আলোর প্রাধান্য বাড়ে তমশার কারণে, খারাপ সময়, ভালো সময়ের গুরুত্ব বাড়ায়।
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আজকের দিনটি আমার কাছে বিশেষ কারনে সারা সপ্তাহের মধ্যে আমার প্রিয় দিন এবং সেটা আগেও উল্লেখ্য।
সকলকে তাই শনিবারের সন্ধ্যের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি।
আজকে বিভিন্ন ধরনের আলোর ছবি নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে, যার কিছুটা প্রকৃতির দান আর বেশ কিছু মানব জাতির সৃষ্টি।
এখানে আমি সৃষ্টি নিয়ে কথা বলতে আসিনি, আমি এসেছি আলোর গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে।
আসলে আলোর গুরুত্ব বাড়ানোর পিছনে যার সবচাইতে বড় হাত, সেটা হলো তমশার।
একজন অন্ধ মানুষ প্রকৃত আলোর গুরুত্ব বুঝতে পারেন, আবার জীবনের সবচাইতে কঠিন সময় দিয়ে যাওয়া মানুষগুলো বলতে পারেন সুখের আসল পরিভাষা কি? এবং আমাদের জীবনে তার গুরুত্ব।
ছোটোবেলায় অন্ধকারে বেশ ভয় পেতাম, তখন তো এইসব ব্যাটারির ব্যবহার ছিল না, কাজেই ইলেকট্রিক গেলে, উপায় ছিল হ্যারিকেন, লম্ফ, মোমবাতি ইত্যাদির সাহারা।
ঘুমের মাঝে উঠে বাথরুম যেতে হলে কখনো মাকে ছাড়া যায়নি, আমার মনে হয় ছেলেবেলায় সকলেই উপরিউক্ত বিষয়গুলির মধ্যে দিয়ে গেছেন।
এবার বিষয় হলো, দিনের বেলায় যারা বাঘ, রাতের বেলায় বিড়াল কেনো হয়ে যায়? কারণ আলোর অনুপস্থিতি।
এখন উত্তরপাড়া বেশ উন্নত কিন্তু একটা সময় সন্ধ্যে বেলায় জোনাকি পোকা দেখতে পাওয়া যেত মাঠের কোনায় কোনায়, কখনো বাড়ির আশেপাশে, সাথে ঝি ঝি পোকার ডাক।
বাবা গল্পো করতেন শিয়াল আসতো উঠোনে সন্ধ্যে নামলে। রাত বৃদ্ধির সাথে সাথে একটা অন্য পৃথিবী বা পরিবেশ সজাগ হয়ে ওঠে।
কাজেই আমাদের কাছে দিন যতটা প্রিয় এবং তার আলোয় আমরা যতটা সছন্দ বোধ করি, রাতের ক্ষেত্রে আমরা ততটা সাবলীল নই।
জীবনের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও এই আলোর গুরুত্ব তখনই আমরা দিয়ে থাকি বা বুঝি যখন নানান কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়ে সুদিনের দেখা পাই।
কথাগুলো সহজে বলা গেলেও বাস্তব জীবনে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া ততটাই কঠিন, এবং সেই কঠিন কাজ করে যারা এগিয়ে যাবার ক্ষমতা রাখে তারাই অবশেষে আলোর দিশা পায়।
কৃত্রিম আলোর উপরে ভরসা না করে, আমাদের আস্থা রাখতে হবে প্রকৃতি থেকে পাওয়া আলোর উপরে, কারণ মানুষের সৃষ্টিতে খেদ থাকতে পারে কিন্তু ইশ্বরের সৃষ্টিতে নয়।
তাই সহজ পথ ধরে নয়, এগিয়ে যেতে হবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে।
দলবদ্ধ জোনাকিও কিন্তু তমসা নিবারণে সক্ষম, কাজেই জীবনের কঠিন সময় যারা আপনার তমসা মোচনে সহায়তা করেছে তাদের অবদান চরস্বরণীয় হয়ে থাকা উচিত আমাদের মনে।
কারণ সময় কিন্তু পরিবর্তনশীল এবং সাথে পরিস্থিতিও, অবশেষে তাই বলবো, যেভাবে জীবনে আলোকে স্বাগত জানান, ঠিক তেমনি অন্ধকারকে পার করুন স্বসম্মানের সাথে, বাঁকা পথ যে আলো বয়ে আনে, তা ক্ষণস্থায়ী।
সুতরাং আমাদের মনে রাখা উচিৎ আলোর প্রাধান্য বাড়ে তমশার কারণে, খারাপ সময়, ভালো সময়ের গুরুত্ব বাড়ায়।
এই পর্যন্তই এসে আজ ইতি টেনে বিদায় নিলাম, ভালো থাকবেন সবাই এবং সুস্থ্ থাকবেন এই কামনা করি।
@pulookপ্রত্যাকটা ছবি খুব সুন্দর ভাবে তোলা হয়েছে। অন্ধকার কেটে মানুষের জিবনে আলো আসে। সব সময় অন্ধকার থাকে না। ছোট বেলায় আমিও অন্ধকার ভয় পেতাম। কিন্তু এখন আমি সেটা ভয় পাইনা। কারন বুঝে গেছি অন্ধকার কেটেগিয়ে একদিন আলো আসে সেটাই মেনে চলি।
খুব ভালো লাগলো আপনার জীবন দর্শন সম্পর্কে জেনে, ভালো থাকুন এবং ভালোভাবে বাঁচুন এই কামনা করি।
প্রত্যেকটা আলোর ছবি খুব সুন্দর ভাবে তোলা হয়েছে।আমার মা আমায় ছোটোবেলা তেই বলেছিলো যে অন্ধকার দেখে কোনোদিন ভয় পাবিনা।অন্ধকার পেড়োলে আলোর মুখ একদিন ঠিক দেখবি।
একদম সঠিক কথা বলেছেন আপনার মা, জীবনে অন্ধকার সময় যারা ধৈর্য্য সহকারে পার করতে পারেন তারাই আলোর দিশা পায়।
খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন এই আলোর মাধ্যমে আমাদের জীবন পরিবর্তনের ধারা। মানুষের তৈরি এই ইলেকট্রিক্যাল আলোর মতো আমাদের জীবন নয় বরঞ্চ বাস্তবতার সাথে নিজেদেরকে অগ্রসর করতে হবে সামনে।
সহজ পথ ধরে নয় বরং বাস্তবতা মোকাবেলা করতে হবে তাহলেই আলোর দেখাবে মিলবে।
সঠিক কথা বলেছেন, জীবনে বিভিন্ন আলোর দিস আসে বিপদে কিন্তু কোনটা সঠিক সেটা বুঝে নিতে হবে আমাদের কেই, যাতে ক্ষণিকের আলো আরো বেশি অন্ধকারের দিকে আমাদের ঠেলে না দেয়।
আমি ধন্যবাদ জানাই আমার মন্তব্যের প্রতি উত্তর পেয়ে।
@pulook আপনার লেখা প্রতিটা কথা মন ছুঁয়ে যায়। আমাদের জীবনে যেমন ভালো সময় আসে তেমনই খারাপ সময় ও আসে, তেমন ভাবেই অন্ধকার শেষ হয়ে দিনের আলোর দেখা পাওয়া যায়।
এই সব উঠা পরা নিয়েই জীবন চলে।আর আপনার তোলা প্রতিটা ছবি খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। ভালো থাকবেন।
ছবিগুলো অসাধারণ লেগেছে আমার। অন্ধকারকে আমিও ছোটবেলায় ভয় পেতাম, কিন্তু এখন ঘোরো অন্ধকারে হেটে বেড়াই।
সুন্দর হয়েছে লেখা।
এরকম আরো লেখা আমাদের উপহার দিবেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রশংসার জন্য, আসলে এই বয়েসে জীবনের কিছু শিক্ষা ভাগ করে নেবার চেষ্টা করি, যাতে নব প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কিছু শিখতে পারে জীবন সম্পর্কে।