কলকাতাবাসীর রোজকার খাবার এবং রবিবারের খাদ্য তালিকার পার্থক্য কিছু ছবির মাধ্যমে।
প্রিয় বন্ধুরা,
বাঙালী একটা কথা সবসময় বিশ্বাস করে আর তাই কথায় কোথায় বলে থাকেন, সেটা হলো যা দেবো অঙ্গে, তাই যাবে সঙ্গে।
আর ঠিক সেই কারণেই তারা তাদের রোজকার সুখ দুঃখ ভুলতেও খাদ্যকে বেছে নেয়।
অনেকেই আছেন যারা মন ভালো করতে চকোলেট, আইসক্রিম দের বেছে নেয়।
ঠিক তেমনি বিভিন্ন ঋতুতে তারা দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় সেই সকল খাদ্য রাখেন যেগুলো সেই মরশুমে বাঙালির সুস্বাস্থ্য বহাল রাখতে সহায়ক।
মানে দাড়ালো, যেকোনো বিষয় নিজেদের ভালো রাখতে বাঙালির খাদ্যই শেষ কথা।
আজকে আপনাদের মযাহে নিয়ে এসেছি সেই সকল খাদ্যের ছবি যেগুলো দিন অনুসারে আমার স্ত্রী বাড়িতে রান্না করেন।
আচ্ছা, রিতা খুব একটা রান্না চলাকালীন ছবি তোলা পছন্দ করে না, বা অপরপক্ষে আমিও বাড়িতে বিশেষ থাকিনা রান্নার সময় তাই সেই অর্থে ছবি তোলা হয় না।
শূক্ত তৈরি করছেন গিন্নী:-
তবে শনিবার বাড়িতে থাকার সুবাদে শুক্ত তৈরির কিছু ছবি তোলার সুযোগ হয়েছিল, এই মরশুমে বাঙালির ঘরে প্রায় প্রতিদিন শুক্তো তৈরির ছবি চোখে পড়ে।
সত্যি বলতে কলকাতার ঘরে ঘরে রবিবার হলো সব খাওয়াতে ছার পাওয়ার দিন, বাকি দিনগুলো কলকাতাবাসী যেমন তেমন করে খাওয়ার কথা ভাবতে পারলেও, কোনো মতেই তারা রবিবারের খাওয়া দাওয়ার সাথে আপোস করে না।
এই বিষয়টির সাথে আমি ছেলেবেলা থেকেই অভ্যস্ত এবং আমার মতন কলকাতাবাসী সকলেই।
সারা সপ্তাহ আমার স্ত্রী আমাকে যা দিয়ে খেতে দেন, কোনোরকম বাক্য ব্যয় না করে সোজা পেতে চালান করে দি।
তবে এই একটা দিন কলকাতাবাসী কখনোই খাবারের সাথে আপোষ করেন না, আগামীকাল একই দৃশ্য চোখে পড়বে বাজারে।
রবিবার না হলেও বাঙালি খালি ছুতো খোঁজে ভালো খাবার খাওয়ার।
তাই কাল বেলায় যেহেতু বেরোতে পারবে না তারা, দোল খেলা শুরু হয়ে যাবে বলে, তাই আকাশ পরিষ্কার হতে না হতেই বাজারের থলে নিয়ে ভালো পাঠার খোজ বেরিয়ে পড়বেন।
পাঠারাও মনে মনে কাল জমিয়ে গালাগাল দেবে বাঙালিদের, অসময় কেটে কচি পাঠা খাওয়ার ইচ্ছে পূরণ করা তারা মোটেও মেনে নিতে পারে না।
যাক বাবা, আমার বাড়িতে কেউ পাঠা খায় না, তারা মুরগির গালাগাল পর্যন্তই পৌঁছতে পেরেছে।
আজকে তাই ভাবলাম, কলকাতাবাসী দের খাদ্যাভাসের কিছু ছবি আপনাদের মাঝে ভাগ করে নি।
আগামীকাল সবার ঘরে ঘরেই সুস্বাদু খাবার তৈরি হবে, আপনারাও নিশ্চই কাল বসন্ত উৎসব রঙের পাশাপশি সুস্বাদু খাবারের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে করবেন।
ভালো কাটুক আপনাদের দোল উৎসব এই কামনা করি, তবে অবশেষে একটা কথা সকলের কাছে অনুরোধের সঙ্গে জানাতে চাই, সেটা হলো দয়া করে পশুদের গায়ে রং দেবেন না।
এটা তাদের জন্য ক্ষতিকারক, মানবিকতা বহাল রেখে বসন্ত উৎসব পালন করুন। ভালো থাকুন এবং ভালোভাবে কাটান আপনার উৎসবের দিনটি।
হ্যা, অনেকের মন ভালো করতে, চকোলেট আইসক্রিম দরকার লাগে, কিন্তু আমি বাংগালী হয়ে ভাত মাছ ছারা কিছু বুঝিনা। ভাত মাছ হলেই মন ভালো হয় যায়।
আপনারা এটাকে শুক্ত বলে থাকেন৷ আমরা এটাকে সবজির তরকারী বলে থাকি, যা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় খাবার। ফুল কপি, সাজিনা, গাজর ইত্যাদি সবজির তরকারী আমার খুব ভালো লাগে।
যাক, অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে, আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে নিত্যদিনের খাবার বিষয়ে তুলে ধরেছেন। ভালো থাকবেন।