আমার প্রথম প্রেমের গল্প (১ম পর্ব)
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে “আমার প্রথম প্রেমের গল্প (১ম পর্ব)” শীর্ষক একটি লিখনি উপস্থাপন করছি। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
এখন বাংলাদেশ সময়ে রাত বারোটা বেজে বত্রিশ মিনিট। অনেক ক্লান্ত লাগছে। বিছানাটা দেখে বড্ড লোভ হচ্ছে। মন বলছে ঘুমিয়ে পরি, কিন্তু না। শরীরের জোরে লিখতে বসলাম।
বর্তমান সময় বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করতে হচ্ছে। যেহেতু জুন মাস শেষের দিকে আর এই মাসেই আমাদের দেশে অনেক অফিস আদালতের হিসাব নিকাশ সম্পন্ন করতে হয়। যেটাকে আমরা বলি জুন ক্লোজিং।
আর জুন ক্লোজিং এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। বিগত বছরের সকল হিসাব নিকাশ মেলাতে হচ্ছে। এক বছরের গ্রাহকদের তথ্য ভালোমতন পর্যবেক্ষন করতে হচ্ছে এবং ভালো গ্রাহকদের আলাদা তালিকা করতে হচ্ছে।
কোথাও ভুল হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। একদিকে গ্রাহকের চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ততায় আমার সময় পার হচ্ছে। কিছু করার নেই। এরই নাম জীবন।
যাইহোক আজকে আমার লিখার শীর্ষক দেখে বোধয় বুজতে পেরেছেন আমি কী নিয়ে লিখতে চলছি। ঠিক তাই। সবার জীবনে প্রথম প্রেম আসে আবার চলেও যায়। যারা প্রথম প্রেম ধরে রাখতে পারে তারাই বোধয় স্বার্থক হয় এই পৃথিবীতে।
আমার জীবনেও ঠিক এমন একটি প্রেম এসেছিলো। তখন ইন্টার মেডিয়েটে পড়ি। শহরের নামকরা একটি কোচিং এ পড়তাম আমি। বেশ ভালোভাবেই সময় পার হচ্ছিলো আমার। বন্ধুদের সাথে গল্প, আড্ডা, খেলাধুলা আরো কত কী।
তখন আমার এনড্রোয়েট ফোন ছিলো না। অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে একটি বাটন ফোন কিনেছিলাম। সালটা দুই হাজার পনেরো। এপ্রিল মাসের সতেরো তারিখ সন্ধ্যায় আমার ফোনে একটি ফোনকল এসেছিলো।
কিন্তু আমি ফোনকলটি রিসিভ করতে পারিনি। যাইহোক যখন চোখে পড়েছিলো একটি নাম্বার থেকে আমার ফোনে কল এসেছিলো কিন্তু আমি রিসিভ করতে পারিনি, ঠিক তার পরপরই আমি ঐ নাম্বারে একটি মিসকল দেই।
তখন কল দেয়ার মত ব্যলেঞ্জ আমার ফোনে ছিলো না। রিকুয়েষ্ট কল ও মিসকলের উপরেই থাকতাম সবসময়। যাইহোক দুই থেকে তিনবার মিসকল দেয়ার পরেও কোন কল ব্যাক পাইনা।
তারপর আমি আর বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেই না। পরের দিন সন্ধ্যায় আবারো ঐ নাম্বার থেকে একটি কল আসে আর আমি দেখা মাত্রই কলটি রিসিভ করি। কিন্তু এক পার হতেই কলটি কেটে যায়।
আমি আবারো মিসকল দেই কিন্তু সেই নাম্বার থেকে কোন কলব্যাক আসে না। কী আর করার। এরপর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়, আমি নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পরি।
পরের দিন সন্ধ্যায় ঐ নাম্বার থেকে আমার ফোনে একটি ম্যসেজ আসে, ম্যসেজটি এরকম ছিলো, কী ফকিররে বাবা শুধু মিসকল দেয়। ম্যসেজটি পড়ে আমার ভীষণ রাগ হতে থাকে। আত্মসম্মানে বেশ ভালোভাবেই লেগেছিলো কথাটি।
এরপর মায়ের কাছ থেকে বাহানা ধরে দশ টাকা নিয়ে সরাসরি চলে যাই ফ্লেক্সি লোডের দোকানে। সেখানে গিয়ে ফোনে টাকা লোড করি। তারপর ঐ নাম্বারে ফোন দেই।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ও পাশ থেকে একটি মেয়ে বলতে থাকলো আপনার ফোনে পর্যাপ্ত পরিমান ব্যলেঞ্জ নেই। দয়া করে রিচার্জ করুন। আমি আবার রাগান্বিত মাথায় লোডের দোকানে গেলাম এবং বলতে থাকলাম এখনো লোড দেন নাই কেন?
দোকানদার আমাকে জানায় তখনি আমার ফোনে তিনি লোড করে দিয়েছে। কিন্তু আমি চেক করলাম ফোনে কোন ব্যলেঞ্জ নেই। এমনটা তো হওয়ার কথা না। পরে ভালো করে দেখলাম ওরে আমার ফোনে ইমারজেন্সি ব্যলেঞ্জ বারো টাকা নেয়া ছিলো।
দশ টাকা লোড করার পর সিম কর্তৃপক্ষ টাকা কেটে নিয়েছে। কী আর করার। আমি বেশ হতাশ হয়ে পরলাম। মা তো আর টাকা দেবে না। এরপর এক বন্ধুর দেখা করে তাকে পুরো ঘটনা খুলে বললাম। সে আমাকে দশ টাকা হাওলাত স্বরুপ দিয়েছিলো।
পরে আমি ফোনে আবারো লোড করে ঐ নাম্বারে কল করেছিলাম। কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর কলটি রিসিভ হয়েছিলো। ওপাশ থেকে একজন মহিলা মানুষের আওয়াজ পাচ্ছিলাম। আমি সালাম দিয়ে বলেছিলাম কে আপনি?
উত্তরে তিনি বলেছিলেন আপনি কে? ফোন দিয়ে আবার আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন আপনি কে? পাগল নাকি। এমন কথা শুনে একটু হকচকিয়ে উঠেছিলাম। তারপর বলেছিলাম রং নাম্বার। সেদিন রাতে তেমন ঘুম হয়নি।
কেমন জানি মনে হচ্ছিলো। এরপর তিন দিন কেটে যায়। ঐ নাম্বার থেকে আর কোন ফোন বা ম্যসেজ আসে না।
তিন দিন বাদে সন্ধ্যায় আবারো একটি ম্যসেজ আমার ফোনে আসে। ম্যসেজটি ছিলো এরকম, আপনি গাঁধা নাকি?
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X-promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1806408440912212283
@rakibal,
#story কোনো হ্যাশট্যাগ না, এই নিয়ে শুধুমাত্র আপনাকে আমি নিজেও একাধিকবার বলেছি এই বিষয়টা। এটাকে মনে না রাখতে পারলে কোথাও নোট করে রাখবেন ভাই।
আশাকরি, আপনাকে বোঝাতে পেরেছি। পাশাপাশি, আপনাকে অনুরোধ করবো আবারো একবার হ্যাশট্যাগ নিয়মাবলী সংক্রান্ত পোস্ট দুইটি পরিদর্শন করার জন্য।
ওকে দিদি। ঠিক করে দিচ্ছি আমি।
আগের দিনের প্রেম গুলো কত মধুর ছিল। আপনার প্রথম প্রেমের গল্প দারুণ লেগেছে আমার কাছে। আপনি থ্রকে তুমিতে গল্প কোনদিকে মোচড় নেয় সেটা জানার আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর লেখা উপহার দেবার জন্য।
এত ক্লান্ত শরীরে ব্যস্ত থাকার পরও আমাদের মাঝে নিজের প্রেমের গল্প লিখতে বসেছেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।।
অচেনা নাম্বার থেকে ফোন কিন্তু কথা হয় না, অসম্মানিত মেসেজ রেগে যেয়ে ফোন কল তারপরও কাজ হয় না আহা কি রাগ টা না উঠেছিল আপনার তখন। মনে হচ্ছিল সম্পন্ন পোস্টটা পড়তে পারলে আরো ভালো লাগতো যেহেতু আপনি দ্বিতীয় পাটে নিয়ে আসবেন তাই অপেক্ষায় রইলাম।।
২০১৫ সালের মানুষ বেশি বাটন ফোন ইউজ করত। আর ওই সময়ে টাকা লোড দেয়া মানে হচ্ছে আকাশ পরিমাণ একটা স্বপ্ন যতটুকু আমি বুঝি। দশ টাকা লোড দিলে মনে হয় অনেক টাকা। যাইহোক তারপরেও আপনি উনার সাথে কথা বলতে পারেন নাই। তবে উনার মেসেজ গুলো আপনাকে অনেক বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। উনার প্রতি কথা বলার জন্য। জানিনা উনি কে নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো। ধন্যবাদ আপনার প্রেমের গল্পের শুরুটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।