বর্তমানের সিদ্ধান্তের উপরে আমাদের ভবিষ্যত্ নির্ধারিত হয়।
প্রিয় বন্ধুরা,
শুক্রবার রাতের শুভেচ্ছা দিয়েই আজকের লেখা শুরু করছি, আশাকরি আজকের দিনটি আপনাদের মঙ্গলেই অতিবাহিত হয়েছে।
আজকে আমার দিনটি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছে, আজ অফিসের কাজে বেশ কিছুটা দূরে যেতে হয়েছিল, কাজেই ফিরতে বিকেল হয়ে গেছে।
বাড়িতে ঢোকার মুখে প্রতিবেশীর গাছে পলাশের সমাহার দেখে চটপট দুটো ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
এই সময়টা পলাশের সমাহার দেখা যায়, এবং এই ফুলটি ছাড়া সরস্বতী পুজো কিন্তু অসমাপ্ত।
তবে আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি, সেটা হলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বৃক্ষের মত সোজা এবং গগনচুম্বী মানসিকতা নিয়ে জীবনের পথ পাড়ি দেওয়া উচিত।
অনেক সময় একটা বয়েসের পড়ে হিসেব করতে যখন বসি অতীতের অতিবাহিত সময় নিয়ে মনে হয়, অনেক কিছু এমন আছে যেটা হয়তো আবেগের বশে, মাথা গরম করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে যদি একটু ধৈর্যের সাথে সেই পরিস্থিতির হাল ধরতাম তাহলে হয়তো অনেক আঘাত, অনেক স্বজনহারা এড়াতে পারতাম আর অনেক পদোন্নতি আরো বেশি পেতে পারতাম।
বয়েসের সাথে সাথে আফসোস বাড়ে, কারণ কম বয়েসে আমরা কখনো এইসব বিষয় নিয়ে ভাবী না, তখন আগে কাজ করি আর পড়ে ভাবী।
তবে আমার মত বয়েসের মানুষ আগে ভাবেন তার অনেক পরে কাজ করেন, কারণটা সময়ের সাথে হোচট খেতে খেতে যে অভিজ্ঞতা ঝুলিতে জমা হয় সেটাই মনে করিয়ে দেয় ভাবিয়া করিয়ো কাজ, করিয়া ভাবিও না।
কথাটির মানে ঘটে যাওয়া বিষয় থেকে শিক্ষা অর্জন করা গেলেও, সেই সমিকে কখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই ঘটে যাওয়া ভুলগুলো থেকে শিক্ষা অর্জন করলেও সেটা নিয়ে বিশেষ আফসোস না করাই ভালো।
তার চাইতে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের পরিচয়, একটি গাছ থেকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক ফুল ঝরে গেলে বা কোনো কারণে যদি অপরিপক্ব কুঁড়ি ঝরে যায়, বৃক্ষ কখনো তার জন্য বেড়ে ওঠা, পুষ্প বিকাশ বন্ধ করে দেয় না।
বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে তাই আফসোস করি না তবে শিখেছি জীবনের বেশিরভাগ সময় মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
কারণ উত্তেজনার বশে আমরা অধিক সময় ভুল কাজ করে থাকি, যেটা আমাদের বিরুদ্ধেই অধিক সময় কাজ করে।
প্রতিকূলতা সকলকেই মেনে নিতে হবে এবং লড়াই করতে হবে ঠাণ্ডা মাথায় যাতে সেই মুহূর্তের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের আফসোসের কারণ হয়ে না যায়।
আজকের প্রজন্ম আমার কথাগুলো হয়তো জ্ঞান ভেবে উড়িয়ে দেবেন, কিন্তু একটা বয়েসে পৌঁছে আমার কথার যথার্থতা অনুধাবন করতে পারবেন যদি মনে থাকে।
কাজেই, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে সুন্দর করুন যাতে ভবিষ্যতে আফসোস কিয়দাংশ কম হয়।
আজকে এই পর্যন্তই এসে লেখায় ইতি টেনে বিদায় নিলাম, ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন এই কামনা করি।
আপনার লেখায় অনেক মূল্যবান বিষয় আপনি তুলে ধরেছেন। যে বিষয়গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই মনে রাখা খুবই প্রয়োজন।
আসলেই আমরা প্রত্যেকেই আমাদের জীবনের এমন একটা ধাপ পার করে আসি। যে কাজগুলো করার পরে আমরা আমাদের ভবিষ্যতে অনেক বড় একটা ধাক্কা খাই। আর আমাদের প্রত্যেকেই উচিত অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা। তাহলেই কিন্তু আমরা ভবিষ্যতের দিকে অনেক ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারবো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কথাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। যা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।