রাঁচি শহরের বেশ কিছু ছবি রইলো আপনাদের মাঝে।
প্রিয় বন্ধুরা,
সোমবারের সন্ধ্যায় আপনাদের সকলে সভুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা শুরু করছি। একটু আগেই বিকেলের চা পর্ব শেষ হল, অফিসে থেকে ফিরে একটু জিরিয়ে নিয়ে, তারপর একটু পরিস্কার হয়ে নিয়ে চা পর্ব চললো।
বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পরে আমাদের সকলের উচিত সেই বস্ত্র পরিবর্তনের সাথে সাথে হাত মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নেওয়া, অনেকেই হয়তো করবার কারণে এখন এই অভ্যেসটা রপ্ত করেছেন কিন্তু ওষুধের কাজে যুক্ত থাকার কারণে এবং ছেলেবেলা থেকে মায়ের শেখানো অভ্যেস থেকে আমি কোনো কালেই এক দিনের বাইরের জামা কাপড় দ্বিতীয় দিন কখনোই পরিধান করি না।
আমার মা সবসময় বাইরের জুতো বাইরে রেখে ঘরে ঢোকা, সাথে বাইরের জামা কাপড় না ধুয়ে আলমারিতে না তোলা এইসব দেখেই বড়ো হয়েছি।
এরপর যখন ওষুধের সঙ্গে যুক্ত হলাম জীবিকা সূত্রে তখন আরো বুঝলাম, এমন অনেক জীবাণুর হাত থেকে আমরা পরিষ্কার থাকার বিনিময় রক্ষা পেতে পারি, তখন বুঝলাম মায়ের সেই ছেলেবেলার নিয়ম কানুনের পিছনের কারণগুলোকে।
যাইহোক, আমি এমন অনেক মানুষদের জানি, যারা বাইরের কাপড়ে বিছানায় বসেন, সাথে বিছানায় বসে ভাত খান, এইসকল বিষয়গুলো অনেক ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে আমাদের অজান্তেই।
তবে মানুষের মধ্যে ভালো থেকে খারাপ অভ্যেস রপ্ত করবার ইচ্ছেটা অনেক গুণ বেশি আর ঠিক সেই কারণেই আজকে এত অজানা রোগ বাসা বাঁধছে আমাদের শরীরে।
এইবার আসি আজকের ছবির কথায়, যদিও লিখে দিয়েছি ছবিগুলো কোথাকার, তবুও জানাই পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের একটি জেলার নাম রাঁচি।
যদিও মজার ছলে পাগলা গারদ খ্যাত হিসেবে রাঁচি কে চিহ্নিত করা হয় তবে এর পাশাপশি এমন অনেক কিছু আছে যেটি ভ্রমণকারীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে।
টেগোর হিল, কানকে বাঁধ, পাহাড়ি মন্দির, ভগবান বিরসা জৈবিক উদ্যান ইত্যাদি এখানের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান, এছাড়া রাঁচির জগন্নাথ মন্দির, ক্রিকেট স্টেডিয়াম তো রয়েইছে।
রাঁচির জগন্নাথ মন্দির:-
সূর্য্য মন্দির এবং বেশ কিছু দ্রষ্টব্য স্থানের সাথে বর্তমান ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি কিন্তু এই ঝাড়খণ্ডের ছেলে।
ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অন্যতম নক্ষত্রের একটি, তাই আজকে রাঁচি ক্রিকেট নিয়ে এত মাতামাতি করে যেটি এই ক্রিকেটার আসার আগে চোখে পড়েনি।
আসলে যেকোনো বিপ্লব কারোর হাত ধরেই শুরু হয়, আর যে শুরু করে তার লড়াইটা সবচাইতে কঠিন এবং সংঘর্ষ পূর্ণ হয়। সহযাত্রীদের দেখা মেলে বেশ কিছুটা সফলতা পাওয়ার পরে কিন্তু তার আগে সকলেই নিরাশাজনক কথা বলে পথের কাঁটা হিসেবেই কাজ করে।
তবে, যার মধ্যে জেদ থাকে উন্নতি করবার, এগিয়ে যাওয়ার তাকে মনে হয় কোনো প্রতিবন্ধকতা আটকে রাখতে পারে না।
জীবনের এই মূল্যবান শিক্ষার নিদর্শন অনেকেই রেখে গেছেন আর হয়তো আগামীতেও যাবেন, যেমনি করে পথের কাঁটা আগেও ছিল আর পরেও থাকবে।
দেখার বিষয় নিজেকে কারোর কাঁটা হিসেবে আমরা চিহ্নিত করবো না আদর্শ হিসেবে এটা তো ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।
আজ এখানেই শেষ করছি আমার লেখা, ভালো থাইন সবাই এই কামনা করে বিদায় নিলাম।
হ্যাঁ ভাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা। বাহিরে আমরা চলাফেরা করি বাহিরে জীবাণু নিয়ে ভিতরে ঢুকেই আমরা যদি পরিষ্কার না হই,।তাহলে বাহিরে জীবানু কিন্তু আমাদের ভেতরে প্রবেশ করবে। এটি সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা হবে সেটা হল স্বাস্থ্যের সমস্যা হবে । এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত পরিষ্কার থাকা এবং বাহির হতে বাসায় আসলে পরিষ্কার হয়ে নেওয়ার অভ্যাস করে নেওয়া।
রাঁচি এর বিষয়ে অনেক কিছুই জানলাম আপনার পোস্ট পড়ে। আর আমিও একজন মহেন্দ্র সিং ধোনির ফ্যান ছিলাম। সবমিলিয়ে ভালোই লাগলো এবং অনেক তথ্য জানতে পারলাম, তো ভালো থাকবেন।
We support quality posts anywhere and any tags.
Curated by : @sduttaskitchen