝে ইমাম সাহেব না থাকলে মসজিদে আজান দেওয়া। এসব দায়িত্ব পালন করেছি। এখনও আমি যখন বাসায় যায়, তখনও চেষ্টটা করি কিছুটা দায়িত্ব পালন করার। যার ফলে আমি দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান লাভ করতে পারি। এজন্য মসজিদের কমিটির দায়িত্বে যারা থাকেন তারা আমাকে বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। আমি ১ তারিখ অসুস্থতার কারণে বাড়ীতে এসেছিলাম। পরে নামাজে যাওয়ার সময় মসজিদের সভাপতির সাথে দেখা হলে সে বললো আগামি ১৫ জানুয়ারী আমাদের এলাকায় তাফসিরুল কুরআন মাহফিল।

1000006474.jpg
"মাহাফিলের পোষ্টার।"

আমিও আসার সময় রাস্তার মোড়ে গেট দেখেছিলাম। এবং নামাজে গিয়ে মসজিদে পোষ্টারও দেখলাম। সভাপতির সাথে কথা বলতেই সে আমাকে বললো ১৫ তারিখ পর্যন্ত থাকবা তো দায়িত্ব নিতে হবে।।আমি অনেক কষ্টে বললাম না, আমি সামনে সপ্তাহেই চলে যাব৷ আমার কোচিং আছে। আমারও ইচ্ছা ছিল মাহফিলে থাকা কিন্তু হবে না। তখন তিনি বললো তাহলে কিছু কাজ করে দিয়ে যেয়ো, বললাম কি। তিনি বললো কিছু মানুষকে মাহাফিল উপলক্ষ্যে চিঠি দিতে হবে। চিঠিগুলোর উপর নাম লিখতে হবে। আমি রাজি হলাম। নামাজ শেষ করে আমি বাড়ী এসে আমার কাজে বাইরে গিয়েছিলাম। আসতে রাত হয়ে গিয়েছিল।

বাসাস এসে দেখি সভাপতি চিঠিগুলো আমার বাড়ীতে রেখে গিয়েছে।।আমি ফ্রেশ হয়ে ৩১ টা চিঠির খামের উপর নাম লিখে ফেললাম যাদেরকে চিঠিগুলো দেওয়া হবে। অনেকটা সময় লেগেছিল ছিঠিগুলো লেখতে। আমি মসজিদের বিভিন্ন কাজ করতে পারলে আমারও অনেক ভালো লাগে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের সবারই উচিত সম্পর্ক রাখা।

1000006610.jpg1000006611.jpg
1000006612.jpg1000006613.jpg

1000006614.jpg

চিঠিগুলোতে নাম লেখার মুহূর্ত।

আসলে আমরা যে ধর্মেরই হই না কেন। আমাদের উচিত আমাদের ধর্মকে ভালোবাসা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসা। তার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা। এতে সৃষ্টিকর্তাও আমাদের প্রতি খুশি হন। সবার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আশা করি আমার আজকের লেখাটা আপনাদের পড়ে ভালো লেগেছে। লেখার মাঝে ভুল হলে অবশ্যই আমাকেও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।

Sort:  
 yesterday 

তাফসিরুল কোরআন মাহফিল আমাদের মুসলমানদের জন্য খুবই মূল্যবান একটা জিনিস আপনি সেখানে চিঠি লেখার কাজ করেছেন যেটা আপনার জন্য অনেক বেশি মূল্যবান আমি মনে করি আপনি অনেক বেশি ভাগ্যবান একজন মানুষ এই ধরনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরেছেন এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তোবা আর কিছুই হতে পারে না ওয়াজ মাহফিল মুসলমানদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কিছু মুহূর্ত যে মুহূর্তগুলো আমরা অন্তত পক্ষে আল্লাহ তায়ালার আরশের ছায়াতলে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে পারি ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Loading...
 17 hours ago 

আপনার লেখা খুবই সুন্দর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সেবা যে মানুষের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আপনার এই অভিজ্ঞতায় খুবই স্পষ্ট। সত্যিই সৎ ও নিষ্ঠার সাথে যে কোন কাজ করলে মানুষ নিজে থেকে সম্মানিত হয়। মসজিদে এবং ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি যে আত্মিক শান্তি ও সামাজিক সম্মান অর্জন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আল্লাহ আপনার কাজগুলোকে কবুল করুন এবং সবার সাথে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হোক এই কামনাই করি। আপনার সুন্দর লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 97417.19
ETH 2673.02
USDT 1.00
SBD 4.49