বিশ্বাসঘাতকতা
কেমন আছেন বন্ধুরা? আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে আমি সুস্থ্য এবং ভালো আছি। সুস্থ্যতা আল্লাহ্ তা’লার সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আর এই নিয়ামত পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে “বিশ্বাসঘাতকতা” শীর্ষক একটি লিখনি তুলে ধরছি। তাহলে শুরু করা যাকঃ-
আমরা সামাজিক জীব। প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হচ্ছি। এটি পৃথিবীর নিয়ম এবং একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সমাজে বসবাস করতে হলে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমাদের পরিচিত হতেই হবে।
তাদের সাথে বিভিন্ন কাজ ভাগ করতে হবে। এসব পরিচিত মানুষদের মধ্যে আবার বিভিন্ন দলের মানুষ রয়েছে। তার মধ্যে একটি দল হলো বিশ্বাসঘাতক।
অর্থ্যাৎ যারা আপনার বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এবং দিনশেষে আপনাকে বিপদে ফেলে। বিশ্বাস ঘাতক মানুষেরা বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত। তাদের সবথেকে বড় গুণ হলো, তারা খুব সহজেই মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হন।
কেন জানিনা এমনটা হয়। আমার দেখা এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের খুব সহজেই আমি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু দিনশেষে তারা আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেনি। আমাকে ঠকিয়েছিলো।
যাইহোক একজন বিশ্বাসঘাতক মানুষের এমন গুণ মাঝে মধ্যে আমাকে মুগ্ধ করে। কেননা তারা এই যে, তাদের কথা-বার্তা, আচার-আচরণ এবং মধুরতা দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে এবং খুব সহজেই মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেয়, ব্যপারটি সত্যি আমার মনকে নাড়া দেয়।
অথচ ঐ বিশ্বাসঘাতক ব্যক্তিটি যদি তার এই গুণ ভালো কাজে লাগাতো তাহলে হয়তো পুরো সমাজের চিত্রই বদলে যেতো। কিন্তু তারা এরকম কিছুই করে না।
তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কেবল মানুষকে ঠকানো, মানুষের সাথে প্রতারণা করা। একজন বিশ্বাসঘাতক মানুষ সবসময় নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে। অন্যের বা সমাজের কী ক্ষতি হলো এতে তার কিছু যায় আসে না।
বর্তমান সময়ে এসে অনলাইন ব্যবসাকে পুঁজি করে অনেকেই বিভিন্ন মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। আমরা মাঝে মধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন এ্যাড দেখতে পাই, যেখানে চাটুকর এবং লোভনীয় কিছু অফার থাকে।
বলা হয় এই পণ্যটি ক্রয় করলে এত পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট পাবেন, ইত্যাদি। আবার পণ্যের মান নিয়েও তারা একশত ভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। অনেকেই লোভে পরে এবং তাদের বিশ্বাস করে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
কেউ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, কেউবা পণ্য ক্রয় করে তার মান নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছে না। এই যে তারা এভাবে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছে এতে করে কী তাদের বিবেক একটুও নাড়া দেয় না? আমার মনে হয় দেয় না। দিলে তারা বারবার হয়তো এমন কিছু করতো না।
আমাদের দেশে যেহেতু বেকারত্বের হার একটু বেশি তাই অনেকেই এটিকে পুঁজি করে তাদের স্বার্থ হাছিল করছে। অনলাইনে বিভিন্ন ইনকামের কথা বলে বেকার যুবকদের কাছে বিভিন্ন কোর্স করার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
দিনশেষে বেকার যুবকগুলো হতাশাগ্রস্থ হওয়ার থেকেও থেকে আরো বড় কিছু হচ্ছে। এরপর বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বিভিন্ন ভাবে যুবকদের পটিয়ে অনেক বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকচক্র।
অথচ যেই যুবক স্বপ্ন দেখতো সে বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জন করবে সেই যুবক আজ বুক চাপরিয়ে কাঁদছে। কারণ সে যেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করেছিলো, সেই ব্যক্তি তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
বিশ্বাসঘাতকদের আসলে কোন ক্ষমা হয়না। একজন বিশ্বাসঘাতক যতই আপনার কাছে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করুক না কেন, একটা সময় গিয়ে আপনার মন কখনই তার কথায় আর গলবে না।
মনে থেকে কখনই ক্ষমা করার বিষয়টি আসবে না। কেননা বিশ্বাস অর্জন তো খুব সহজ কিন্তু সেই বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেলে সেটি জোড়া লাগানো সত্যি অনেক কঠিন একটি কাজ।
তাই আসুন কখনো কারোর বিশ্বাস না ভাঙ্গি। যে যতটা আমাদের বিশ্বাস করে ঠিক ততটাই তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখি। কখনো বিশ্বাসঘাতকদের কাতারে নিজেদের নাম না লিখাই।
আজ আর নয় বন্ধুরা। ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ্হাফেজ।
X- promotion link: https://x.com/AlRiaz76338/status/1799114895054794905
বিশ্বাসঘাতকতা খুবই ছোট্ট একটা শব্দ কিন্তু এই শব্দের মাঝে লুকিয়ে থাকে, কিছু মানুষের জীবন মরণ। আসলে বর্তমান সময়ে বিশ্বাসঘাতকতা একটা ব্যবসায় পরিণত হয়ে গেছে। প্রত্যেকটা মানুষ যে যখন পারে প্রিয়জন হোক বা আপনি কারো প্রয়োজন। সবাই চেষ্টা করে মানুষকে ঠকিয়ে যেতে। কিন্তু মানুষকে ঠকিয়ে আপনি কতদিন সুখে থাকতে পারবেন। একদিন না একদিন তাকে ঠকিয়ে দেয়ার কারণে, আপনি নিজেও ঠকে যাবেন।
সময় তার গতি অনুযায়ী চলতে থাকে। হয়তোবা আল্লাহ তাআলা দশ দিন সহ্য করবে। একদিন আপনি নিজেই অন্য কোন মানুষের ফাঁদে পড়ে যাবেন এবং আপনার মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে ফেলবেন। আমার মনে হয় মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করে। বিশ্বাসের মর্যাদা করা উচিত। কারো সাথে আপনাকে ভালোভাবে চলতে গেলে তার কথা অবশ্যই রাখতে হবে। ধন্যবাদ বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।