Better Life with Steem|| The Diary Game|| 26th September 2024
Hello Friends,
সবাই কেমন আছেন? পাশাপাশি এইবারের বর্ষা ঋতু কেমন উপভোগ করছেন? আমি তো ভীষণ উপভোগ করছি কিন্তু আশংকায় আছি কখন যেন আবার তৃতীয়বার বন্যার কবলে পড়তে হয়। বর্ষার জলে সব কিছু প্রায়ই অর্ধ-নিমজ্জিত অবস্থা।
যাইহোক, আজ আবার আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলে এসেছি বর্ষণমুখর একটি দিনের কার্যক্রম। হয়তো বৈচিত্র্যতা খুঁজে পাবেন, কারণ গ্রাম এবং শহরের বর্ষা ঋতুর চিত্র সম্পূর্ণই ভিন্ন।
প্রথমেই আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিয়েছিলাম। মোবাইল ডাটা অন করতেই হুড়মুড় করে নোটিফিকেশনের আওয়াজ একদমই যেন বিরক্তিকর একটি পরিস্থিতি। আজ আবার ২৬ সেপ্টেম্বর কি হতে চলেছে? এটা আমার মাথাতেও ঘুরপাক খাচ্ছিল।
চোখ মুছতে মুছতে ব্রাশ হাতে নিয়েই সকালের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ঐ যে প্রতিদিনের সেই ওষুধ খাওয়া যেটা বড্ড এক ঘেয়েমী লাগে। আজ ও ভুলে গিয়েছিলাম যেটা মাঝেমধ্যেই হয়। সকাল সকাল মায়ের বকুনি ওহ! কোনোরকম কথা না বাড়িয়ে পি সি তে বসেছিলাম।
আমার ভাগ্নির শরীরটা একটু খারাপ তাই আমি সকালেই বাজারে গিয়েছিলাম একটা ইজিবাইক রিজার্ভ করে রাখতে। নচেৎ কোনো ভাবেই ওকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া আমি যেহেতু গ্রামে থাকি তাই মন চাইলেই হঠাৎ করে প্রাইভেটকার পাওয়া ও সম্ভব না।
প্রচন্ড বৃষ্টি যেন অঝর ধারায় ঝরছিল সেই মাঝরাত থেকে। অন্যদিকে ভাগ্নি মাঝরাতেই কান্নাকাটি শুরু করে শুধু ঘরের না সাথে বাড়ির কাউকেই ঘুমাতে দেই নি। তাই সকলেই অতিব্যস্ত কারণ খুব সমস্যা না হলে আমার ছোট্ট ভাগ্নি যে ঘরে আছে এটাও বোঝা যায় না। কদাচিৎ তাঁর কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়।
যাইহোক, চালকের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেই আমি আবার বাড়িতে ফিরেছিলাম। বাড়িতে ফিরেই দেখি বিদ্যুৎ বিভ্রাট, সময়টা বুঝতে পারিনি কারণ বৃষ্টির কারণে মোবাইলটা আমি তখন সাথে নিয়ে বাইরে যাইনি।
বাড়িতে ফিরে খাবার খেয়ে একটু জলকরে গিয়েছিলাম। যদিও বৃষ্টি কম দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো এখন আর হবে না কিন্তু জলকরে পৌঁছাতেই আবার শুরু হয়েছিল। কি আর করা নিরূপায় হয়ে বৃষ্টির জলে ভিজতে হয়েছিল। তারপর দ্রুত বাবা ও আমি বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে গাড়ির লোকটির সাথে মোবাইলে কথা বলেছিলাম।
প্রায় এক কেজির মতো বাগদা চিংড়ি ধরেছিল বাবা কিন্তু বিক্রি করার সময় ছিল না। সকলে প্রস্তুত হতে হতেই গাড়ি এসে উপস্থিত হয়েছিল। তাই সবাইকে গাড়িতে বসিয়ে আমি ঘরে ফিরে মাছ গুলো নিয়েই বাজারের মাছ ক্রেতা কাকুর কাছে গিয়েছিলাম।
এই বৃষ্টিতে যতোটা আবহাওয়া শীতল হওয়া উচিত তেমন কিছু উপলব্ধিই করতে পারছিলাম না। বরং গ্রীষ্মকালীন গরম অনুভব করছিলাম। অন্যদিকে বোন কল করে জানালো পৌঁছে গিয়েছে এবং ডাক্তার ও দেখানো শেষ, তেমন কোনো সমস্যা না তবে ওষুধ লিখে দিয়েছে ডাক্তার।
একটু হালকা লাগছিল, তাই সুযোগ বুঝে দোকানে গিয়ে প্রিয় কোন আইসক্রিম নিয়েছিলাম একটি। বাজারের মধ্যেই খুলে মুখে দিয়েছিলাম। কারণ বন্ধুরা আছে যারা থাকলে আর বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। হয়তো আপনাদের ও এমন বন্ধু আছে। ওরা যদি পারতো হয়তো খাওয়া অবস্থায়ই হামলা করে নিয়ে নিতো।
কিন্তু লুকানোর কোনো উপায় নেই দেখুন এই ছবিটা কিন্তু আমি তুলিনি। আমি একটু শৈশবের মতো লুকিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু কোন সুযোগে ছবি মুঠোফোনে ধারণ ও করে ফেলেছে। কি বিপদ? অবশেষে বললাম সামনে থেকেই ছবি তোল, লুকিয়ে তোলার কি দরকার?
কিছুক্ষণ মনে মনে হেসেছিও।
আবহাওয়া এবং বাড়িতে বাবা নেই তাই আমি বিলম্ব না করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। আবার সন্ধ্যায় আমার একটা অনলাইন কোর্স ক্লাসে জয়েন করার কথা ছিল। তাই সময়মতো জয়েন করেছিলাম।
এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
বর্ষাকাল একদমই অপছন্দের। বৃষ্টি ভালো লাগে ।কিন্তু সেটা ঘরে বসে। বাইরে বর্ষাকালে একদম বেরোতে ইচ্ছে করে না। এ বছরে বৃষ্টি যেন একদম পিছু ছাড়ছে না। যখন তখন বৃষ্টি চলে আসছে। এজন্য খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।