মন পরিমাপের যন্ত্র না থাকলেও হামেশাই সেটার মাপ আমরা ধার্য্য করে থাকি।
![]() |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আজ অনেক সকলেই লিখতে বসে গেলাম। গতকাল কালীপুজোর নিমন্ত্রণ ছিল পাড়ার এক বাড়িতে।
কাজেই সেখান থেকে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেছে।
আপনারা তো জানেনই কালীপুজো প্রায় মধ্য রাত্রে করা হয়। কাজেই পুরোটা না থাকলেও, পুজো শুরুর পরে প্রায় ৪০ মিনিট মতন ছিলাম।
এরপর খাওয়া দাওয়া সেরে ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেছিলো, আর ভুরিভোজটি ভালোই হয়েছিল তাই চোখের পাতা আর সাথ দেয় নি যে লিখে তারপর ঘুমোতে যাবো।
যাইহোক, এখন বেলা ১১:১৭ মিনিট আর বেশি দেরি না করে লিখতে বসে গেলাম।
আচ্ছা, কোনো জিনিসের উচ্চতা কিভাবে নির্ধারণ করা হয়? সাধারণত তার দৈর্ঘ্য দ্বারা।
সেটা সকলেরই জানা, তাহলে মনের উচ্চতা কিভাবে মাপা হবে, তার জন্য তো কোনো ফিতে তৈরি হয়নি! যেটি দিয়ে মনের দৈর্ঘ্য মাপ করা যায়।
তাহলে বিষয়টি দাড়ালো এমন অনেক বাহ্যিক বিষয় রয়েছে যার দ্বারা কেবলমাত্র বাহ্যিক বস্তুকে পরিমাপ করা গেলেও অভ্যন্তরীণ বস্তুর পরিমাপ করা সম্ভব নয়
অথচ আমরা কিন্তু প্রায় সময় বলে থাকি, দেখো মানুষটার মনটা কত ছোট!
পরিমাপ না করা গেলেও মনের দৈর্ঘ্য আমরা প্রায় সময় নির্ধারণ করে থাকি।
![]() |
---|
এখন বিষয়টি হলো সেটা কিভাবে? আমাদের ব্যবহার, আচরণ, আমাদের অন্যের প্রতি নিজের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি, সবটাই এই পরিমাপ নির্ধারণের চাবি কাঠি।
এমনটা নয় এই পরিমাপ সবসময় সঠিক নির্ধারিত হবে, কারণ এখানে কিন্তু একজন ব্যাক্তির প্রতি অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে, সেখানে সেই দৃষ্টিভঙ্গি ১০০% সঠিক হবে এমন বলা যায় না।
এছাড়া কোনো মানুষের বিচার একজন অন্য মানুষ করতে পড়ে বলেও আমি মনে করি না, কারণ যে মানুষটি বিচারের জায়গায় বসে অন্যের পরিমাপ করছেন, তিনি নিজেও কিন্তু ১০০% সঠিক জীবনের প্রতি কাজে হতে পারেন নি।
কোনো মানুষই কখনো নিজেকে সয়ংস্বম্পূর্ণ বলে দাবি করতে পারেন না, প্রতিটি মানুষ জীবনে চলার পথে কখনো না কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আবার কখনো ভুল কাজ করেছেন।
হতে পারে কেউ নিজের অজান্তে আবার কেউ স্বজ্ঞানে কিন্তু এমন কোনো মানুষ এই ধরতে নেই যিনি কখনো কোনো ভুল করেন নি বলে দাবি করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে একজন মানুষ অপরকে বিচার তার অভিজ্ঞতা দিয়ে করছেন না সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সেটা অবশ্যই দেখার বিষয়।
তাই আমার মতে কারোর মন আমাদের বিচারের আগে, নিজের মনের বিচারটি করবার অভ্যেস সর্বাগ্রে করা উচিত।
অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়টি আমার দেখার দৃষ্টিভঙ্গি, সহমত অনেকেই পোষণ নাই করতে পারেন, কারণ আমরা সকলেই পৃথক, সেই সাথে আমাদের চিন্তাধারা।
এই পর্যন্তই এসে আজকের লেখা শেষ করে বিদায় নিলাম, ভালো কাটুক আপনাদের সারাটা দিন, এই কামনা করি।