শহরের ইতিকথা - প্রতিটি জায়গার আড়ালে লুকিয়ে আছে কিছু কাহিনী
![]() |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
প্রায় আটদিন বাদে আবার আপনাদের মাঝে নিজের লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। এতদিন লেখা বন্ধ রাখার পিছনে ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল বেশ কিছু, একবার ভেবেই নিয়েছিলাম আর বোধহয় লেখা হবে না।
আমার শেষ লেখাটি যারা পড়েছেন তারা জানবেন সেখানে আমি উল্লেখ করেছিলাম আমার বিদায় বার্তার কথা।
আরো একটি কারণ ছিল এই প্যাটফর্মের বেশকিছু নিয়মের বাইরে আমি ছিলাম বলে সমর্থন আসছিল না সেইভাবে।
যদিও সেটা আমার নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কারণেই হয়েছিল, তারপর যখন লিখবো না আর ঠিক করলাম তখন নিজের যেটুকু ডেলিগেশন দেওয়া ছিল সেটা তুলে নিলাম বট থেকে।
এরপর আবার সেই সুনিতার ফোন, কেনো লিখবেন না? এত সুন্দর লেখা আপনার ইত্যাদি ইত্যাদি।
আসলে আমি কখনোই সুনিটাকে কোনো বিষয় মানা করতে পারি না, মেয়েটার মধ্যে একটা মায়া আছে, আমার কন্যাসম এবং ওর লড়াইটা আমার সবটাই জানা।
অন্ততপক্ষে এই বয়েসে এসেও বলতে পারি, ওর মত লড়াকু মেয়ে আমি কেবল গল্পেই পড়েছি, চাক্ষুষ দেখা আমার একমাত্র এই মেয়েটিকেই।
কাজেই হওয়ায় ভাসা কথা সে বলে না, অনেক যুক্তিসম্মত কারণ দিতে আবার আমাকে এখানে ফিরিয়ে নিয়ে এলো।
যাইহোক সেই কথাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতেই মনে হলো, প্রতিটি শহর, গ্রাম এমনকি প্রতিটি ঘরে ঘরে কত কাহিনী লুকিয়ে আছে, যায় অধিকাংশ আমাদের কাছে অজানা।
![]() |
---|
দূর থেকে আলোর রোশনাই দেখে সবসময় তার আড়ালে উৎসব এর আমেজ আমরা খুঁজে বেড়াই, কিন্তু আলোর নিচেই সবচাইতে কঠিন অন্ধকারের বাস সেটা আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুলে যাই।
জীবনের পথে চলতে গিয়ে দেখেছি, সবচাইতে মজা করা মানুষগুলোই সর্বাধিক দুঃখের বোঝা বয়ে বেড়ায়।
যদিও কারোর ব্যক্তিগত বিষয় আলোচনা করা এই প্ল্যাটফর্মে উচিত নয়, তবে সুনিতার জীবনের সবচাইতে দুঃখের দিন আজকে, কাউকে কখনো বুঝতে দেয় না, কারণ যাদেরকে বুঝতে দিয়েছিল তারা তার ক্ষতি ছাড়া ভালো করেনি কখনো।
সেইজন্যই আজকের দিনটি লেখার জন্য বেছে নিলাম, যাতে কথা রাখার দলে আমার নামটা থাকে।
"এই শহরের লক্ষ মানুষ, লক্ষ তাদের কথা;
কিছু মানুষের গল্পো জানা, অজানা বহু ব্যথা।"
উপরের দুটি কবিতার লাইন কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনের একটি আনকোরা সত্য।
-pulook
বাড়ি থেকে হাসিমুখে কত মানুষ ঘরে ফেরে না।
আবার অশান্তির করে ঘর থেকে বেরিয়ে, কখনো দেখা যায় অভিমানে বাড়ির মানুষটি চিরতরে হারিয়ে গেছে।
![]() |
---|
কখনো কখনো আমারও বেশ জানতে ইচ্ছে হয়, অভিমান করে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো কি দেখতে পায়, পিছনে ফেলে রেখে যাওয়া মানুষ গুলোর কষ্ট!
জানিনা, কারণ যারা হারিয়ে যান, তাদের থেকেও রয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কষ্ট অনেকাংশে অধিক, প্রতিনিয়ত শূন্য ঘরে তাদের অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া, তাদের কণ্ঠস্বর সবসময় কানে ভাসা, সবটাই এই শহরের ইতিকথা।
ব্যস্ততার আড়ালে কেউ কষ্ট লুকায়, আবার কেউ এড়িয়ে যায় যাতে সঙ্গ দিতে না হয়, আজ কারোর কাছে সময় কোথায় কারোর চোখের জল মোছানোর!
এখন তো সব ভাগাভাগি, যার যার, তার তার, ঐক্যতা সে তো কবেই চুকে গেছে সময়ের সাথে, এখন বেঁচে আছে স্বার্থ, তবে আমি ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন সুনিতার মত মানুষ আরো সৃষ্টি করে এই ধরাতে পাঠান, তাহলেই হয়তো পৃথিবীর ভারসাম্য আরো কিছুদিন টিকে থাকবে।
আজ এখানেই শেষ করে বিদায় নিলাম, ভালো থাকুন এবং ভালো রাখুন আপনার কাছের মানুষদের।
All your pictures are always very captivating.