Better Life with Steem|| The Diary Game|| 7th November 2024
Edited by Canva |
---|
Hello Friends,
দিনের শুরুটা যেমনই হোক তবে সবটা কেমন কাটবে এটা আমরা কেউই জানিনা। যাইহোক, কোনো টপিক একদমই মাথায় আসছে না তাই সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম নিয়েই চলে আসলাম।
সকালটা শুরু হয়েছিল সকাল দশটার দিকে। যদিও বিগত রাতে একটু কাজে মনোযোগ দিতে গিয়ে কখন ভোর পাঁচটা বেজেছিল নিজেই বুঝতে পারিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। হঠাৎ ডিসকর্ডের নোটিফিকেশনের আওয়াজ পেয়েই ঘুমটা ভেঙেছিল।
তবে যে কারণে ঘুমটা ভাঙ্গল সেটাও সমাপ্ত করতে পারিনি। যাইহোক, কোনোরকম সকালের খাবার খেয়েই আবারো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। মায়ের বকুনি তারপরে বিছানা থেকে উঠেছিলাম। এরপরে আবার একটা সমস্যা, মোটামুটি দিনটা একদমই অসাধারণ ছিল। ২০২৪ সালের ৭ই নভেম্বর অর্থাৎ আজকের দিনটি আমার মেমোরিতে আমৃত্যু স্মৃতি হয়ে থাকবে।
এরপরে সবথেকে প্রিয় জিনিসটা নষ্ট করলাম আর একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। অতপর, জ্যাঠাবাবুর কাছে গেলাম। এই তো কয়েকদিন হলো বাড়িতে ফিরেছে ভারত থেকে। সময় যে কি পরিস্থিতি নিয়ে আসবে আমরা কেউই জানিনা।
ইনি অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যে কিনা সকলকে হাসাতেই পছন্দ করতেন। অথচ আজ নির্বাক হয়তো ঈশ্বরের নির্ধারিত যে কথা বলা বরাদ্দ ছিল সেটা শেষ। অন্যদিকে জ্যাঠাবাবুর কোনো সন্তান নেই। ঐ যে প্রায়শই এক ছোটভাইয়ের কথা বলি ও আর দুই বোন আছে জ্যাঠাবাবুর ভাইদের ছেলেমেয়ে ওরাই জ্যাঠাবাবুর অবলম্বন।
যথেষ্ট অর্থ আছে কিন্তু সেটা এখন মূল্যহীন। এই তো বিশ্ব বিখ্যাত সার্জদেবী শেঠি'কে দেখিয়ে এইবার সার্জারি ও করানো হয়েছে যে কারণে এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। এই তো আজকেই আমার বাবার কাছে শুনলাম কে যেন আমাদের বাজারে এক ভ্যান চালককে টাকা করে বেশ হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু একবার এই মানুষটার জায়গায় যদি নিজেকে দাঁড় করাতেন তাহলে বোধ হয় এটা আর বলতেনই না।
এরপরে আমাদের মাঠেই পাড়ার ছেলেরা ফুটবল খেলছিল যেখানে আমিও খেলতে যাই। এখানে ক্রিকেট, ফুটবল এবং ব্যাডমিন্টন খেলা হয়। যেহেতু, সামনেই শীতকাল তাই ব্যাডমিন্টন খেলার কথাটাও উল্লেখ করলাম। যদিও আজ আমি ফুটবল খেলার মুডে ছিলাম না।
তবে মাঠের পাশে দাঁড়াতেই বলটা আমার পায়ের কাছে। আমি কিক মেরে দিতে যাচ্ছিলাম অমনি একটা ছেলে বলটা হাত দিয়ে ধরতে এসেছিল। ততোক্ষণ আমার কিকটা দেওয়া ও হয়ে গিয়েছিল এবং আমার পায়ের সাথে লেগে হাতটাই ভেঙ্গে গেছে।
এটা খুব খারাপ একটা কাজ ছিল। যদিও ছেলেটা উপলব্ধি করতে পারিনি, আমি বিলম্ব না করেই ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা করানোর পরে ডাক্তার ব্যান্ডেজ দিয়ে দিচ্ছিল সেই মূহূর্তে আমি এই ছবিটা নিয়েছিলাম। ছেলেটা সম্পর্কে আমার ছোটভাই তাই ব্যান্ডেজ করানোর পরে ওদের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম যাতে কাকিমা বকাবকি না করে।
বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে পি সি অন করতেই উইন্ডোজ, ওহ! কি মুশকিল। হাতে-মুখে জল দিয়ে পেনড্রাইভ নিয়ে ছোট ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম উইন্ডোজ আনতে। কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। দিনটা কেমন ভেবেছিলাম আর কেমন অতিবাহিত করলাম বুঝেই উঠতে পারলাম না।
যাইহোক, আমি আজ এখানেই লেখাটি সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
লেখাতে উপস্থাপিত সকল ছবি Whatsapp থেকে নেওয়া হয়েছে।
দিন যেমনই হোক তা কেটে যায় এবং এই রকম ভাবেই ইচ্ছাকৃত অনাচ্ছাকৃত, ভালোলাগা মন্দলাগা সবকিছু মিলিয়ে সকলের দিনের পর দিন কেটে চলেছে অনায়াসেই। ভবিষ্যৎ দেখা গেলে আমাদের বর্তমান গুলোকে আরো সুন্দরভাবে আমরা পরিচালনা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা দেখা যায় না বলেই হয়তো ঈশ্বরের ওপর অনেক ক্ষেত্রে ভরসা করতে হয়।
আপনার জেঠা বাবুর ছবিটি দেখে বেশ খারাপ লাগলো। তবে যেটুকু ঈশ্বর আমাদের ভাগ্যে লিখেছেন, ততটুকু সহ্য না করে বোধহয় আমাদের কারোরই মুক্তি মেলে না।
বিকেলের দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটেছে ফুটবল খেলার মাঠে। তবে সাথে করে ছোট ভাইকে বাড়িতে দিয়ে এসে ভালোই করেছেন, নাচেৎ এই ব্যথার পাশাপাশি মায়ের বকুনিও জুটতো বেচারার কপালে। পরবর্তী দিনগুলো ভালো কাটুক এইটুকু প্রার্থনা রইলো। ভালো থাকবেন।