চার ধামের বেশ কিছু ছবি রইলো আপনাদের মাঝে।
প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে বৃহস্পতি বারের বিকেলের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি।
আজকে আপনাদের মাঝে সিকিমে অবস্থিত চার ধামের কিছু ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে লেখার ক্ষেত্রে ছবি অলঙ্কারের কাজ করে এবং বিভিন্ন সময় আমি চেষ্টা করি ছবির সাথে নিজের লেখার যথার্থতা বজায় রাখতে।
আজকের ছবিগুলোতে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিখ্যাত সব মন্দিরের সহাবস্থান আপনাদের চোখে পড়বে, এবং সেই কারণে এই জায়গাটির নাম হয়েছে চার ধাম।
আমার কাছে ঈশ্বর মানে এক পরম শক্তি যিনি নিরাকার। এমন অনেক সময় হয় চরম বিপদের মুখে দাড়িয়ে তাকে স্মরণ করে ফল পাওয়া যায়।
আমার কাছে এই পরম শক্তি মনে কিয়দাংশ কর্ম যুক্ত আছে, যেমন সারাবছর পড়াশোনা না করলে ভালো ফল পাওয়া যায় না, তেমনি কর্ম ভালো না রেখে কেবল তাঁকে স্মরণ করলেই সেই পরম শক্তিকে পাওয়া সম্ভব নয়।
এই কর্ম যোগে যেমন আছে সাধনা, তেমনি আছে দেশের এবং দশের পাশে দাড়িয়ে তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
ঘরে বসেও সাধনা করে পরমশক্তির সহচর্জ্য পাওয়া সম্ভব যদি কর্ম, চিন্তাধারা সঠিক থাকে।
জীবনের এমন অনেক সময় গেছে যখন অনেক বড়ো বিপদ থেকে আমি রক্ষা পেয়েছি, কিন্তু তারমানে আমি কখনোই সেই ভাবে পুজোআর্চা করিনা, তবে এটাও সঠিক কারোর সজ্ঞানে ক্ষতি সাধন তো দুরস্ত সেকথা মনেও আনিনা।
একটা কথা এই বয়েসে এসে বুঝেছি কেবল খারাপ কর্ম করা নয় খারাপ কর্ম করার কথা ভাবা ও ততধিক অপরাধ।
তারমানে এই নয় আমাদের দ্বারা ভুল হবে না, বা হয় না, কিন্তু নিজের ভুল স্বীকার করে সেটার উপরে কাজ করে নিজেকে সংশোধন করে নেন যারা তারাই এই শক্তির উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারেন।
ছেলেবেলার ছোটো ছোটো চাহিদা পূরণ যেমন পড়া না করে স্কুলে গেলে মনে মনে ভাবতাম, সেই শিক্ষক যেনো ওইদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন, কখনো ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে আবার কখনো হয়নি।
তার মানে এখন বুঝি, চাইলেই সেই ইচ্ছে পূরণ হয়ে গেলে সেই চাহিদার মূল্য করে যায় অনেক গুনে, এবং সেই কারণে আমরা কম বেশি সুযোগ পেলেও সব সময় সব আশা আমাদের পূরণ হয় না।
আমরা কেউ নিজেদের ভবিষ্যত্ দেখতে পাই না, হতে পারে ইচ্ছে পূরণ না হবার পিছনে আমাদেরই কোনো মঙ্গল সুপ্রবস্থায় রয়েছে।
তাই আমাদের নিজেদেরকে কিছু ক্ষেত্রে মেনে এবং মানিয়ে নিতে শেখানো উচিত, কথায় কাজে যা হয় ভালোর জন্যই হয়, আর যা হবে ভালোর জন্যই হবে।
কাজেই অনুশোচনা না করে জীবনের সমস্ত যুদ্ধকে হাসি মুখে জয় করতে পারলেই জীবনের স্বার্থকতা।
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ি, কারণ আমরা অল্পেতে তুষ্ট না হয়ে যা পাচ্ছি দিনে দিনে নিজের প্রত্যাশা বাড়িয়ে আরো বেশি কিছু আশা করি এবং যখন সেগুলো পূর্ণ হয় না তখন আমরা হতাশায় ভুগি।
যদি একটু পিছিয়ে দেখি তাহলে বোঝা যাবে কথা থেকে শুরু হয়েছিল যাত্রা এবং যদি দেখা যায় তার চাইতে উন্নত পর্যায় আছেন তাহলে নিজের প্রত্যাশায় লাগাম লাগাতে শেখা উচিৎ।
জীবনের কোনো কিছুই একই রকম ধারায় চলে না, কাজেই পরিবর্তন সংসারের নিয়ম, গীতার এই বাণী একেবারেই সত্যি।
অবশেষে তাই বলবো, অনেক চাহিদার লাভ প্রাপ্ত খুশিকে বিসর্জন দেবেন না কখনো।
আজ এখানেই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সবাই।